৮:৩৬ পূর্বাহ্ন

সোমবার, ১৮ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : জানুয়ারী ২, ২০২৩ ১১:১৪ পূর্বাহ্ন
সিরাজগঞ্জে বাড়ির আঙিনায় বাড়ছে সবজি চাষ
কৃষি বিভাগ

সিরাজগঞ্জে বাড়ির আঙিনায় সবজি বাগান করে সাবলম্বী হচ্ছেন ১ হাজার ১৫৮ জন নারী-পুরুষ। বাড়ির আঙিনায় সরকারি প্রকল্পের আওতায় এসব পতিত জমিতে মাটি ফেলে সবজি চাষ করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন তারা।

এসব বাগান স্বামীর পাশাপাশি শখের বসে নিয়মিত দেখাশোনা করেন স্ত্রী-সন্তানরা। এতে পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজনদেরও সবজি জোগান দিয়ে থাকেন। প্রায় ২০ প্রকারের সবজি চাষ করছেন এসব উদ্যোগী কৃষক।

এ বছর কামারখন্দ উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় অনাবাদি পতিত জমি ও বসত বাড়ির আঙিনায় ৫৪টি প্রদর্শনী স্থাপন করেছে পারিবারিক পুষ্টি বাগান প্রকল্প। গত ২৫ ডিসেম্বর দিনভর প্রকল্প পরিচালক ড. মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী এসব পরিদর্শন করেন।

জেলার কামারখন্দ কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা তাহসীন তাবাসসুম জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা সার্বক্ষণিক কৃষকদের সহযোগিতা করছি বাড়ির উঠানে বিষমুক্ত সবজি চাষ করতে।’

জানা যায়, কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাট মুগবেলাই গ্রামের সোনাউল্লাহ সেখের ছেলে আসাদুল্লাহ বাড়ির আঙিনায় বিষমুক্ত সবজি বাগান গড়ে তুলেছেন। সবজির পাশাপাশি আছে বিভিন্ন ফল ও মসলা জাতীয় ফসল। সবজির মধ্যে আছে বাঁধাকপি, ফুলকপি, টমোটো, পেঁপে, লালশাক, পুইশাক, বেগুন, পালংশাক, বরবটি, ঢেঁড়শ।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সরকারের পক্ষ থেকে পুরো জেলায় এ বছর ১ হাজার ১৫৮ জনের বাড়ির আঙিনায় সবজি বাগান করে দেওয়া হবে। যা গত বছর ছিল মাত্র ৩৩৬ জনের বাড়ির আঙিনায়।

এতে বাঁশ, খুঁটি সবই বিনা মূল্যে দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে বিভিন্ন সবজির বীজ, সার দেওয়া হয়। নিয়মিত কৃষি অফিসার এবং উপ-সহকারী কৃষি অফিসাররা তদারকি করে থাকেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ১, ২০২৩ ৭:০১ অপরাহ্ন
‘কৃষি বাণিজ্য মেলা’ আয়োজন করবে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন
কৃষি বিভাগ

কৃষিখাতের সাথে জড়িত সকল ভ্যালু চেইন পার্টনারদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য, খাদ্য নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু বাজার ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) উদ্যোগে রাজধানীর আমিনবাজারে নবনির্মিত ‘ডিএনসিসি পাইকারি কাঁচাবাজার’ প্রাঙ্গণে আগামী ৩-৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ তিনদিন ব্যাপী ‘কৃষি বাণিজ্য মেলা-২০২৩’ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

ডিএনসিসি’র তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশের কৃষি ভ্যালুচেইন-এর সকল অংশীদারদের অংশগ্রহণে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিতব্য এই কৃষি বাণিজ্য মেলা’র আয়োজনটি বাস্তবায়ন করবে এগ্রি-টেক স্টার্টআপ দেশীফার্মার লিমিটেড।

সম্প্রতি (২১ ডিসেম্বর) গুলশান-২ এ ডিএনসিসির প্রধান কার্যালয় নগর ভবনে মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম এবং দেশীফার্মার লিমিটেড এর চেয়ারম্যান সুমাইয়াহ মৌসিনিন এক বৈঠকে তিনদিন ব্যাপী কৃষি বাণিজ্য মেলা আয়োজনের সিদ্বান্ত নেন।

বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মেলায় অংশগ্রহণকারী ও দর্শনার্থীরা কৃষি পণ্যের বাজার দরে স্থিতিশীলতা, নিরাপদ খাদ্য, খাদ্য নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে কৃষিপণ্য প্রক্রিয়া ও নিরাপদে সংরক্ষণের প্রক্রিয়া ও সকল সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে সম্মক ধারণা পাবেন। কৃষি খাতের সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনদের এক ছাদের তলায় নিয়ে আসতেই এই মেলার আয়োজন।

কৃষি বাণিজ্য মেলা আয়োজন সম্পর্কে ডিএনসিসি মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘ভোক্তাদের নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ও সুষ্ঠু বাজার ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে সময়োপযোগী বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করে চলেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন। এরই ধারাবাহিকতায় নিরাপদ খাদ্য বাজারজাত।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ৩০, ২০২২ ৯:২০ পূর্বাহ্ন
কুড়িগ্রামে ৫০০ হেক্টর জমিতে আগাম আলুর চাষ
এগ্রিবিজনেস

আগাম আলু চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলে চাষিরা। ধরলা নদীর বিস্তীর্ণ বালুচরে স্যালো মেশিনে পানি তুলে আলুর চাষ করছেন কৃষকরা। বাজারে আলুর দাম ও ফলন ভালো হওয়ায় খুশি চাষিরা। কুড়িগ্রাম জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর জেলার ৯টি উপজেলায় ৫০০ হেক্টর জমিতে আগাম আলুর চাষ হচ্ছে। আলুর দাম ও ফলন ভালো দেখা যাচ্ছে।

কাঁঠাল বাড়ি ইউনিয়নের আলু চাষি মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘আমি ১ বিঘা জমিতে আগাম সেভেন জাতের আলু চাষ করেছি। আলুর ফলন ভালো দেখা যাচ্ছে। আশা করি বিঘাপ্রতি ২৫ মণ আলু পাওয়া যাবে। গত বছর বিঘাপ্রতি ৬৫-৭০ হাজার টাকা খরচ পড়েছে। এ বছর তেল, সার ও কীটনাশকের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিঘাপ্রতি ১ লাখ টাকা খরচ হবে।’

কুড়িগ্রাম জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত জানান, ‘অন্য ফসলের পাশাপাশি চরগুলোয় এ বছর আগাম আলু চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। জেলায় ৭ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৫০০ হেক্টর জমিতে আগাম আলু চাষ হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ মৌসুমে কৃষকরা লাভবান হবেন।’

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ৩০, ২০২২ ৯:১৩ পূর্বাহ্ন
রাজশাহীতে মধু চাষে স্বাবলম্বী ৫০ তরুণ!
কৃষি বিভাগ

রাজশাহীতে মধু চাষে তরুণদের আগ্রহ বাড়ছে। ইতোমধ্যে অনেক তরুণ মধু চাষে স্বাবলম্বী হয়েছেন। এখন সরিষার ক্ষেতের পাশে বাক্স বসিয়ে মধু চাষ করছেন অনেকেই। এতে মধু চাষি ও সরিষা চাষি উভয়ই লাভবান হচ্ছেন। মৌমাছি সরিষা ফুলে পরাগায়নের ফলে সরিষার উৎপাদন বাড়ছে। পাশাপাশি অধিক মধু আহরণ করতে পেরে লাভবান হচ্ছেন মধু চাষিরা।

জানা যায়, বর্তমানে রাজশাহীতে অন্তত ৫০জন তরুণ মধুচাষি মধু চাষ করছেন। কম খরচে মধু উৎপাদন করে আয় করছেন লক্ষাধিক টাকা। এতে করে ভাগ্য বদলের পাশাপাশি মধু চাষে স্বাবলম্বী হচ্ছেন বেকার তরুণরা। এদিকে বাণিজ্যিকভাবে মধু আহরণে মৌ চাষিরা যেমন লাভবান হচ্ছেন পাশাপাশি বাড়ছে সরিষা উৎপাদন।

রাজশাহী গোদাগাড়ী উপজেলার হাতনাবাদ গ্রামের যুবক সুমন আলী বলেন, আমি একসময় কাঠমিস্ত্রীর কাজ করতাম। ২০১৩ সালে রাজশাহীর বিসিক এলাকা থেকে মধু সংগ্রহের বক্স তৈরি করি। মধু সংগ্রহের ট্রেনিং নিয়ে সরিষা ক্ষেতে মধুচাষ শুরু করি। তারপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। মধু চাষ করে আমি স্বাবলম্বী হতে পেরেছি।

সুমন আরো বলেন, এবছর ৫০টির বেশি বক্স বসিয়েছি। গড়ে প্রতি সপ্তাহে তিনি আড়াই মন মধু সংগ্রহ করছি। আমাদের এখনকার উৎপাদিত মধুগুলো ২১ থেকে সাড়ে ২২ গ্রেডের হওয়ায় স্থানীয় ও মার্কেটে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আশা করছি এবছর আড়াই থেকে তিন লাখ টাকার মধু বিক্রি করতে পারবো।

রাজশাহী কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, রাজশাহীতে এবছর ৪০ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও আবাদ হয়েছে ৪২ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে। এবছর রাজশাহীতে ৩ হাজার ৪০২টি মধু চাষের বক্স স্থাপন করা হয়েছে। এসব বক্স থেকে ৪০ হাজার ৮০০ কেজি মধু উৎপাদন হতে পারে। এখন পর্যন্ত ১২ হাজার ২৩০ কেজি মধু সংগ্রহ করা হয়েছে। মধু চাষিরা লাভবান হওয়ার পাশাপাশি সরিষার ফলন বিঘা প্রতি ৩-৪ মণ বেড়েছে।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোজদার হোসেন বলেন, আমরা কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা করে আসছি। ফলে এবছর সরিষার আবাদ বেড়েছে। রাজশাহীতে তরুণরা মধু চাষে ঝুঁকছেন। মধু চাষ করে অনেক বেকার যুবক স্বাবলম্বী হয়েছেন। আর মধু চাষের ফলে সরিষার উৎপাদনও বেড়েছে ২৫ শতাংশ। ফলে সরিষা চাষিরাও লাভবান হচ্ছেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ৩০, ২০২২ ৯:০৮ পূর্বাহ্ন
নতুন কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার
কৃষি বিভাগ

কৃষি মন্ত্রণালয়ের নতুন কৃষি সচিব হিসেবে যোগ দিলেন ওয়াহিদা আক্তার। এর আগে তিনি কৃষি মন্ত্রণালয়ে অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এর আগে তিনি মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর একান্ত সচিব-২, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিবসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে অত্যন্ত সফলতা ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন।

বৃহস্পতিবার সকালে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক তাঁকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। একইসঙ্গে বিদায়ী কৃষিসচিব মো: সায়েদুল ইসলামকে মন্ত্রী ফুল দিয়ে বিদায়ী শুভেচ্ছা জানান।

নবনিযুক্ত কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার দেশের কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে কাজ করার সুযোগ দেওয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও গভীর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কৃষি উৎপাদন ও উন্নয়নে যে অসাধারণ সাফল্য অর্জিত হয়েছে, সেটিকে শুধু অব্যাহত রাখা নয়, তাকে আরও বেগবান করতে কাজ করে যাব।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২৮, ২০২২ ৯:৫৭ অপরাহ্ন
পটুয়াখালীর বাউফলে আমনের শস্যকর্তন ও মাঠদিবস অনুষ্ঠিত
কৃষি বিভাগ

নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): পটুয়াখালীর বাউফলে বিআর২৩ জাতের আমন ধানের শস্যকর্তন ও মাঠদিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৭ ডিসেম্বর উপজেলার উত্তর মাধবপুরে ব্রির উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) বরিশালের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. কাজী শিরীন আখতার জাহান । অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আদর্শ কৃষক আব্দুর রহিম মৃধা। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ব্রির উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. প্রিয়লাল বিশ্বাস, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তমালিকা সাহা, কৃষক সুজন কবিরাজ প্রমুখ।

প্রধান অতিথি বৈজ্ঞানিক উপায়ে ধান চাষাবাদে কৃষকদের আহবান জানান। এ বিষয়ে প্রযুক্তিগত পরামর্শ এবং যেকোনো সমস্যা সমাধানে কৃষকদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।

প্রদর্শনীচাষি সুজন কবিরাজের উৎপাদিত ফসলের প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে হেক্টরপ্রতি ধানের ফলন হয়েছে ৬ টন প্রায় । তিনি বিআর২৩ জাত ব্যবহারের মাধ্যমে এমন ফলন পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন । অনুষ্ঠানে শতাধিক কৃষক অংশগ্রহণ করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২৮, ২০২২ ৭:০৮ অপরাহ্ন
গোপালগঞ্জে ভাসমান বেডের নিরাপদ পেঁয়াজ কালিতে মিলছে অর্থ
কৃষি বিভাগ

গোপালগঞ্জে ভাসমান বেডের নিরাপদ পেঁয়াজ কালিতে মিলছে অর্থ। প্রতিটি বেড থেকে ১দিন পর ১ জন কৃষক ২ কেজি করে পেঁয়াজ কালি বিক্রি করছেন। ৮০ টাকা কেজি দরে কৃষক পেঁয়াজ কালি বিক্রি শুরু করেন। এখন তারা প্রতি কেজি কালি ৩০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। মানব দেহের জন্য নিরাপদ বিষমুক্ত কালি বিক্রি করে তারা ভালো টাকা পাচ্ছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভাসমান বেডে সবজি ও মসলা চাষ জনপ্রিয় করণ প্রকল্পের আওতায় গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার রঘুনাথপুর ইউনিয়নের নকড়ীরচর গ্রামে ২৫টি ভাসমান বেডে ৫ জন কৃষক এ বছর পেঁয়াজের চাষ করছেন। ১২ মিটার লম্বা ও ১মিটার চওড়া একটি বেড থেকে কৃষক ১দিন পর একদিন ২ কেজি করে পেঁয়াজ কালি তুলছেন। সে হিসেবে ১দিন পর একদিন ২৫টি বেড থেকে ৫০ কেজি পেঁয়াজ কালি বিক্রি করছেন কৃষক।
রঘুনাথপুর ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা প্রদীপ হালদার বলেন, ৩ বছর আগে ভাসমান বেডে নকড়ীরচর গ্রামের কৃষক হানিফ মল্লিক প্রথম পেঁয়াজ চাষ করেন। তিনি পেঁয়াজ চাষে সাফল্য অর্জন করেন। গত বছরও তিনি ভাসমান বেডে পেঁয়াজের চাষাবাদ করে লাভবান হন। তার দেখাদেখি এ বছর আরো ৪ জন কৃষক ভাসমান বেডে পেঁয়াজ চাষ করেছেন। হানিফসহ ৫ জন কৃষক ২৫টি বেডে পেঁয়াজ চাষ করেছেন। তারা এখন ভাসমান বেড থেকে পেঁয়াজ কালি তুলে বিক্রি করছেন। এতে তারা ভালো টাকা পাচ্ছেন। বাজারে তাদের কালির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
নকড়ীরচর গ্রামের কৃষক হানিফ মল্লিক বলেন, বর্ষাকালে আমরা কচুরিপানা দিয়ে বেড তৈরি করি ।এ বেডে শাক ও সবজির আবাদ করি। বেডের শাক-সবজি বিক্রি অক্টোবরে মাঝামাঝি শেষ হয়। তখন বাওড়ের পানি কমতে থাকে। এরপর বেডে পেঁয়াজ রোপণ করি। নভেম্বরের মাঝামাঝি ভাসমান বেড থেকে পেঁয়াজ কালি বিক্রি শুরু করেছি। একদিন পর একদিন প্রতিটি বেড থেকে ২ কেজি করে কালি তুলছি। প্রথম ৮০ টাকা কেজি দরে কালি বিক্রি করেছি। এখন ৩০ টাকা কেজি দরে কালি বিক্রি করছি। জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত এ কালি বিক্রি করব। আমাদের কালি চিকন ও আকারে ছোট। তাই বাজারে এ কালির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ক্রেতারা একটু বেশি দামে এ কালি কিনে নিয়ে যাচ্ছে। একটি বেড থেকে ২ মাসে অন্তত ৬০ কেজি কালি বিক্রি করতে পারব। কালিতে পেঁয়াজের থেকে বেশি টাকা পাব ।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাফরোজা আক্তার বলেন,ভাসমান বেডে কোন কেমিক্যাল সার ও কীটনাশক ছাড়াই পোঁয়াজ আবাদ করা হয়েছে। এ বেডে এখন প্রচুর পরিমানে পেঁয়াজ কালি ধরেছে । এ পেঁয়াজ কালি মানব দেহের জন্য নিরাপদ। কৃষকরা এখান থেকে পেঁয়াজ কালি তুলে নিজেরাই বাজারে বিক্রি করছেন।
গোপালগঞ্জের পাঁচুড়িয়া বাজারের ক্রেতা সামসুদ্দিন বলেন, সারা বছর হানিফের কাছ থেকে শাক-সবজি ক্রয় করি। তার শাক-সবজি খেতে খুবই সুস্বাদু। তাই তার শাক-সবজি একটু বেশি দামে ক্রয় করে থাকি। এখন শক-সবজির সাথে সে মাঝে মাঝে পেঁয়াজ কালি বাজারে নিয়ে আসছেন। তার পেঁয়াজ কালির মত এত সুন্দর পেঁয়াজ কালি বাজারে আর কেউ আনে না। তাই সবাই আগ্রহ করে বেশি দামে হানিফের পেঁয়াজ কালি সবাই কিনে নিয়ে যায়। তার পেঁয়াজ কালির স্বাদ ভালো।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২৭, ২০২২ ৫:৩১ অপরাহ্ন
অনুমোদন পেল উদ্ভাবিত ধানের আরও তিনটি জাত
কৃষি গবেষনা

জাতীয় বীজবোর্ডের অনুমোদন পেল বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) উদ্ভাবিত আরো তিনটি নতুন ধানের জাত। গতকাল সোমবার জাতীয় বীজ বোর্ডের ১০৮তম সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। ব্রি উদ্ভাবিত নতুন তিনটি জাতের মধ্যে ব্রি ধান ১০৩ আমন মৌসুম, ব্রি ধান ১০৪ ও ব্রি হাইব্রিড ধান ৮ বোরো মৌসুমের জন্য অবমুক্ত করা হয়েছে।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় বীজ বোর্ডের সভাপতি ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ধানের জাতগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়। সেখানে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীরসহ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) ব্রি থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন উদ্ভাবিত ব্রি ধান ১০৩ আমন মৌসুমের একটি জাত। জাতটির কৌলিক সারি BR (Bio) 8961- AC26-16। ব্রি ধান ২৯-এর সঙ্গে FL378 এর সংকরায়ণ করা এবং পরবর্তী সময়ে F1 generation-এ অ্যান্থার কালচার পদ্ধতি (জীবপ্রযুক্তি) ব্যবহার করে এ জাতটি উদ্ভাবন করা হয়। এ জাতটির পূর্ণবয়স্ক গাছের গড় উচ্চতা ১২৫ সেমি। ডিগ পাতা খাড়া। দানা লম্বা ও চিকন। ১০০০ পুষ্ট ধানের ওজন প্রায় ২৩.৭ গ্রাম। ধানে অ্যামাইলোজের পরিমাণ ২৪%। এ জাতটির গড় জীবনকাল ১৩২ দিন। ধানের গড় ফলন প্রতি হেক্টরে ৬.২ টন। উপযুক্ত পরিচর্যা পেলে জাতটি প্রতি হেক্টরে ৮.০ টন পর্যন্ত ফলন দিতে সক্ষম।

ব্রি ধান ১০৪-এর কৌলিক সারি বিআর ৮৮৬২-২৯-১-৫-১-৩। কৌলিক সারিটি ব্রিতে ২০০৭ সালে আইআর ৭৪০৫২-২১৭-৩-৩-এর সঙ্গে বিআর ৭১৫০-১১-৭-৪-২-১৬- এর সংকরায়ণ করে এবং পরবর্তীকালে বংশানুক্রম সিলেকশনের (Pedigree Selection) মাধ্যমে উদ্ভাবিত হয়। ব্রি গাজীপুরের গবেষণা মাঠে হোমোজাইগাস কৌলিক সারিটি নির্বাচন করা হয় এবং পরবর্তী সময়ে নির্বাচিত হোমোজাইগাস কৌলিক সারিটি পাঁচ বছর ফলন পরীক্ষার পর ২০১৯ সালে ব্রির আঞ্চলিক কার্যালয়গুলোর গবেষণা মাঠে ও ২০২০ সালে দেশের বিভিন্ন এলাকায় কৃষকের মাঠে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়।

২০২১ সালে বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সি কর্তৃক স্থাপিত প্রস্তাবিত জাতের ফলন পরীক্ষায় বেশি ফলন দিয়েছে। (পিভিটি) সন্তোষজনক হওয়ায় জাতীয় বীজ বোর্ডের মাঠ মূল্যায়ন দল কর্তৃক সুপারিশের পর জাতীয় বীজ বোর্ডের ১০৮ তম সভায় ব্রি ধান ১০৪ বোরো মৌসুমের উন্নত গুণাগুণসম্পন্ন জাত হিসেবে ছাড়করণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ব্রি ধান ১০৪-এ আধুনিক উফশী ধানের সব বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। এ জাতের ডিগ পাতা খাড়া, প্রশস্ত ও লম্বা, পাতার রং সবুজ। পূর্ণবয়স্ক গাছের গড় উচ্চতা ৯২ সেন্টিমিটার। জাতটির গড় জীবনকাল ১৪৭ দিন। ১০০০টি পুষ্ট ধানের ওজন গড়ে ২১.৫ গ্রাম। এ জাতের ধান বাসমতি টাইপের তীব্র সুগন্ধিযুক্ত। এ ধানের দানায় অ্যামাইলোজের পরিমাণ শতকরা ২৯.২ ভাগ। এছাড়া প্রোটিনের পরিমাণ শতকরা ৮.৯ ভাগ এবং ভাত ঝরঝরে।

এ জাতের জীবনকাল ব্রি ধান ৫০-এর প্রায় সমান। ধানের গুণগত মান ভালো অর্থাৎ চালের আকার আকৃতি অতিরিক্ত লম্বা চিকন (Extra Long Slender) (৭.৫ মি.মি. লম্বা) এবং রং সাদা। প্রস্তাবিত জাতের ফলন পরীক্ষায় ১০টি অঞ্চলে ব্রি ধান৫০-এর চেয়ে ব্রি ধান ১০৪-এর ফলন প্রায় ১১.৩৩% বেশি। পাওয়া গেছে। এর মধ্যে শীর্ষ ছয় স্থানে। এটি ব্রি ধান ৫০-এর চেয়ে ১৭.৯৪% বেশি ফলন দিয়েছে।

 

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২৭, ২০২২ ৯:৫২ পূর্বাহ্ন
শিমের বাম্পার ফলনে খুশি জয়পুরহাটের কৃষকরা!
কৃষি বিভাগ

উত্তরবঙ্গের জেলা জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলায় শিমের চাষ বেড়েছে। এই উপজেলার মাটি শিমসহ সব ধরনের সবজি উৎপাদনের জন্য উপযোগী হওয়ায় দিন দিন সবজির চাষাবাদে কৃষকরা আগ্রহী হচ্ছেন। এছাড়া শিম চাষে খরচ কম ও বাজারে ভালো দাম পাওয়া যায় বলে কৃষকরা শিম চাষে ঝুঁকেছেন।

জানা যায়, আগে কৃষকরা তাদের বাড়ির আশেপাশে ও পরিত্যক্ত জায়গায় শিম গাছ লাগতেন। বর্তমানে কৃষকরা বাণিজ্যিকভাবে জমিতে বাঁশের খুটি ও সুতা দিয়ে মাচা বানিয়ে শিম, লাউ, পটল, করলাসহ আরো অনেক সবজির চাষাবাদ করছেন। অন্যান্য ফসলের তুলনায় সবজি চাষে লাভবান হওয়া যায়। তাই কৃষকরা দিন দিন সবজি চাষের দিকে ঝুঁকছেন।

উপজেলার বাগজানা ইউনিয়নের চাম্পাতলীর শিম চাষি আবু বক্কর বলেন, আমি প্রথমে করলা চাষ করেছিলাম। করলার চাষের শেষের দিকে ওই একই জায়গায় শিমের বীজ রোপন করেছি।

তিনি আরো বলেন, বর্তমানে শিমের বাজারদর ভালো। কিছুদিনের মধ্যে শিম তুলে বিক্রি করতে পারবো। আশা করছি লাভবান হতে পারবো।

একই গ্রামের কৃষক উমর আলী বলেন, আমি এবছর ১ বিঘা জমিতে শিমের চাষ করেছি। শিম চাষে আমার ৫ হাজার টাকা খরচ হয়। শুরুতে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে পারলেও এখন দাম কিছুটা কম। বর্তমানে প্রতি কেজি শিম ৩০-৩৫ টাকা দরে বিক্রি করতে পারছি। তাতে মোটামুটি লাভের আশা করছি। তবে আগের আগের দামে বিক্রি করতে পারলে বেশি লাভ হতো।

পাঁচবিবি উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. লুৎফর রহমান বলেন, পাঁচবিবি উপজেলায় রয়েছে প্রায় ৫৫০ হেক্টর জমিতে আন্তঃফসল হিসেবে বিভিন্ন ধরনের সবজির চাষ হচ্ছে। কৃষকরা আলুর সঙ্গে ভূট্টা, আলুর সঙ্গে মিষ্টি কুমড়া, বেগুণের সঙ্গে মরিচ আবার একই সঙ্গে লাল শাক, কলমি, পালং শাক, শিম, পেঁয়াজ ইত্যাদি চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। বিশেষ করে এই মৌসুমে সবজির মধ্যে শিম চাষে কৃষকরা বেশি লাভবান হতে পারছেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২৬, ২০২২ ৬:১৩ অপরাহ্ন
শেরপুরে সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা
কৃষি বিভাগ

এবার আবহাওয়া অনুকূল থাকায় শেরপুর জেলায় সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে। স্বল্প সময়ে চাষ হয়, উৎপাদন খরচ কম এবং লাভ বেশি হওয়ায় আমন ধান কাটার পর জমি পতিত না রেখে জমিতে সরিষা উৎপাদনে ঝুঁকে পড়েছেন কৃষকেরা। এতে করে কৃষকেরা লাভবান হওয়ার পাশাপাশি দেশে তেলের ঘাটতি মেটানো সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে জেলা কৃষি বিভাগ। এছাড়াও কৃষকদের সরিষা চাষে আগ্রহ বৃদ্ধিতে জেলার ৫টি উপজেলা ও ৪টি পৌরসভার মোট ২৫০০০ হাজার প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষককে সরিষার বীজ ও সার প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে।

জেলার শ্রীবরদী ও নকলা উপজেলায় প্রচুর আগাম সরিষার চাষ হয়েছে। সদর উপজেলার চরাঞ্চল গুলোতেও দেখা মেলে একই চিত্র। মাঠের পর মাঠ সরিষা ক্ষেতে হলুদ ফুল এসেছে। যেন হলুদ কাপড়ের চাঁদর বিছানো হয়েছে দিগন্তজুড়ে। তবে যারা দেরিতে বীজ বপন করেছেন সেই সরিষা ক্ষেত গুলোতে কেবল ফুল আসতে শুরু করেছে। সদর উপজেলার কামারের চর ইউনিয়নের ৬নং চর ও ৭ নং চর এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে অন্য চিত্র। এখানের অনেক কৃষক শীত কালীন সবজি হিসেবে খাওয়ার জন্য আগাম সরিষা চাষ করেছেন। সেই শাক বিক্রি করে আবার সরিষা উৎপাদনের জন্য নতুন করে বীজ বপন করছেন।

এ বছর জেলার ৫টি উপজেলায় ৮হাজার ৭শ হেক্টর জমিতে আগাম সরিষা চাষ হয়েছে। যার মোট উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১২হাজার মেট্রিকটন। হেক্টরপ্রতি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ দশমিক ৪ মেট্রিকটন। এছাড়াও জানাযায়, শেরপুরে গত বছর ৮হাজার মেট্রিকটন সরিষা উৎপাদন হয়েছে। এবার প্রায় ৪হাজার মেট্রিকটন উৎপাদন বের্শি হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

কামারের চর ইউনিয়নের ৬নং চর গ্রামের কৃষক শফিকুল ইসলাম বলেন, আবহাওয়া ভালো থাকায় ফলন ভালো হয়েছে। আমি দেড় বিঘা জমিতে সরিষার আবাদ করেছি। এর মধ্যে অর্ধেক জমি থেকে সরিষার শাক হিসেবে বাজারে বিক্রি করে দিয়েছি। বাকিটুকা রেখেছি তেল বানানোর জন্য।

কুড়িকাহনিয়া ইউনিয়নের ইন্দিলপুর গ্রামের কৃষক আমির হোসেন জানান, সয়াবিন তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় এ বছর সরিষার দাম বাড়বে খবর পেয়ে আমরা সবাই বেশি পরিমান জমিতে সরিষা চাষ করেছি। ফলনও ভালো হয়েছে। আশা করি দামও ভালো পাবো। তবে তিনি আক্ষেপ করে বলেন, উৎপাদন বাড়লে ব্যাবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দাম কমিয়ে ফেলে। এতে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হই। আশা করি সরকার বিষয়টা দেখবে।

শেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ ড. সুকল্প দাস জানান, তেলের ঘাটতি পূরণের জন্য দেশে তেল ফসলের আবাদ ও উৎপাদন বাড়ানো হয়েছে। তেল ফসলের মধ্যে সরিষা অন্যতম। সরকার আগামী দুই বছরের মধ্যে সয়াবিনের উপর ৪০% চাপ কমাতে এবং সয়াবিন তেলের আমদানি নির্ভরতা কমাতে সরিষা চাষের মহা পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। আমরা কৃষকদের সরিষা চাষে আগ্রহ সৃর্ষ্টির জন্য স্বপ্ল মেয়াদী রুপা আমন ধানের চাষ করার পরামর্শ দিয়েছি। যার ফলে কৃষক দ্রুত সময়ের মধ্যে ধান কেটে সরিষা আবাদ করতে পেরেছে।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop