১১:২৪ অপরাহ্ন

রবিবার, ১৭ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : অক্টোবর ২৭, ২০২২ ১০:০০ পূর্বাহ্ন
মিয়ানমার থেকে আনা ৯ গরু-৩ মহিষ জব্দ
প্রাণিসম্পদ

বান্দরবানের পৃথক অভিযান পরিচালনা করে নয়টি গরু ও তিনটি মহিষ জব্দ করেছে লামা থানা পুলিশ।

বুধবার (২৬ অক্টোবর) সকাল ৮টায় লামা উপজেলার শিলেরতুয়া এলাকা থেকে ওয়ারিশবিহীন তিনটি গরু ও তিনটি মহিষ জব্দ করা হয়।

পরে সকাল ১০টার দিকে আবার বেশ কিছু গরু মহিষ মিয়ানমার থেকে আলীকদম হয়ে অবৈধভাবে পাচার হচ্ছে এমন খবরে লামার মুখ এলাকা থেকে আরও ছয়টি গরু জব্দ করা হয়।

লামা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্র্তা (ওসি) মো. শহীদুল ইসলাম চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, আলীকদম উপজেলা থেকে সড়ক ও নৌ-পথে বিভিন্নভাবে চোরা কারবারীরা গরু ও মহিষ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করা হচ্ছে এমন খবর পাই।

এ তথ্যের ভিত্তিতে আমরা গত কয়েকদিন ধরে অভিযান পরিচালনা করছি। বুধবার সকাল থেকে এ পর্যন্ত পৃথক দুইটি অভিযানে নয়টি গরু এবং তিনটি মহিষ জব্দ করতে সক্ষম হয়েছি।

ওসি আরো জানান, আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আশাকরি আরও গরু ও মহিষ জব্দ করা সম্ভব হবে।

বান্দরবানের পুলিশ সুপার মো. তারিকুর ইসলাম জানান, মিয়ানমার থেকে অবৈধভাবে কয়েকদিন ধরে বান্দরবানের আলীকদমসহ বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে গরু-মহিষ দেশে এনে পাচারের চেষ্টা করছে চোরা কারবারীরা। এসব অবৈধ কার্যক্রম বন্ধে পুলিশ সজাগ রয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ২৬, ২০২২ ২:৩১ অপরাহ্ন
ঢাকায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে তৃতীয় ইউকেআরআই জিসিআরএফ ওয়ান হেলথ্ পোল্ট্রি হাব অ্যানুয়েল কনফারেন্স, ২০২২
প্রাণিসম্পদ

রেডিসন ব্লু, ঢাকা, ওয়াটার গার্ডেনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে তৃতীয় ইউকেআরআই জিসিআরএফ ওয়ান হেলথ্ পোল্ট্রি হাব অ্যানুয়েল কনফারেন্স, ২০২২ । ২৫ অক্টোবর শুরু হওয়া এই কনফারেন্স শেষ হবে আগামীকাল ২৭শে অক্টোবর ।

ওয়ান হেলথ্ পোল্ট্রি হাব (OHPH) পাঁচ বছর মেয়াদী একটি প্রয়োগিক প্রকল্প যা গ্লোবাল চ্যালেঞ্জ রিসার্চ ফান্ড এর মাধ্যমে ইউকে (যুক্তরাজ্য) রিসার্চ এন্ড ইনোভেশন এর অর্থায়নে ২০১৯ সালে চালু হয়। জনসাধারণের পাশাপাশি প্রাণী স্বাস্থ্য নিশ্চিত করার জন্য, আন্তঃক্ষেত্রসমূহের সহযোগিতা এবং যোগাযোগমূলক পদক্ষেপের মাধ্যমে ওয়ান হেলথ্ বিষয়ক কার্যক্রম প্রসার লাভ করেছে।এতে অবদানের লক্ষ্যে, সারা বিশ্বে বিভিন্ন সংস্থা এবং প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করে, যেখানে ওয়ান হেলথ্  বাংলাদেশ হাব টিম এর কার্যকরী সহযোগী সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এবং অ্যানিমেল সাইন্সেস ইউনিভার্সিটি (সিভাসু), বাংলাদেশ লাইভস্টক রিসার্চ ইন্সটিটিউট (বিএলআরআই) এবং ইন্সটিটিউট অব ইপিডেমিওলজি ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড রিসার্চ (আইইডিসিআর)

ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা, মুরগির মাংস এবং ডিম উত্পাদনের চাহিদাকে বৃদ্ধি করছে।দ্রুততার সাথে বাড়তে থাকা পোল্ট্রি শিল্প, জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকির বিভিন্ন কারণ যেমন নতুন রোগের উদ্ভব ও তা মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পড়া সহ বিভিন্ন ধরনের মহামারী এবং অতিরিক্ত এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের কারণে এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স এর মতো সমস্যাগুলো তৈরি করছে।

দক্ষিণ এবং দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় বিপদমুক্ত এবং টেকসই পোল্ট্রি উত্পাদন খুবই জরুরি এবং ইউকেআরআই জিসিআরএফ, ওয়ান হেলথ্ পোল্ট্রি হাব এর গবেষকবৃন্দ বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলংকা এবং ভিয়েতনামের প্রতিবন্ধকতাসমূহকে চিহ্নিত এবং নতুন কোনো সম্ভাবনাময় উপায়ের পরামর্শ দেয়ার জন্যে কাজ করছেন। যেখানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন রয়্যাল ভেটেরিনারি কলেজ (আরভিসি), যুক্তরাজ্য এবং এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপ ও যুক্তরাজ্যে এর সহযোগী সদস্যবৃন্দ।

হাব প্রকল্প ল্যাবরেটরি, ক্লিনিক্যাল, ভেটেরিনারি এবং গবেষকদের একত্রে নিয়ে বিপদমুক্ত খাদ্য উত্পাদনের লক্ষ্যে ওয়ান হেলথ্ এর ভূমিকায় কাজ করছে ।এর গবেষণায় কিভাবে এবং কেনো ক্রমপ্রসারিত পোল্ট্রি উত্পাদন সংক্রামক রোগ বাড়াচ্ছে এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট অতিরিক্ত ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবহার, পদ্ধতি এবং পরিবেশ সমূহের বিষয়ে অনুসন্ধান করা হচ্ছে।

সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সম্মানিত সচিব ড নাহিদ রশিদ, বাংলাদেশ মত্স্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ।ইউকেআরআই জিসিআরএফ, ওয়ান হেলথ্ পোল্ট্রি হাব এর পরিচালক প্রফেসর ফিওনা টমলে’র হাব প্রজেক্টের সার্বিক অবস্থার উপস্থাপন এবং নারিশ পোল্ট্রি এবং হ্যাচারি লিমিটেড ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব শামসুল আরেফিন খালেদ এরদক্ষিণ এশিয়ায় পোল্ট্রি উত্পাদন শিল্পের অগ্রগতি, সম্ভাবনা এবং চ্যালেঞ্জ বিষয়ক প্রধান বক্তব্যের  মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব. ম্যাট ক্যানেল (উন্নয়ন পরিচালক, ব্রিটিশ হাই কমিশান বাংলাদেশ), ড. রশিদ জামান (স্বাস্থ্য সচিব, ব্রিটিশ হাই কমিশান বাংলাদেশ), অধ্যাপক ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ (উপাচার্য, সিভাসু), অধ্যাপক ড. নিতীশ চন্দ্র দেবনাথ (সাবেক উপাচার্য, সিভাসু), ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা (মহাপরিচালক, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর), মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ (মহাপরিচালক, ওষুধ প্রশাসন), ডা. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন (মহাপরিচালক, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট), অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির (অতিরিক্ত সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর), এবং মো. জাহিদুল কবির (উপ-প্রধান বন সংরক্ষক)।

দেশি ও বিদেশির গবেষকদের মধ্যে অধ্যাপক ফিওনা টমলে (পরিচালক, ইউকেআরআই জিসিআরএফ, ওয়ান হেলথ্ পোল্ট্রি হাব), ড. ড্যান ভিংক (প্রোগ্রাম ম্যানেজার, ইউকেআরআই জিসিআরএফ, ওয়ান হেলথ্ পোল্ট্রি হাব), প্রফেসর মোঃ আহসানুল হক (জাতীয় সমন্বায়ক, বাংলাদেশ, ইউকেআরআই জিসিআরএফ, ওয়ান হেলথ্ পোল্ট্রি হাব), অধ্যাপক পরিতোষ কুমার বিশ্বাস (সিভাসু)।

৩০ মাস ভার্চুয়াল যোগাযোগের পর সরাসরিভাবে যোগাযোগের জন্যে আয়োজিত এই সম্মেলনটি আয়োজন করা হয়েছে পোল্ট্রির উপর চলমান গবেষণাসমূহ, আসন্ন গবেষণাসমূহের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ, হাব গবেষকদের সক্ষমতাবৃদ্ধি, এবং হাব প্রকল্পের অর্জিত প্রভাব বিষয়ে যৌক্তিক এবং গভীর আলোচনা পর্ব নিয়ে আয়োজন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ইউকেআরআই জিসিআরএফ ওয়ান হেলথ্ পোল্ট্রি হাব এর প্রথম অ্যানুয়েল কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছিল ভারতের গুজরাট শহরে তবে কোভিড মহামারীর কারণে দ্বিতীয় কনফারেন্সটি অনলাইনেই সম্পন্ন করা হয়

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ২৫, ২০২২ ৪:০৪ অপরাহ্ন
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে ৫২ জনের চাকরির সুযোগ
চাকুরির খবর

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অধীন ‘একটি এপিডিমিওলজি সেল ও ২৪টি কোয়ারেন্টিন স্টেশন’–এর জন্য অস্থায়ী রাজস্ব খাতে সৃজনকৃত একাধিক পদে জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছে । এই প্রতিষ্ঠানে ৫২ জন কর্মী নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে ফরম পূরণের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।

১. পদের নাম: ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান
পদসংখ্যা: ২৪
যোগ্যতা: বিজ্ঞান বিভাগে এইচএসসি বা সমমান পাস।
বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)

২. পদের নাম: অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক
পদসংখ্যা: ২৩
যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমান পাস। কম্পিউটার ব্যবহারসংক্রান্ত ওয়ার্ড প্রসেসিং, ডেটা এন্ট্রি ও টাইপিং ইত্যাদির সর্বনিম্ন গতি বাংলায় প্রতি মিনিটে সর্বনিম্ন ২০ শব্দ ও ইংরেজিতে সর্বনিম্ন ২০ শব্দ থাকতে হবে।
বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)

৩. পদের নাম: ল্যাবরেটরি অ্যাটেনডেন্ট
পদসংখ্যা: ৫
যোগ্যতা: অস্টম শ্রেণি পাসসহ দুই বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বেতন স্কেল: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা (গ্রেড-২০)

বয়সসীমা

প্রার্থীর বয়স ২০২০ সালের ২৫ মার্চ ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে। তবে এতিম, শারীরিক প্রতিবন্ধী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৩২ বছর পর্যন্ত শিথিলযোগ্য। বীর মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনিদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৩০ বছর।

আবেদন যেভাবে

আগ্রহী প্রার্থীদের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের চাকরিসংক্রান্ত ওয়েবসাইটের এই লিংকে গিয়ে আবেদন করতে হবে। আবেদনপদ্ধতি, ফি জমাদান, শর্তাবলি ও নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য এই লিংকে পাওয়া যাবে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ০৮/০৯/২০১৯ তারিখের নম্বর–৩৩.০১.০০০০.১০১.১১.৮৭৫.১৯-২২৬২ সংখ্যক স্মারকে জারিকৃত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী যেসব প্রার্থী আবেদন করেছেন, তাঁদের নতুন করে আবেদন করার প্রয়োজন নেই ।

আবেদন ফি

পরীক্ষার ফি বাবদ বাংলাদেশ ব্যাংক/সোনালী ব্যাংক লিমিটেড থেকে ১ ও ২ নম্বর পদের জন্য ২০০ টাকা এবং ৩ নম্বর পদের জন্য ১০০ টাকা অফেরতযোগ্য মূল্যমানের ট্রেজারি চালান মহাপরিচালক, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ, ঢাকা বরাবরে ১-৪৪৪১-০০০০-২০৩১ কোডে জমা দিতে হবে। ট্রেজারি চালানের নম্বর, তারিখ, ব্যাংকের নাম ও ঠিকানা অনলাইনে পূরণ করে ট্রেজারি চালানের স্ক্যান কপি আবেদনে সংযুক্ত করতে হবে।

আবেদনের সময়সীমা: আবেদন চলছে। ২৮ অক্টোবর ২০২২, বেলা তিনটা পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন আগ্রহীরা।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ২৫, ২০২২ ১০:২৯ পূর্বাহ্ন
তিন গরু ব্যবসায়ীকে হত্যা, ১০ জনের ফাঁসির রায়
প্রাণিসম্পদ

বান্দরবানে তিন গরু ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় ১০ জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালত। একই সঙ্গে অপহরণসহ বিভিন্ন ধারায় প্রত্যেক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে।

সোমবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে বান্দরবান জেলা ও দায়রা জজ আদালতের দায়রা জজ মো. ফজলে এলাহী ভূঁইয়া এ রায় দেন।

বান্দরবান জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম সময় সংবাদকে রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন: যোহন ত্রিপুরা, ক্যহিম ত্রিপুরা, জসিন ত্রিপুরা, জীবন ত্রিপুরা, জর্জ ত্রিপুরা, সানি ত্রিপুরা, সালাউ ত্রিপুরা, সেনেদ্র ত্রিপুরা, যোসেফ ত্রিপুরা ও শিগরাম ত্রিপুরা।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ১৫ এপ্রিল যোহন ত্রিপুরা নামে এক ব্যক্তি তার কাছে বেশ কয়েকটি ভালো গরু আছে বলে ব্যবসায়ী আবু নাঈমকে ফোন করে আলীকদম থেকে নয়টি গরু নিয়ে আসার আহ্বান জানান। পরে গরু কেনার জন্য তিন লাখ টাকা নিয়ে থানচি থেকে আলীকদমের ২৮ কিলোমিটার নামক স্থানে যান ব্যবসায়ী আবু বক্কর এবং তার দুই সহযোগী নুরুল আফসার ও সাহাবুদ্দিন। ঘটনাস্থলে গিয়ে ব্যবসায়ী আবু বক্কর তার ছোট ভাইকে ফোন করে তাদের গরু পছন্দ হয়েছে বলে আরও ৫০ হাজার টাকা গরুর মালিকের বিকাশ নম্বরে পাঠাতে বলেন। এ ঘটনার এক ঘণ্টা পর তাদের সবার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

এদিকে দীর্ঘক্ষণ চেষ্টা করে ভাইসহ কারো কোনো হদিস না পাওয়ায় ১৬ এপ্রিল দুপুরে আবু নাঈম থানচি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এর পরপরই রাতে থানচি থানার পুলিশ ও বিজিবির সদস্যরা যৌথ অভিযান পরিচালনা করে আসামি যোহন ত্রিপুরাকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, তারা ১০ জন মিলে ব্যবসায়ী আবু বক্কর এবং তার দুই সহযোগী নুরুল আফসার ও সাহাবুদ্দিনকে অপহরণ করেছিলেন। পরে টাকা, মোবাইল ফোন এবং মোটরসাইকেল নিয়ে তাদের হত্যা করা হয়।

পরে যোহন ত্রিপুরাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু তিনি আবার আদালতের কাছে জামিন নিয়ে পালিয়ে যান। আর অন্য আসামিদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। ফলে ১০ আসামিই পলাতক রয়েছেন।

দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে সোমবার পলাতক ১০ আসামির প্রত্যেককে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ২৪, ২০২২ ৭:৩১ অপরাহ্ন
ঘূর্ণিঝড়-বন্যায় প্রাণিসম্পদ রক্ষায় যা করবেন
প্রাণ ও প্রকৃতি

প্রতি বছর বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আমাদের দেশে অসংখ্য গবাদিপশু, পাখি মারা যায়। যার ফলে বিপুল পরিমাণ অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হন খামারিরা। এবারের ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়েও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই প্রাণিসম্পদ রক্ষায় উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা খুব জরুরী।

প্রাণিসম্পদ রক্ষার জন্য সারাবছরই প্রস্তুত থাকা উচিত। তাই পশু-পাখির খামারের চাল মজবুত করে রাখতে হবে। দুর্যোগকালীন প্রচণ্ড বাতাস যাতে খামারের চাল উড়িয়ে নিতে না পারে সেজন্য খামার এবং খামারের চাল শক্ত করে বাঁধতে হবে। পরে মাটিতে শক্ত করে খুঁটি পুঁতে শক্ত দড়ি দিয়ে খামারের চাল বেঁধে দিতে হবে। বর্ষাকালে বৃষ্টি বা বন্যার পানি যাতে জমে না থাকে সেজন্য পানি চলাচলের জন্য বিকল্প নালা তৈরি করে রাখতে হবে। কারণ হঠাৎ করে পানি বাড়তে শুরু করলে নালা তৈরি করার সময় পাবেন না। বৃষ্টির পানি শুষে নেওয়ার জন্য খামারের চারপাশে সবজি চাষ করা যায়।

খামার যদি নদী, হ্রদ বা জলাশয়ের নিকটবর্তী হয় তা হলে যেদিক থেকে পানি খামারকে প্লাবিত করতে পারে সেদিকে উঁচু করে বাঁধ তৈরি করতে হবে যাতে বন্যার সময় খামার বন্যার ঝুঁকি থেকে মুক্ত থাকে। প্রতি বছর খামার সংস্কার করতে হবে। খামারের দরজা, জানালা দেওয়াল সময় থাকতে ঠিক করে নিতে হবে। আবাসন, খাবার পাত্র, পথ বা রাস্তা, স্টোর এসব ঠিকমতো সুরক্ষা করতে হবে।

খামারের ক্ষতিকর রাসায়নিক অপসারণ করতে হবে। খামারের আশপাশে কোথাও কোনো ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ কীটনাশক, জীবাণুনাশক, ইঁদুর মারার ওষুধ থাকলে তা সরিয়ে ফেলতে হবে। পুকুর বা অন্য জলাশয়ে এসব রাসায়নিক পদার্থ মিশ্রিত পানি প্রবেশের সম্ভাবনা আছে তা চারপাশে উঁচু করে দিতে হবে। যাতে বৃষ্টি বা বন্যার পানি সেখানে ঢুকতে না পারে। এসব পদার্থ গবাদি পশুর মারাত্মক ক্ষতি, এমন কি মৃত্যু কারণও হতে পারে।

দুর্যোগকালীন বা দুর্যোগ পরবর্তী যেসব জিনিস প্রয়োজন হতে পারে তার একটি তালিকা তৈরি করে দুর্যোগের আগেই সংগ্রহ করে রাখতে হবে। কারণ বিপদের সময় এসব জিনিস নাও পাওয়া যেতে পারে অথবা পাওয়া গেলেও বেশি অর্থ খরচ হতে পারে। প্রয়োজনীয় ব্যক্তিদের নাম ও মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে রাখতে হবে।

সময় মতো গবাদি পশু, পাখিকে প্রয়োজনীয় সব টিকা দিয়ে রাখতে হবে। কারণ দুর্যোগের পরে গবাদি পশুর বিভিন্ন ছোঁয়াছে রোগ মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে। কিন্তু টিকা পশু, পাখিকে এ বিপদ থেকে রক্ষা করবে।

বিপদকালীন স্থানান্তরের ক্ষেত্রে, কোন পশুগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে তার একটি তালিকা তৈরি করে রাখতে হবে। তাছাড়া পশুগুলো চিহ্নিত করে রাখতে হবে। যাতে দুর্যোগ পরবর্তী পশু হারিয়ে গেলে সহজে খুঁজে পাওয়া যায়। গরুর জন্য প্রয়োজনীয় দড়ি, খামার এবং পানি প্রস্তুত রাখতে হবে এবং যদি সম্ভব হয় গাভী স্থানান্তরের সময় সেসব প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহ করতে হবে।

দুর্যোগকালীন গবাদি পশু আশ্রয়ণ কেন্দ্রে স্থানান্তর করবে নাকি বাইরে ছেড়ে দিতে হবে সেটা আশ্রয়ণ কেন্দ্রের দূরত্ব ও অবস্থার ওপর নির্ভর করবে। যদি পর্যাপ্ত জায়গা থাকে তাহলে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া যেতে পারে। অন্যথায়, বাইরে ছেড়ে দিতে হবে। পোষা কুকুর-বিড়াল থাকলে সেগুলো নিজের কাছে রাখাই উত্তম।

কখনো কখনো এমন সময় আসে যখন নিজের প্রাণের তাগিদে পোষা পশুপাখিগুলোকে ছেড়ে যেতে হয়। সেক্ষেত্রে পশুপাখিগুলোর জন্য পর্যাপ্ত খাবার এবং পানি সরবরাহ রেখে যেতে হবে। কম পক্ষে দুই দিনের খাবার-পানি রাখতে হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ২৩, ২০২২ ১০:০৭ অপরাহ্ন
পলাশপুর বিজিবি’র অভিযানে ৮ ভারতীয় গরু আটক
প্রাণিসম্পদ

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা পলাশপুর বিজিবি জোনের অভিযানে ৮টি ভারতীয় গরু আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (৪০ বিজিবি)।

আজ রবিবার (২৩ অক্টোবর) ভোরের দিকে মাটিরাঙ্গা উপজেলাধীন বেলছড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ শান্তিপুর হাজীপাড়া নামক স্থান থেকে মালিকহীন ভারতীয় গরু আটক করা হয়।

বিজিবি সূত্র জানায়, অবৈধ পথে ভারত থেকে গরু সীমান্ত পথে বাংলাদেশে আনা হচ্ছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে বেলছড়ি বিওপি’র টহল কমান্ডার নায়েব সুবেদার শহিদুর রহমান এর নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে বিজিবি।

পরে একই এলাকায় বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাকারবারীরা গরু রেখে পালিয়ে যান। পরে ওই এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে গরুগুলো আটক করে বিজিবি। আটককৃত ৮টি গরুর আনুমানিক মূল্য ৪ লাখ পাঁচ হাজার টাকা।

খেদাছড়া ব্যাটালিয়ন (৪০ বিজিবি), পলাশপুর জোন অধিনায়ক লে.কর্নেল সোহেল আহমেদ চোরাকারবারীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে জানিয়ে বলেন, আটক করা ভারতীয় গরুগুলো সীতাকুণ্ড কাস্টমস অফিসের মাধ্যমে যথাযথ কার্যক্রম গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ২২, ২০২২ ৪:৩২ অপরাহ্ন
ঈদগাঁওয়ে গরু চুরি,আটক-২
প্রাণিসম্পদ

কক্সবাজারের ঈদগাঁওয়ে কসাইখানা থেকে চুরি হওয়া গরু উদ্ধার ও এতে জড়িত ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। ২০ অক্টোবর রাতে এ চুরি সংঘটিত হয়। এর পরদিন গতকাল শুক্রবার গরুটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। আপোষ মিমাংসা, ধামাচাপা দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে একটি চক্র। স্থানীয়রা চুরির সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।

জানা গেছে, ঈদগাঁও ইউনিয়নের পালপাড়ার মৃত অরবিন্দ পালের ছেলে কাজল পালের গোয়ালঘর থেকে ২০ অক্টোবর রাতে একটি গাভী চুরি হয়। পরদিন সকালে ঈদগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল হালিমের নির্দেশে এএসআই গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্বে পুলিশ ঐ এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় ইউনিয়নের দরগাহপাড়া রোডের ব্রিজ সংলগ্ন নুর মঞ্জিল থেকে চোরাই গরুটি উদ্ধার করে এবং জড়িত সন্দেহে ২ জনকে আটক করে। তারা হলেন নুর মঞ্জিলের মালিক ছৈয়দ আহমদ ও দরগাহ পাড়ার মতলবের ছেলে নুর হোসেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, নুর মঞ্জিলে ডেইরি ফার্মের সাইনবোর্ড থাকলেও ভেতরে রয়েছে কসাইখানা। পানির পাইপ লাইন দেয়া আছে ব্রিজের নিচ দিয়ে খালে। তারা মনে করেন চোরাইকৃত গরু সেখানে জবাই করে বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ দেয়া হচ্ছে। স্থানীয় একটি চক্র এ অপকর্মের সাথে জড়িত। ঐ চক্র ঘটনা ধামাচাপা দিতে মরিয়া হয়ে ওঠেছে।

গরুর মালিক কাজল পাল জানান, গরু উদ্ধার ও চোর আটকের পর বিষয়টি আপোষ মিমাংসার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকে স্থানীয় একটি মহল। যার কারণে তিনি অসহায় হয়ে পড়েন। তিনি জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে থানায় এজাহার দায়ের করেন।

স্থানীয়দের দাবি, চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন এলাকা থেকে গরু চুরি করে আসছে। এ কসাইখানার সূত্র ধরে তদন্ত করলে প্রকৃত অপরাধীরা বেরিয়ে আসবে।
ঈদগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল হালিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মামলার প্রক্রিয়া চলছে এবং অপরাধ দমনে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ২০, ২০২২ ৬:৩৪ অপরাহ্ন
গোপালগঞ্জে বেড়েছে ডিমের উৎপাদন
প্রাণিসম্পদ

গোপালগঞ্জে বিগত ৫ বছরে ডিমের উৎপাদন ২ কোটি ২ লাখ পিস বেড়েছে। জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় গোপালগঞ্জের খামারীরা ডিম উৎপাদন প্রতি বছর বৃদ্ধি করছেন। এখানে লেয়ার মুরগী পালনের প্রতিকূল পরিবেশ রয়েছে। তাই খামারীর সংখ্যাও দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। গোপালগঞ্জের খামারে উৎপাদিত ডিম দিয়ে জেলার বিশাল জনগোষ্ঠীর পুষ্টির চাহিদা পূরণ হচ্ছে।

গোপালগঞ্জ জেলা প্রণিসম্পদ কর্মকর্তা গোবিন্দ চন্দ্র সরদার জানান, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে গোপালগঞ্জে ১৫ কোটি ১০ লাখ পিস ডিম উৎপাদিত হয়। ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ১৫ কোটি ৭৫ লাখ পিস ডিমের উৎপাদন পাওয়া যায়। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ডিমের উৎপাদন বেড়ে দাঁড়ায় ১৬ কোটি ১৭ লাখ পিসে। ২০২০-২১ অর্থ বছরে ১৬ কোটি ৫৫ লাখ পিস ডিমের উৎপাদন হয়। ২০২১-২২ অর্থবছরে ১৭ কোটি ১২ লাখ পিস ডিম উৎপাদিত হয়েছে। গত পাঁচ বছরে এ জেলার ৫ উপজেলার ডিমের উৎপাদন ২ কোটি ২ লাখ বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে জেলায় ৩৩৮টি লেয়ার মুরগীর খামার রয়েছে। খামারীরা আমাদের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ, পরামর্শ ও সহযোগিতা নিয়ে লেয়ার মুরগীর খামার করে ডিমের উৎপাদন বৃদ্ধি করে আসছে। প্রতি বছর খামার যেমন বাড়ছে, সেই সাথে ডিমের উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ওই কর্মকর্তা আরো জানান, প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণ, স্বাস্থ্যবান ও বেধাবী জাতি গঠন ও পুষ্টি সম্পর্কে মানুষকে অবহিত করা ,একই সঙ্গে ভোক্তার দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় ডিম আন্তর্ভুক্তিকে উৎসাহিত করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। প্রতিদিন একটি ডিম খেলে সারাদিন পুষ্টি পাওয়া যায়। এটি বাস্তবায়নে আমরা প্রচার প্রচারণার চালিয়ে যাচ্ছি। এখন দেশে বছরে ২ হাজার ৫৭ কোটি ৬৪ লাখ পিস ডিম উৎপাদিত হচ্ছে। সেই হিসাবে প্রতিটি মানুষ মাথাপিছু বছরে ১৩৬ টি ডিম খেতে পারছেন। এতে দেশ ডিমে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জণ করেছে। পুষ্টিবিশেষজ্ঞদের মতে একজন মানুষকে বছরে ১০৪টি ডিম খেতে হবে। এর বেশি হলেও ক্ষতি নেই বলে তারা মত দিয়েছেন। সরকার ২০৩০ সালে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) বাস্তবায়নে জনপ্রতি দুধ, মাংস ও ডিম খাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা যথাক্রমে ২৭০ মিলি, ১৫০ গ্রাম ও ১৬৫টি নির্ধারণ করেছে। এ লক্ষ্য বাস্তাবায়নে গোপালগঞ্জে দুধ, সাংস ও ডিমের উৎপাদন বৃদ্ধিতে আমরা ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। এটি আমরা এখন বাস্তাবায়নের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

গোপালগঞ্জ শহরের মাহিকদহ এলাকার খামারী ইয়াহিয়া বিশ্বাস জানান,আমার খামার থেকে প্রতিদিন সাড়ে ৪ হাজার পিস ডিম উৎপাদিত হচ্ছে। আমি ব্যক্তিগত উদ্যোগে এ খামার গড়ে তুলেছি। লেয়ার মুরগীর খামার করে আমি লাভবান হয়েছি। গোপালগঞ্জ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সহযোগিতা, পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দিয়ে আমাকে সহযোগিতা করছে।

ওই খামারী আরও জানান, এখন পোল্ট্রিফিড ও বাচ্চার দাম বেশি। অতিরিক্ত দামে খাদ্য ও বাচ্চা কিনে খামার করে লাভ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। আমাদের পোল্ট্রি শিল্পের সমস্যা সমাধানে সরকার এগিয়ে আসবে। সরকার সহযোগিতার হাত প্রসারিত করলেই ২০৩০ সালের মধ্যে আমরা ডিমের উৎপাদন বৃদ্ধি করে এসডিজি বাস্তবায়ন করতে পারব। দেশের মানুষের পুষ্টির চাহিদা পূরণে আমরা ভ’মিকা রাখতে পারব।

পোল্ট্রি বিশেষজ্ঞ এস.এম আউয়াল হক জানান,গোপালগঞ্জ কৃষি নির্ভর এলাকা। এখানে পোল্ট্রি খামার সম্প্রসারণ করে ডিম ও মাংসের উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব। পরিকল্পিতভাবে এখানে খামার গড়ে তুলতে হবে। এসব খামারে লেয়ার, ব্রয়লার, কক ও সোনালী জাতের মুরগীর খামার করে খামারী লাভবান হতে পারবেন। নতুন নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি হবে। এখানে বেকারদের কর্মসংস্থান হবে। সেই সাথে এ অঞ্চলে পোল্ট্রি নির্ভর শিল্প কলকারখানা গড়ে উঠবে। এতিমধ্যে এখানে কাজী ফার্ম বড় আকারে বাচ্চা উৎপাদন করছে। এছাড়া রুমি ফিড খাদ্য তৈরি করছে। এখানে পোল্ট্রি শিল্পের বাচ্চার হ্যাচারী, খাদ্য তৈরি ফ্যাক্টরী, পানিরপাত্র, খাবারপাত্র, ব্রুডার, পোল্ট্রির খাঁচাসহ অন্যান্য পণ্য উৎপাদনের সুযোগ রয়েছে। এগুলোকে কাজে লাগিয়ে গোপালগঞ্জের মানুষ কর্মসংস্থারে বড় সুযোগ পাবে। সেই সাথে এ জেলায় ডিম ও মাংসের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। সরকারের এসডিজি বাস্তবায়িত হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ২০, ২০২২ ৪:২০ অপরাহ্ন
সখিপুরে গোয়াল ঘরে আগুন, ২গরু ও তিন ছাগলের প্রাণহানি!
প্রাণিসম্পদ

টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার কালিয়া ঘোনারচালা পূর্ব পাড়া এলাকার কৃষক আনোয়ার বাদশার গোয়াল ঘরে আগুন লেগে পুড়ে দু’টি গরু ও পাঁচটি ছাগলের মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) ভোর ৩ টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আগুন নেভানোর আগেই গরু ও ছাগলগুলো পুড়ে মারা যায়।

জানা যায়, কৃষক আনোয়ার বাদশা মশার উপদ্রব থেকে রক্ষা পেতে প্রতিদিনের মতো গোয়াল ঘরের পাশে লাকড়ির মধ্যে কয়েলে আগুন দেন তিনি। ধারণা করা হচ্ছে এ থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।তিনি আরো জানান, আগুন লেগে দুটি গরু, পাঁচটি ছাগলসহ টিনের গোয়ালঘরটিও পুড়ে গেছে। সবমিলে অন্তত ২ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

এছাড়াও বিভিন্ন ব্যাংক ও এনজিওতে দেড় লক্ষ টাকা ঋণ রয়েছে বলেও জানান তিনি।

আনোয়ার বাদশা বলেন, কৃষি জমি চাষাবাদ করে ৬ সদস্যের পরিবার নিয়ে অভাবের সংসার আমার। গরু ও ছাগলগুলো মারা যাওয়ায় আমি একদম নিঃস্ব হয়ে গেলাম।
সকালে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এসএম কামরুল হাসান দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি জানান, কৃষক আনোয়ার বাদশার গরুগুলো পুড়ে মারা যাওয়ায় বড় ক্ষতি হয়ে গেল। এ অবস্থায় তার সহযোগিতা প্রয়োজন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ১৬, ২০২২ ১০:২৮ অপরাহ্ন
পিপিবি ও শেকৃবির এএসভিএম অনুষদের উদ্যোগে “বিশ্ব ডিম দিবস”পালিত
ক্যাম্পাস

শেকৃবি প্রতিনিধি: শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) এর এনিম্যাল সায়েন্স এন্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদ এবং পোল্ট্রি প্রোফেশনাল’স বাংলাদেশ (পিপিবি) যৌথভাবে পালন করে বিশ্ব ডিম দিবস ২০২২।

এ উপলক্ষ্যে রবিবার (১৬ অক্টোবর) বিকাল ৩ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ কামাল ভবনের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালির আয়োজন করা হয়।

র‍্যালিটি শেখ কামাল ভবন থেকে শুরু হয়ে প্রশাসনিক ভবন ঘুরে আবার শেখ কামাল ভবনে এসে শেষ হয়। র‍্যালি শেষে পথচারী, রিকসাওয়ালা সহ আগত সকলের মাঝে সিদ্ধ ডিম বিতরণ করা হয়।

উক্ত র‍্যালি ও ডিম বিতরণ কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন শেকৃবির এএসভিএম অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. লাম ইয়া আসাদ, পিপিবি শেকৃবি ইউনিটের প্রধান উপদেষ্টা এবং পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল হক বেগ, এএসভিএম অনুষদের সাবেক ডীন অধ্যাপক ড. মো. মোফাজ্জল হোসেন, পিপিবি শেকৃবি ইউনিটের উপদেষ্টা এবং মেডিসিন এন্ড পাবলিক হেলথ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কেবিএম সাইফুল ইসলাম, পিপিবি শেকৃবি ইউনিটের উপদেষ্টা এবং এনিম্যাল প্রোডাকশন এন্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোঃ সাইফুল ইসলাম, এনাটমি এন্ড হিস্টলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম রাসেল, সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ মোশাররফ হোসেন, সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ আবদুল মাসুম, এনিম্যাল নিউট্রিশন এন্ড জেনেটিক্স বিভাগের চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক ড. মোফাচ্ছারা আক্তার রিমি, ডেইরি সায়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ আসাদুজ্জামান, মাইক্রোবায়োলজি এন্ড পাবলিক হেলথ বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহযোগী অধ্যাপক ড. মাহফুজুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক ড. এমএ মান্নান, পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মাকসুদা বেগম, সার্জারি এন্ড থেরিওজেনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আনোয়ারুল হক মামুন, সহকারী অধ্যাপক ডাঃ মোসাঃ নুসরাত জাহান, মেডিসিন এন্ড পাবলিক হেলথ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ দেলোয়ার হোসেন।

কর্মসূচীতে আরো উপস্থিত ছিলেন পিপিবির কোর টিম সদস্য ও ইভোনিক বাংলাদেশ এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডাঃ সঞ্জিত চক্রবর্তী। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন কোর টিম সদস্য ডাঃ আবদুর রহমান রাফি, পিপিবি শেকৃবি শাখার কো-লিডার ডাঃ রূপ কুমার, ইসমাইল হোসেন ভূঁইয়া, পিপিবি শেকৃবি শাখার অন্যান্য সদস্যরা এবং শেকৃবির এএসভিএম অনুষদের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীবৃন্দ।

র‍্যালি শেষে বক্তারা ডিমের পুষ্টিগুণ নিয়ে আলোচনা করেন। এএসভিএম অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. লাম ইয়া আসাদ বলেন, “ডিম একটি সুপারফুড। ডিমের পুষ্টিগুণ একই দামের অন্যান্য খাদ্যের তুলনায় বেশি। ডিমের দাম বাড়া নিয়ে মিডিয়ায় আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু ডিমের পুষ্টিগুণ নিয়ে মিডিয়ায় তেমন আলোচনা দেখা যায় না। আমি সংবাদমাধ্যমে ডিমের পুষ্টিগুণ নিয়ে আরো বেশি প্রচার করার আহবান জানাচ্ছি”।পিপিবি শেকৃবি ইউনিটের প্রধান উপদেষ্টা ও পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল হক বেগ বলেন, ” একটি নতুন প্রাণের জন্ম হয় একটি ডিম থেকে। অর্থ্যাৎ, একটি প্রাণের জন্য যে সকল পুষ্টি উপাদান দরকার তার সবই রয়েছে ডিমের মধ্যে৷ আমরা দেখেছি, পৃথিবীর যে সকল দেশে মাথাপিছু ডিম বেশি খাওয়া হয়, ওই সকল জাতি তত বেশি মেধাবী হয়ে থাকে”।

অধ্যাপক ড. মোঃ মোফাজ্জল হোসেন বলেন, “একটি ডিমে দেহের প্রয়োজনীয় প্রতিটি উপাদান থাকে। মাথার চুলের যে বৃদ্ধি ঘটে সেটা প্রোটিন, এ প্রোটিন আসে ডিম থেকে। আমাদের যে দৃষ্টি শক্তি, যা চোখের সাথে জড়িত। ডিমের মধ্যে এমন কিছু পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধির জন্য সরাসরি জড়িত। আমাদের দৃষ্টি শক্তিকে ঠিকঠাক করতে হলে আমাদের প্রতিদিন ডিম খেতে হবে। শুধু তাই নয়, আমাদের দেহের দৈহিক বৃদ্ধি যেমন: অঙ্গের বৃদ্ধি, চুলের বৃদ্ধি, নখের বৃদ্ধির জন্যও ডিমের ভূমিকা অনেক”।

পিপিবি শেকৃবি ইউনিটের উপদেষ্টা ও মেডিসিন এন্ড পাবলিক হেলথ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কেবিএম সাইফুল ইসলাম বলেন, ” ডিম দিবস পালনের উদ্দেশ্যই হচ্ছে জনসাধারণকে ডিমের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে সচেতন করা। ডিম নিয়ে বিভিন্ন গুজব বিভিন্ন সময়ে ছড়ানো হয়েছে এবং হচ্ছে। সচেতন নাগরিক হিসেবে আমাদের উচিত এ সকল গুজব প্রতিরোধে জনগণকে ডিমের পুষ্টিগুণ নিয়ে জানানো এবং জনসচেতনতা গড়ে তোলা। পিপিবি শেকৃবি ইউনিটের উপদেষ্টা ও এনিম্যাল প্রোডাকশন এন্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, “প্রতিবছরের ন্যায় এবারো পিপিবি এবং এএসভিএম অনুষদের উদ্যোগে ডিম দিবস পালন করা হয়েছে। আমরা আশা করি ভবিষ্যতে আরো বড় পরিসরে এ ধরনের আয়োজন করে বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করতে পারবো। পিপিবি’র কোর টিম সদস্য এবং ইভোনিক বাংলাদেশ লিমিটেড এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডাঃ সঞ্জিত চক্রবর্তী বলেন, ” আমি অত্যন্ত আনন্দিত এ ধরনের কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকতে পেরে। পিপিবি ডিম নিয়ে অনলাইনে ও অফলাইনে যে কার্যক্রমগুলো পরিচালনা করে আসছে এতে জনগোষ্ঠীর বৃহৎ একটি অংশের মাঝে সচেতনতা তৈরি হয়েছে। প্রতিদিন ডিম ও ব্রয়লারের জেলাভিত্তিক দাম পিপিবি’র পেইজে শেয়ার করার ফলে ডিমের দামের মধ্যে একটা স্থিতিশীলতা বজায় রয়েছে”।

উল্লেখ্য, ডিমকে বিশ্বে একটি উন্নতমানের ও সহজলভ্য আমিষজাতীয় খাদ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল এগ কমিশন (আইইসি) স্থাপিত হয় ১৯৬৪ সালে। বর্তমানে এই সংস্থার সদস্যসংখ্যা ৮০। সংস্থাটি প্রাণিজ আমিষের চাহদিা পূরণ, স্বাস্থ্যবান ও মেধাবী জাতি গঠন এবং সর্বোপরি ডিমের গুণাগুণ সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে ১৯৯৬ সালে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় প্রথম ‘বিশ্ব ডিম দিবস’ পালনের আয়োজন করে, যা পরবর্তী সময়ে প্রতিবছর অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় শুক্রবার পালিত হয়ে আসছে।

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ভারত প্রভৃতি দেশসহ সারা বিশ্বের ৪০টি দেশে পালিত হয় ‘বিশ্ব ডিম দিবস’, যার পরিধি ও ব্যাপ্তি উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০১৭ সাল থেকে প্রতিবছর সাড়ম্বরপূর্ণভাবে পিপিবি ডিম দিবস পালনে করে আসছে।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop