১১:৪০ অপরাহ্ন

রবিবার, ১৭ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ৪, ২০২৩ ৮:৩৯ অপরাহ্ন
খিরা চাষে সিরাজগঞ্জের কৃষকের মুখে হাসি
কৃষি বিভাগ

সিরাজগঞ্জে খিরা চাষে ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। প্রতিদিন আড়তে বেচা-কেনা হচ্ছে কয়েকশ টন খিরা। চলনবিল অধ্যুষিত তাড়াশ ও উল্লাপাড়ার উৎপাদিত এসব খিরা স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে আড়ৎ থেকে প্রতিদিন ঢাকা, চট্টগ্রাম, বগুড়া, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের পাইকাররা কিনছেন।

সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলায় এবার ৬৬৬ হেক্টর জমিতে খিরা চাষ হয়েছে। এর মধ্যে তাড়াশ উপজেলায় রয়েছে ৪৩৯ হেক্টর। এ বছর আবহাওয়া ভালো থাকায় মৌসুমি খিরার হাট বসেছে ১৫টি স্থানে।

তাড়াশ উপজেলার দিঘড়িয়া গ্রামের প্রান্তিক কৃষক ফজর আলী জাগো নিউজকে বলেন, ‘গত বছর আধা বিঘা জমিতে খিরা চাষ করেছিলাম। এবার ২৫ শতাংশ জমিতে চাষ করেছি। ফলন ও দাম ভালোই পাচ্ছি।’

উল্লাপাড়া উপজেলার কৃষক আক্কাস আলী বলেন, ‘প্রতি বছর ধান ও সরিষা চাষ করলেও এবার আড়াই বিঘা জমিতে খিরা চাষ করেছি। এতে প্রতি বিঘা জমিতে একশ’র ও বেশি মণ খিরা উৎপাদন হবে। এসব খিরা স্থানীয় বাজারে ৯০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।’

উল্লাপাড়া উপজেলার লাহিড়ী মোহনপুর ইউনিয়নের চরবর্দ্ধনগাছা খিরার হাটের আড়তদার ফজলুল করিম জাগো নিউজকে বলেন, ‘এবার খিরার দ্বিগুণ উৎপাদন হয়েছে। সেই সাথে চাহিদা থাকায় ভালো দাম পাচ্ছে কৃষক।’

এ প্রসঙ্গে সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বাবলু কুমার সূত্রধর জাগো নিউজকে বলেন,
‘গত বছরের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এবার ৭৫ হেক্টর জমিতে খিরা বেশি চাষ হয়েছে। এ মৌসুমে খিরা চাষে আবহাওয়া অনূকূল থাকায় কৃষকরা ভালো ফলন ও দাম পাচ্ছেন।’

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ৩, ২০২৩ ৮:১৪ অপরাহ্ন
মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষে ঝুঁকছেন শিবচরের কৃষকরা!
কৃষি বিভাগ

মাদারীপুরের তরুণদের মাঝে দিন দিন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে সবজি চাষ। তরুণরা চাকরি ও ব্যবসার পাশাপাশি আধুনিক পদ্ধতিতে বিভিন্ন জাতের সবজি চাষে আগ্রহী হয়েছেন। বিশেষ করে মালচিং পদ্ধতিতে চাষ করে অনেক তরুণ সফল হয়েছেন। ধীরে ধীরে এই পদ্ধতিতে সবজি চাষ কৃষক সহ তরুনদেরও আকর্ষিত করছে।

জানা যায়, মাদারীপুর জেলার শিবচরের চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকার পতিত জমি এখন চাষের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। নিজেদের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবে সবজি চাষ করেছেন কৃষক সহ তরুন ও যুবকরা। এতে ব্যবহার হচ্ছে আধুনিক মালচিং পদ্ধতি। সম্প্রতি বিভিন্ন জাতের সবজি চাষে মাটি তৈরিতে পলিথিনের ব্যবহার বাড়ছে। এই পদ্ধতিতে উৎপাদন অনেক বেশি বলে জানান একাধিক তরুণ কৃষক। তাই দিন দিন এই পদ্ধতিতে চাষ ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।

জানা যায়, কৃষকরা আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ করছেন। কৃষকরা ফসল ফলানোর পাশাপাশি বিভিন্ন জাতের শাক-সবজি চাষ করছেন। জৈব সারের প্রয়োগে মাটি তৈরী, সারিবদ্ধভাবে মাটি উঁচু করে পলিথিনের শিট বিছিয়ে দিচ্ছেন এবং নির্দিষ্ট দূরত্বে বীজ বপন করে তাতে টমেটো, ফুলকপি, বাধাকপি, করলা, ঢেঁড়স, স্কোয়াশ, ব্রুকলি, নানা জাতের বেগুন, মরিচ, ক্যাপসিকাম ফলানো হচ্ছে। সবজিকে পোকামাকড় থেকে রক্ষা করতেও ব্যবহার হচ্ছে আধুনিক পদ্ধতি।

উপজেলার রাজারচর এলাকার সবজিচাষী সুমন আহমেদ বলেন, আমি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি। তার পাশাপাশি গত ৫ বছর আগে পরিক্ষামূলক সবজি চাষ করেছিলাম। বর্তমানে আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহারে বাণিজ্যিকভাবে বড় পরিসরে নানা ধরনের সবজি চাষ করছি।

তিনি আরো বলেন, কৃষির প্রতি টান থেকেই শুরু করেছি। এখন বানিজ্যিকভাবে আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করে শিবচরে বিদেশি সবজির মধ্যে ব্রুকোলি, স্কোয়াশ, রেড ক্যাভেজ প্রথম চাষ করি। ভালো ফলনও পেয়েছি। এছাড়াও ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, বেগুন, করলার চাষ করছি।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে শিবচর উপজেলায় মালচিং পদ্ধতিতে ৬ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন ধরনের সবজির চাষাবাদ করা হয়েছে। শিবচরে ৪২ জন কৃষক এ পদ্ধতিতে চাষাবাদ করছেন।

স্থানীয় আরো কৃষকরা জানান, আধুনিক পদ্ধতিতে প্রথমেই বেশি খরচ হয়। পরে আর বেশি খরচ করতে হয় না। এই পদ্ধতিতে চাষ করলে গাছে আগাছাও কম হয়। বারবার সার দেওয়া ও পানির সেচের ঝামেলা থাকে না। তাই এই পদ্ধতিতে চাষে ঝুঁকি কম আর লাভবান হওয়া যায়।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, মালচিং পদ্ধতি চাষাবাদ একটি আধুনিক পদ্ধতি। সবুজ কৃষির জন্য ওই পদ্ধতিগুলো অত্যন্ত কার্যকর। এতে উৎপাদন খরচ কম হয়। আমরা এ পদ্ধতিটি কৃষকের মাঝে ছড়িয়ে দিতে কাজ করছি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ৩, ২০২৩ ৭:৩২ অপরাহ্ন
ধানে চিটা হওয়ার কারণ ও সমাধান
কৃষি গবেষনা

বোরো ধান উৎপাদনে উচ্চ তাপমাত্রার প্রভাব –
মার্চ মাসের ৩য় সপ্তাহ থেকে দিনের বেলার তাপমাত্রা প্রায়শই ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার চেয়েও বেড়ে যাচ্ছে। যা ধানের ফুল ফোটা পর্যায়ে চিটা সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
ধান গাছের জীবনচক্রের বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের তাপমাত্রায় গাছের বাড়-বাড়তি প্রভাবিত হয়। আমাদের দেশে চাষকৃত জাতসমূহ সাধারনত: ২০-৩০ ডিগ্রী সেলসিয়াস গড় তাপমাত্রায় বৃদ্ধি ও উন্নয়ন সবচেয়ে ভালো হয়। তাপমাত্রা এর চেয়ে উপরে বা নিচে চলে গেলে ধান গাছের বৃদ্ধি ও উন্নয়ন ব্যহত হয়।
তবে উচ্চ তাপমাত্রার কারণে সাধারনত: প্রজনন পর্যায় যথাঃ শীষ গঠন ও ফুলফোটা/পরাগায়ন এবং দানা ভরাট/গঠন পর্যায়ে দিনের তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস বা এর চেয়ে বেশী হলে ধানে চিটা সমস্যা ও দানার পুষ্টতা বাধাগ্রস্থ হয়।
ধানের বৃদ্ধির বিভিন্ন পর্যায়ে উচ্চ তাপমাত্রার কারণে বৃদ্ধি ও উন্নয়ন ত্বরান্বিত হলেও ফুলফোটা পর্যায়ে তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস বা এর চেয়ে বেশী হলে ধানে চিটা সমস্যা দেখা দেয়।
সাধারনত: ফুলফোটা পর্যায়ে দিনের তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস এর বেশী হলে ঐদিন যে ফুলসমূহ ফুটবে তা চিটা হয়ে যাবে এ কারনে সম্পূর্ন শীষ চিটা হবে না।
আমাদের দেশে দীর্ঘ জীবনকালের বোরো ধানের জাত সমূহ, নাবী বোরো ও আউস ধানে উচ্চ তাপমাত্রার কারণে চিটা সমস্যা দেখা যায়। এছাড়াও এসময়ে চাষকৃত জাতসমূহ রাত্রীকালীন উচ্চ তাপমাত্রা এবং ঝড়ের কারণে দানার পুষ্টতা বাধাগ্রস্থ হয় ও দানা কালো বর্ণ ধারণ করে ফলে বীজ ও ধানের মান এবং ফলন কমে যায়।
উচ্চ তাপমাত্রার ক্ষয়ক্ষতি ও প্রভাবঃ
প্রজনন পর্যায়ে অতি উচ্চ তাপে (৩৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস বা এর বেশী হলে) শিষে ধানের সংখ্যা কমে যেতে পারে।
ফুল ফোটা পর্যায়ে অথবা পরাগায়ণের সময় উচ্চ তাপে (৩৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস বা এর বেশী হলে) ধানের পরাগায়ন বাধাগ্রস্থ হয় ফলে চিটার সংখ্যা বেশী হয়।
রাত্রীকালীন উচ্চ তাপমাত্রা (২৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস বা এর বেশী হলে) ও ঝড়ের কারণে দানার পুষ্টতা বাধাগ্রস্থ হয় ও দানা কালো বর্ণ ধারণ করে।
ফুল ফোটা পর্যায়ে অথবা পরাগায়ণের সময় ইট-ভাটার আশে-পাশের জমিতে উচ্চ তাপমাত্রার প্রভাবের কারণে ধানের শীষ আগুনে-ঝলসে যাওয়ার মত লক্ষণ দেখা যায় ফলে চিটার সংখ্যা ব্যাপক হারে বেড়ে যায় ও দানার পুষ্টতা বাধাগ্রস্থ হয় ও ফলন ব্যাপকহারে কমে যায়।
ক্ষয়ক্ষতি পূরণে ব্যবস্থাপনাঃ
চৈত্র ও বৈশাখ (এপ্রিল) মাসের উচ্চ তাপমাত্রা প্রাকৃতিক বিধায় প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়, তবে বোরো ধানের জাত নির্বাচন এবং এদের বপন ও রোপন সময় সমন্বয় করে এ সমস্যা এড়ানো সম্ভব।
স্বল্প জীবনকালের বোরো ধানের জাত যথা: ব্রি ধান২৮, অগ্রহায়ন মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে বপন এবং ৪০-৪৫ দিন বয়সের চারা রোপন করে প্রজনন ও ফুল ফোটা পর্যায়ে চৈত্র ও বৈশাখ (এপ্রিল) মাসের উচ্চ তাপমাত্রার প্রভাব এড়ানো সম্ভব।
দীর্ঘ জীবনকালের বোরো ধানের জাত সমূহ যথা: ব্রি ধান২৯ ও ব্রি ধান৫৮, কার্তিক মাসের ৩য়-৪র্থ সপ্তাহের মধ্যে বপন এবং ৪০-৪৫ দিন বয়সের চারা রোপন করে প্রজনন ও ফুল ফোটা পর্যায়ে চৈত্র ও বৈশাখ (এপ্রিল) মাসের উচ্চ তাপমাত্রার প্রভাব এড়ানো সম্ভব।
জমিতে সেচ প্রদান করে এবং পানি ধরে রেখে চৈত্র ও বৈশাখ মাসের উচ্চ তাপমাত্রার প্রভাব কিছুটা কমানো যেতে পারে।
ধানের জমির আশে-পাশে ইট-ভাটা স্থাপনের অনুমোদন না দেওয়া অথবা ইট-ভাটার আশে-পাশে ধান চাষ না করা।
উচ্চ তাপমাত্রা সহিষ্ণু ধানের জাত চাষ করতে হবে।
এসময় করণীয়:-
ক)জমিতে পানি ধরে রাখুন।
খ) কাইচ থোর পর্যায়ে পটাশ, জিবি বোরন, মাইটিভিট, জিবি জিংক এবং কেমোজল জাতীয় ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে পারেন।
গ) ১০লিটার পানিতে ৬০গ্রাম পটাশ সার+৬০গ্রাম মাইটিভিট একত্রে মিশিয়ে ৫শতক জমিতে স্প্রে করতে পারেন।
বিস্তারিত পরামর্শের জন্য উপজেলা কৃষি অফিসারের কার্যালয়ে অথবা ইউনিয়ন/ ব্লক পর্যায়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নিন।
তথ্যসূত্র :
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি)

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২, ২০২৩ ৭:০৮ অপরাহ্ন
জয়পুরহাটে ৯১০ হেক্টর জমিতে এবার পেঁয়াজ চাষ হয়েছে
কৃষি বিভাগ

খাদ্য উৎপাদনে উদ্বৃত্ত জেলা জয়পুরহাটে চলতি ২০২২-২০২৩ রবি ফসল চাষ মৌসুমে ৯১০ হেক্টর জমিতে এবার পেঁয়াজের চাষ হয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, পেঁয়াজ চাষে সরকারি ভাবে প্রণোদনা প্রদান করা এবং বাজারে পেঁয়াজের দাম ভালো পাওয়ায় জেলায় পেঁয়াজ চাষে দিন দিন আগ্রহী হয়ে উঠছেন কৃষকরা। জেলায় পেঁয়াজ চাষ সফল করতে ব্যাপক কর্মসচি গ্রহণ করে স্থানীয় কৃষি বিভাগ। জেলায় ৮০০ হেক্টর জমিতে এবার পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও চাষ হয়েছে ৯১০ হেক্টর। এতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ১০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ ।

উপজেলা ভিত্তিক পেঁয়াজ চাষের মধ্যে রয়েছে জয়পুরহাট সদর উপজেলায় ৩ শ ২০ হেক্টর, পাঁচবিবিতে ৪ শ ৫৫ হেক্টর, আক্কেলপুরে ৭০ হেক্টর, ক্ষেতলাল উপজেলায় ৪৫ হেক্টর ও কালাই উপজেলায় ২০ হেক্টর জমিতে। রোপা আমন ধান কাটা-মাড়াই শেষে জয়পুরহাটের কৃষকরা পেঁয়াজ চাষের প্রস্তুতি গ্রহণ করে থাকেন। আগাম পেঁয়াজ চাষে লাভবান হওয়ার আশায় অনেকেই আগাম জাতের পেঁয়াজও চাষ করে থাকেন জয়পুরহাটে। জেলায় পেঁয়াজ চাষ সফল করতে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করাসহ প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করছে কৃষি বিভাগ বলে জানান, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ রাহেলা পারভীন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২, ২০২৩ ৬:৫০ অপরাহ্ন
কৃষি উৎপাদন অব্যাহত রাখতে সার, বীজের দাম বাড়ানো হবে না : কৃষিমন্ত্রী
কৃষি বিভাগ

কৃষি উৎপাদনের ধারা অব্যাহত রাখতে সার, বীজসহ কৃষি উপকরণের দাম বাড়ানো হবে না বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের পলিসি হলো যেকোন মূল্যে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি ও খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করা।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার অদূরে সাভারের ব্র্যাক সিডিএম মিলনায়তনে সার্কভুক্ত দেশসমূহে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অর্জনে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী একথা বলেন।
বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন নেটওয়ার্ক (বায়েন) ও ভারতের পার্টিসিপেটরি রুরাল ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ সোসাইটি (প্রাডিস) যৌথভাবে তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলনের আয়োজন করে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। রেকর্ড পরিমাণ খাদ্য মজুত আছে। দেশে দুর্ভিক্ষ হবে না। ফসলের গবেষণা ও সম্প্রসারণের মধ্যে বিরাট গ্যাপ রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, গবেষক বা বিজ্ঞানীর উদ্ভাবিত জাত যেটি গবেষণা পর্যায়ে বিঘাতে ৮ মণ উৎপাদন হয়, সেটি সম্প্রসারণের পর কৃষক পর্যায়ে দেখা যায় উৎপাদন হয় বিঘাতে ৩ থেকে ৪ মণ। এই বিশাল গ্যাপ কমিয়ে আনতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত ফসলের মধ্যে লবণসহিষ্ণু জাতও রয়েছে। কিন্তু এগুলো মাঠে কৃষকের কাছে যেতে সময় নিচ্ছে বেশি। এই দেরির কারণ খুঁজে বের করতে হবে।

অনুষ্ঠানে প্রাডিসের সিনিয়র এডভাইজর ভিভি সাডামাতে, খাদ্য ও কৃষি সংস্থার বিশেষ প্রতিনিধি দানিয়েল গুস্তাফসন, বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট সিম্পসন, বায়েনের সভাপতি হামিদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সেকান্দর আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন ভূঁইয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

কৃষি সম্প্রসারণকর্মীদের তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলনে ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান ও বাংলাদেশের ৩৫০ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১, ২০২৩ ৭:৪৩ অপরাহ্ন
আগাম আলুর বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে!
কৃষি বিভাগ

জয়পুরহাটের কালাই উপজেলায় আগাম আলুর বাম্পার ফলনে হাসি ফুটেঠে কৃষকের মুখে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও সময় মতো পরিচর্যা করায় বাম্পার ফলন হয়েছে। বর্তমানে বাজারে আলুর দাম ভালো থাকায় খুশি কৃষকরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, সদর উপজেলার হিচমি সহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার মাঠে চাষিরা মহিলা শ্রমিক নিয়ে আগাম জাতের আলু তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। চাষিদের চাষকৃত মিউজিকা, গ্যানোলা, ক্যারেজ, রোমানা, পাকরি ও স্ট্রিক জাতের আলু জমি থেকে তুলতে শুরু করেছেন।

কালাই উপজেলার বালাইট গ্রামের আলুচাষি আবুল কাশেম বলে জানান, এবছর আমি ৫০ শতক জমিতে আগাম জাতের মিউজিকা আলুর চাষ করেছি। আলু রোপনের ৬০ দিন পরই তুলেছি। ভালো ফলন পেয়েছি। আলু চাষে ৪৯ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বাজারে ৭২০ টাকা মণ দরে বিক্রি করে লাভবান হতে পেরেছি। মাঠে আরো আলু রয়েছে সেগুলো আরো ১০-১৫ দিন পর তুলবো।

অন্যান্য আলুচাষিরা জানান, এখন আমরা যারা আলু তুলতেছি তারা বিক্রি করে লাভবান হতে পারছি। গত সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি মণ আলুর দাম ১০০-১৫০ টাকা বেড়েছে। আলুর দাম এভবে বাড়তে থাকলে আমরা আরো বেশি লাভবান হতে পারবো।

কালাই উপজেলার মোলামগাড়ী হাটে আলু বিক্রি করতে আসা চাষিরা জানান, আগের থেকে এখন দাম একটু বেড়েছে। বাজারে প্রতি মণ ক্যারেজ আলু ৭২০-৭৩০ টাকায় পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। আর লাল স্ট্রিক আলু ৬৫০-৬৭০ টাকা মণ। আলুর দাম এভাবে বাড়তে থাকলে চাষিরা এবার লাভের মুখ দেখবেন।

মোলামগাড়ী হাটের পাইকার সাইফুল ইসলাম বলেন, বাজারে এখন আগাম জাতের আলু উঠতে শুরু করেছে। এসব আলু রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন বড় শহরের মোকামে সরবরাহ করা হচ্ছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এবার প্রায় ৪০ হাজার হেক্টর জমিতে আলু রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এবার ৩৫০ হেক্টর জমিতে আলুর চাষ বেশি হয়েছে।

জয়পুরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) আবদুল করিম জানান, গত বছরের তুলনায় এবছর আগাম আলুর বেশি চাষ করা হয়েছে। আলুর দাম বাড়তে থাকায় কৃষক খুব খুশি। বর্তমানে বাজারে রোমানা পাকরি ও দেশি পাকরি (লাল) আলু ১১৫০-১২০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। আর মিউজিকা আলু বিক্রি হচ্ছে ৭২০-৭৩০ টাকা মণ। যা আগের তুলনায় ১০০-১৫০ টাকা বেশি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ৩০, ২০২৩ ১০:০৬ অপরাহ্ন
টাঙ্গাইলে হলুদ চাষে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা!
কৃষি বিভাগ

টাইঙ্গাল জেলার সখীপুর উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের চাষিরা হলুদ চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে। হলুদ রোপন থেকে শুরু করে গাছের পরিচর্যা, বাজারজাতকরণ ও বিক্রির মাধ্যমে আর্থিক লাভবান হচ্ছেন এই এলাকার চাষিরা।

জানা যায়, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের সঠিক পরামর্শে হলুদ চাষীরা উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে হলুদ চাষ করে থাকেন। তাছাড়া চাষিদের কাছ থেকে বাজার থেকে পাইকারি দরে হলুদের ব্যবসায়ীরা হলুদ ক্রয় করে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জয়গায় সরবরাহ করে থাকেন।

হলুদ চাষী মোঃ দেলোয়ার হোসেন জানান, ৮০ শতাংশ জমিতে ০৫ মণ হলুদ রোপন করেছিলাম। গত বছর হলুদ ক্ষেতের পরিচর্যার পর প্রায় ৯০ মণের মতো হলুদ পেয়েছি। কিছু হলুদ নিজেদের খাওয়ার জন্য রেখে বাকী হলুদ বাজারে পাইকারী দরে বিক্রি করে লাভবান হয়েছি। তবে এ বছরও হলুদের ভালো ফলন পাবো বলে আশা করছি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নিয়ন্তা বর্মন বলেন, সখীপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের হলুদ চাষীরা ৩৯০ হেক্টর জমিতে হলুদ চাষ করছে। বিভিন্ন কৃষি প্রকল্পের মাধ্যমে উন্নত জাতের হলুদের প্রদর্শনী এবং হলুদ চাষীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। এতে করে কৃষকরা হলুদ চাষাবাদে ভালো অবদান রাখতে পারবে। পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবেও কৃষকরা স্বচ্ছলতা অর্জন করবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ৩০, ২০২৩ ১২:৫৩ অপরাহ্ন
মরিচ গাছের পোকা দমনে কৃষি তথ্য সার্ভিসের পরামর্শ
কৃষি বিভাগ

নানা সময় মরিচ গাছের যত্ন নিয়ে সমস্যায় পড়েন কৃষকরা। বিশেষ করে পোকা দমন নিয়ে। কারণ মরিচ গাছের কচি পাতা ও ডগার রস শুষে খেয়ে ফেলে পোকা। এতে দুর্বল হয়ে যায় গাছ। ফলে কমে যায় ফলন। এ থেকে প্রতিকারের উপায় জানিয়েছে কৃষি তথ্য সার্ভিস।

মরিচের ফল ছিদ্রকারী পোকার লক্ষণ
এই পোকা কচি ফল ও ডগা ছিদ্র করে ভেতরে কুরে কুরে খায়। এরা ফুলের কুঁড়িও খায়।

প্রতিকার
ক্ষেত পরিষ্কার রাখতে হবে। আক্রান্ত ডগা ও ফল সংগ্রহ করে নষ্ট করতে হবে। চারা রোপণের ১৫ দিন পর থেকে ক্ষেত ঘন ঘন পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন। জৈব বালাইনাশক ব্যবহার যেমন- নিমবিসিডিন ৩ মি.লি. বা লিটার হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।

এছাড়া শতকরা ১০ ভাগের বেশি ক্ষতি হলে যে কোনো একটি বালাইনাশক ব্যবহার করতে হবে। যেমন- সাইপারমেথ্রিন ১ মি.লি. বা ডেল্টামেথ্রিন ০.৫ মিলি বা প্রোপেনোফস (৪০%), সাইপামেথ্রেন (২.৫%) ২ মিলি বা সুমিথিয়ন ২ মিলি অথবা ডায়াজিনন ২ মি.লি. বা লিটার হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।

মরিচের জাব পোকার লক্ষণ
এই পোকা গাছের কচি পাতা ও ডগার রস শুষে খেয়ে ফেলে। গাছকে দুর্বল করে দেয়।

প্রতিকার
গাছের আক্রান্ত অংশ অপসারণ করা। প্রাথমিক অবস্থায় শুকনো ছাই দেওয়া। পরিষ্কার পানি জোরে স্প্রে করা। ক্ষেত পরিষ্কার রাখা। হলুদ রঙের ফাঁদ ব্যবহার করা। তামাকের গুড়া (১০ গ্রাম), সাবানের গুড়া (৫ গ্রাম) ও নিমের পাতার নির্যাস প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে ব্যবহার করা। প্রতি গাছে ৫০টির বেশি পোকা দেখা দিলে ইমিডাক্লোপ্রিড ০.৫ মিলি/লিটার হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।

মরিচের সাদা মাছি পোকার লক্ষণ
এরা পাতার রস চুষে খায়, ফলে দুর্বল হয়ে পড়ে গাছ। পাতায় অসংখ্য সাদা সাদা পাখাযুক্ত মাছি দেখা যায়। ঝাঁকি দিলে উড়ে যায়।

প্রতিকার
সাদা আঠাযুক্ত বোর্ড স্থাপন বা আলোর ফাঁদ ব্যবহার করা। নিয়মিত ক্ষেত পরিদর্শন করা। ৫০ গ্রাম সাবানের গুড়া ১০ লিটার পানিতে গুলে পাতার নিচে সপ্তাহে ২-৩ বার ভালো করে স্প্রে করা। সাথে পাঁচ কৌটা গুল (তামাক গুড়া) পানিতে মিশিয়ে দিলে ভালো ফল পাওয়া যায়। ইমিডাক্লোপ্রিড ০.৫ মিলি/লিটার বা ২ মিলি ডায়মেথয়েড গ্রুপের কীটনাশক প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।

মরিচের থ্রিপস পোকার লক্ষণ
এর আক্রমণে পাতা কুঁকড়ে যায়। পোকা গাছের কচি পাতা ও ডগার রস শুষে খেয়ে গাছকে দুর্বল করে ফেলে।

প্রতিকার
গাছের আক্রান্ত অংশ অপসারণ করা। প্রাথমিক অবস্থায় শুকনো ছাই প্রয়োগ করা। পরিষ্কার পানি জোরে স্প্রে করা। ক্ষেত পরিষ্কার রাখা। হলুদ রঙের ফাঁদ ব্যবহার করা। তামাকের গুড়া (১০ গ্রাম), সাবানের গুড়া (৫ গ্রাম) ও নিমের পাতার নির্যাস প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে ব্যবহার করা। বেশি পোকা দেখা দিলে ইমিডাক্লোপ্রিড গ্রুপের কীটনাশক ০.৫ মিলি/ লিটার হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ২৮, ২০২৩ ৭:৩০ অপরাহ্ন
কুল চাষে লাভের মুখ দেখছেন ফেনীর চাষিরা!
কৃষি বিভাগ

ফেনীতে দিন দিন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে কুল চাষ। ইতোমধ্যে বাণিজ্যিকভাবে উচ্চফলনশীল জাতের কুল চাষ করছেন কৃষকরা। চাষিরা বলসুন্দরি, কাশ্মীরি, ভারত সুন্দরি, টক-মিষ্টিসহ আরো বিভিন্ন জাতের ছোট-বড় কুলের বাগান করেছেন। অল্প সময়ে কুল চাষ একটি লাভজনক ব্যবসা হওয়ায় কৃষক ও শিক্ষিত বেকার যুবকরা কুল চাষে ঝুঁকছেন।

জানা যায়, দেশে প্রতি বছরই কুলের চাহিদা বাড়ছে। পাশাপাশি চাষিরাও অধিক পরিমানে কুল চাষ করছেন। বর্তমানে ফেনী জেলার অনেক চাষিরা কুল চাষে আগ্রহী হয়েছেন। চাষিরা বলসুন্দরি, কাশ্মীরি, ভারত সুন্দরি ও টক-মিষ্টিসহ বিভিন্ন প্রজাতির কুলের চাষ করছেন। বাজারে কুলের ব্যাপক চাহিদা থাকায় কুল চাষ করে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা।

জেলার কৃষি অফিসের মতে, চলতি মৌসুমে এ জেলায় প্রায় কোটি টাকার কুল উৎপাদন হবে।

কুল চাষি আছমত আলী বলেন, আমি ফেনী পৌর শহরের ফলেশ্বরে ৪০ শতাংশ জায়গায় কাশ্মীরী, বলসুন্দরী, বাউকুল, আপেল কুলসহ নানা জাতের কুল চাষ করেছি। বাগানে কুলের বাম্পার ফলন হয়েছে। কুল বিক্রি করার জন্য বাজারে নিতে হয় না। পাইকাররা বাগানে এসেই নিয়ে যাচ্ছেন। আমার দেখাদেখি আরো অনেক কৃষক কুলের বাগান করেছেন।

তিনি আরো বলেন, ৪০ শতকের সাথে আরো ১০ শতক জায়গায় কুলের চারা রোপন করেছি। বাগানে প্রায় লাখ খানেক টাকা খরচ হয়েছে। ইতোমধ্যে ৫০ হাজার টাকার কুল বিক্রি করেছি। আশা করছি ২ লক্ষ টাকার কুল বিক্রি করতে পারবো।

ফেনী সদর উপজেলার আমিন বাজার এলাকায় তিন বন্ধু তোফায়েল আহমেদ রনি, জাহিদুল ইসলাম ও মাসুদুর রহমান বলেন, আমরা তিন বন্ধু মিলে জান্নাত এগ্রো নামে একটি কৃষি প্রকল্প করেছি। আমাদের প্রকল্পের মধ্যে ৫ একর জমিতে ৮ হাজার কুলের গাছ রোপন করেছি।

তোফায়েল আহমেদ রনি বলেন, আমরা গত বছর গাছগুলো রোপন করেছিলাম। আর এবছরই ফলন পেয়েছি। ইতোমধ্যে ১৩০ টাকা কেজী দরে ৫০০ কেজী কুল বিক্রি করেছি। আশা করছি চলতি মৌসুমে ৭-৮ লাখ টাকার কুল বিক্রি করতে পারবো।

এছাড়াও আরো অনেক কৃষক কুল চাষ করেছেন। বাজারে ব্যাপক চাহিদা থাকায় কুল চাষ করে চাষিরা লাভবান হচ্ছেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ফেনীর উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মিঠুন ভৌমিক বলেন, জেলায় প্রায় ৮৬ হেক্টর জমিতে কুলের আবাদ হয়েছে। যার উৎপাদন প্রায় লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে ৯৩৮ মেট্রিক টন।

ফেনী সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমীন আক্তার বলেন, ফেনীতে কুলের বাণিজ্যিক আবাদ বাড়ছে। অল্প খরচে লাভবান হওয়া যায় বলে কৃষকরা কুল চাষে ঝুঁকছেন। আর ফেনীর মাটি কুল চাষের উপযোগী হওয়ায় ফলনও বেশি হচ্ছে। অনেক কৃষক কুল চাষ করে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল হয়েছেন। আমরা চাষিদের সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা করছি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ২৮, ২০২৩ ৭:২২ অপরাহ্ন
ফলন কম হওয়ায় চিন্তার ভাজ রাজবাড়ীর টমেটো চাষিদের কপালে!
কৃষি বিভাগ

লাভের আশায় ব্যাপক পরিমানে উন্নত জাতের টমেটো চাষ করেও হতাশ রাজবাড়ীর কৃষকরা। চলতি মৌসুমে রাজবাড়ীতে টমেটোর অধিক চাষ হলেও ফলন ভালো হয়নি। আকারে ছোট ও ফলন কম হওয়ায় বাজারে ভালো দাম পাচ্ছেন না কৃষকরা। ফলে টমেটো জমিতেই পচন দেখা দিয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, এ বছর জেলার পাঁচটি উপজেলায় ৮৩৫ হেক্টর জমিতে টমেটোর আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে রাজবাড়ী সদর উপজেলাতেই আবাদ হয়েছে ৩১৫ হেক্টর জমিতে।

জানা যায়, নয়নসুখ, কাঁচরন্দপুর, রাধাকান্তপুর, গোপালবাড়ী, বরাটসহ রাজবাড়ী জেলার বিভিন্ন এলাকার শত শত কৃষক টমেটো চাষ করে এখন হতাশায় আছেন। গত বছরের তুলনায় এবছর বেশি জমিতে টমেটোর চাষ করা হয়েছে। তবে অন্যান্য বছরে তুলনায় এবছর টমেটোর আকার ছোট ও ফলন কম হয়েছে। সাইজে ছোট হওয়ায় বাজারে ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানায় কৃষকরা। পাশাপাশি তারা কৃষি কর্মকর্তাদের মাঠে না যাওয়ার অভিযোগ করছে।

সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নের কৃষক হাবিবর রহমান বলেন, এবছর আমি আমার ২ বিঘা জমিতে ৯০ হাজার টাকা খরচ করে টমেটোর চাষ করেছি। আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় ফলন ভালো হয়নি। কুয়াশার কারণে ফলন হয় ও গাছে পচন ধরেছে।

তিনি আরো বলেন, অনেক আশা নিয়ে টমেটো চাষ করেছিলাম। অসময়ে বৃষ্টি হয়ে অনেক গাছ মারা গেছে। তারপরেও আশা ছিল লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবো। তবে এখন গাছ পচন ধরেছে। আসল টাকা উঠাতে পারবো কিনা সেই চিন্তায় আছি।

অন্যান্য আরো কৃষক জানায়, আমরা এবছর উন্নত জাতের টমেটোর চাষ করেছি। আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় ফলন ভালো হয়নি। এখন লাভ তো দূরের কথা আসল উঠাতে পারবো কিনা সে চিন্তায় পড়েছি।

রাজবাড়ী সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জনি খান জানান, আমরা নিয়মিত কৃষকদের টমেটোর বিভিন্ন ধরনের রোগবালাই, উন্নতজাত সম্পর্কে ধারণা দেয়া, সুষম মাত্রায় সার ও কীটনাশক ব্যবহারে পরামর্শ প্রদান করছি।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop