৩:২১ অপরাহ্ন

বুধবার, ২০ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : মে ১৬, ২০২২ ৩:৩৫ অপরাহ্ন
দিনাজপুরে ‘বঙ্গবন্ধু ১০০’ ধান চাষে ব্যাপক জনপ্রিয়তা
কৃষি বিভাগ

দিনাজপুরে প্রথমবারের মত উচ্চফলনশীল ও জিংকসমৃদ্ধ ‘বঙ্গবন্ধু ১০০’ জাতের ধান আবাদে সফলতা পেয়েছেন রাষ্ট্রীয় পদকপ্রাপ্ত কৃষক মতিউর রহমান। বোরো মৌসুমের এই ধান দেশে এবারই প্রথম একশ’ একর জমিতে আবাদ হয়েছে। যার মধ্যে দিনাজপুরেই ৫০ একর জমিতে নতুন এই জাতের ধানের চাষ করা হয়েছে।

বোরো মৌসুমের ব্রি ধান-২৮ ও অন্যান্য জাতের ধানের চেয়েও ফলন বেশি, আর উৎপাদন খরচও কম। এরইমধ্যেই উচ্চফলনশীল এই ধানের আবাদে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের মাঝে।

কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, নতুন জাতের এই ধান দেশে এবারই প্রথম এক’শ একর জমিতে চুক্তিভিত্তিতে আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে দিনাজপুরে আবাদ হয়েছে ৫০ একর জমিতে। রাষ্ট্রীয় পদকপ্রাপ্ত দিনাজপুরের কৃষক মতিউর রহমান এই ধানের আবাদ করেছেন। কম সময়ে বেশি ফলন পাওয়ায় অনেকেই এখন বঙ্গবন্ধু ১০০ ধান চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।

কৃষক মতিউর রহমান জানান, উচ্চফলনশীল ব্রি ধান ‘বঙ্গবন্ধু ১০০’ চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন তিনি। রোগবালাই ও উৎপাদন খরচ কম এবং ফলন বেশি হয়। প্রতি একরে ৮৫ মণ ধান পাওয়া যায়।

দিনাজপুর বিএডিসির বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রের যুগ্ম-পরিচালক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ১০০’ একটি উচ্চফলনশীল ধান এবং এ ধান থেকে উৎপাদিত চাল সরু এবং খাওয়ার উপযোগী। উৎপাদন খরচ ও সময় কম লাগে এবং এটি ব্রি ধান-২৮ থেকে ফলন অনেক বেশি।

উল্লেখ্য, মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষ্যে উচ্চফলনশীল ও জিংকসমৃদ্ধ এইধানের নাম দেয়া হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু ১০০’। উদ্ভাবনের পর ফলন ও বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষায় কাটে পাঁচ বছর। ২০১৭ সালে ব্রি’র আঞ্চলিক কার্যালয়সমূহের গবেষণা মাঠে এবং ২০১৯ সালে কৃষকের মাঠে পরীক্ষা করা হয়। এরপর ২০২০ সালে বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সির ফলন পরীক্ষার পর ধান গবেষণা ইনষ্টিটিউট ২০২১ সালে বঙ্গবন্ধু ধান-১০০ নামে এটি অবমুক্ত করে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১৬, ২০২২ ১১:৩১ পূর্বাহ্ন
পতিত জমি চাষে সব সহযোগিতা দেয়া হবে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষি বিভাগ

কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, খাদ্য নিরাপত্তাকে টেকসই ও আরও মজবুত করতে হলে চরাঞ্চল, উপকূলীয় লবণাক্ত এলাকা, পাহাড়ি প্রতিকূল এলাকার জমিকে চাষের আওতায় আনতে হবে। কোন জমি অনাবাদি রাখা যাবে না। পতিত জমি চাষের আওতায় আনতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে। পতিত জমিতে যারা চাষ করবে তাদেরকে সকল ধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হবে।

রবিবার (১৫ মে) নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চর জব্বারে ও বিএডিসি খামারে সয়াবিন, ভুট্টা ও সূর্যমুখীর মাঠ পরিদর্শন এবং কৃষকদের সাথে মতবিনিময়কালে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বিএডিসি‘র চুক্তিবদ্ধ চাষীদের সয়াবিন বীজ ফসলের মাঠ পরিদর্শনকালে মন্ত্রী চরাঞ্চলে অবস্থিত অনাবাদি পতিত জমিতে তেল জাতীয় ফসল সয়াবিন, সুর্যমুখী ও সরিষার আবাদ বাড়ানোর জন্য পরামর্শ প্রদান করেন। তিনি বলেন, তেল জাতীয় ফসল আবাদে উৎপাদন খরচ কম এবং লাভ বেশি। এ বিষয়ে কৃষিবান্ধব শেখ হাসিনার সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় বীজ, সার, প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ প্রদানসহ সকল প্রকার সহযোগিতা দেয়া হবে।

চাষিদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, নোয়াখালীর অনাবাদী পতিত জমি গুলোকে আবাদের আওতায় আনতে আউশ ধানের উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবন করেছে আমাদের বিজ্ঞানীরা । আপনারা স্বল্প জীবনকাল সম্পন্ন অধিক ফলনশীল এ জাতগুলো রবি ফসল কর্তনের পরপরই আবাদ করবেন। চাষাবাদের প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি ও সহযোগিতা দিতে বিএডিসি বীজ, সার ও সেচ ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করছে। জাতগুলো কৃষকের কাছে সম্প্রসারণের জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর প্রতিটি ইউনিয়ন পর্যায়ে কাজ করছে।

মন্ত্রী বলেন, লবণাক্ততা উপকুলীয় এলাকার একটি অন্যতম সমস্য। লবনাক্ত জমিতে চাষোপযোগী জাত উদ্ভাবিত হয়েছে। লবণাক্ত এলাকায় লাউ, সীম, তরমুজ, সুর্যমুখী, মিষ্টি আলু ও সয়াবিন ফসলের ফলন ভাল হয়। এ ফসলগুলোর ক্রপিং প্যাটার্নে অন্তর্ভুক্ত করে চর এলাকার প্রত্যেকটি জমি আবাদের আওতায় আনতে হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার কৃষি যান্ত্রিকীকরণ, আধুনিকীকরন ও বাণিজ্যিকীকরণ এর উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছে।

এসময় কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলাম, বিএডিসির সদস্য পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান, পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বেনজীর আলম, সুগারক্রপ রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক আমজাদ হোসেন, বিএডিসির সুবর্ণচর প্রকল্পের পরিচালক আজিম উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১৫, ২০২২ ৩:০৯ অপরাহ্ন
চলতি মাসেই বাজারে দেখা যাবে দিনাজপুরের লিচু
কৃষি বিভাগ

লিচুর রাজ্য হিসেবে খ্যাত উত্তরের জেলা দিনাজপুরের বাগানগুলোয় সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে লিচুর গুটিতে রঙ আসতে শুরু করেছে। চলতি মাসেই দিনাজপুরের বাজারে উঠতে শুরু করবে মাদ্রাজি, চায়না- ৩ এবং বোম্বে জাতের লিচু।

লিচুর মৌ-মৌ গন্ধে ভরে উঠেছে চারদিক। ভালো ফলন পেতে লিচু চাষিরা বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। দিনাজপুর জেলার ১৩ উপজেলার মধ্যে দিনাজপুর সদর, বিরল, চিরিরবন্দর, কাহারোল, বীরগঞ্জ, খানসামা উপজেলায় সিংহভাগ লিচু উৎপাদন হয়। এ মাসেই দিনাজপুরের লিচু বাজারে উঠবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

চলতি মৌসুমে জেলার ৫ হাজার ৭৮৭ হেক্টর জমিতে লিচুর চাষ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে নিয়মিতই চাষিদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে কৃষি বিভাগ।

বিভিন্ন জাতের লিচুর মধ্যে বেদানা, বোম্বাই, মাদ্রাজি, চায়না-থ্রি আর দেশি লিচুর গুটি ফলনে নুয়ে পড়েছে গাছের ডালপালা। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই স্থানীয় বাজারে মাদ্রাজি লিচু পাওয়া যাবে বলে জানান বাগান মালিকরা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে দিনাজপুর জেলায় ৫ হাজার ৭৮৭ হেক্টর  জমিতে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার লিচুবাগান রয়েছে। এসব বাগানে প্রায় ৩ লাখ ৩৫ হাজারের বেশি গাছ রয়েছে। এবার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৩৫ হাজার মেট্রিক টন।

জেলার বিরলের সফিকুল ইসলাম জানান, একটি বড় গাছে ২০-২৫ হাজার এবং ছোট গাছে ১ থেকে দেড় হাজার লিচু পাওয়া যায়। জ্যৈষ্ঠের পূর্বেই বৈশাখের মাঝামাঝিতে বাজারে উঠবে পাকা টসটসে লিচু।

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এখলাসুর রহমান বলেন, ঘোড়াঘাট উপজেলায় ৫২ হেক্টর জমিতে প্রায় ৬২টি লিচুর বাগান রয়েছে।  এর মধ্যে মাদ্রাজি, চায়না- ৩ এবং বোম্বে প্রধান লিচুর জাত। জুন মাসের ১ম সপ্তাহেই লিচুর জাতগুলো পরিপক্ক হয়ে বাজারে আসবে। চাষীরা এবার লিচু বিক্রয় করে লাভবান হবে বলে তিনি আশাবাদী।

তিনি আরও বলেন, অপরিপক্ক লিচু যাতে বাজারে না আসে তার জন্য কৃষকদের নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১৫, ২০২২ ২:০২ অপরাহ্ন
লক্ষ্মীপুরে ক্ষেতেই পচে যাচ্ছে সয়াবিন, লোকসানে কৃষক
কৃষি বিভাগ

লক্ষ্মীপুরের মাটি সয়াবিন চাষের জন্য বেশ উপযোগী হলেও গেলো কয়েক বছর থেকে আবহাওয়া অনুপোযোগী হয়ে উঠেছে। কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে লক্ষ্মীপুরে পাকা সয়াবিনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার সয়াবিন ক্ষেতে পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। 

গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে সয়াবিন ক্ষেতে পানি জমে থাকায় আধাপাকা সয়াবিন পচে গেছে। চাষিরা সয়াবিন ঘরে তোলায় আগে ক্ষেতেই সব নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে লোকসানের কবলে পড়তে হচ্ছে কৃষকদের।

জেলা কৃষি বিভাগ বলছে, প্রায় ৬শ’ হেক্টর জমির সয়াবিন ক্ষেত পানিতে ডুবে পচে গেছে। যার বাজার মূল্যে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা। এভাবে বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে ক্ষতির পরিমাণ আরো বাড়তে পারে।

জানা যায়, দেশের উৎপাদিত সয়াবিনের ৮০ ভাগ উৎপাদিত হয় এ জেলায়। সয়াবিন চাষের সঙ্গে জড়িত রয়েছে প্রায় ৭০ হাজার কৃষক। দীর্ঘ অপেক্ষা শেষে সপ্তাহ খানেক পর মাঠের সয়াবিন ঘরে তুলতে প্রস্তুতি নিচ্ছিল কৃষকরা। কিন্তু গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে লক্ষ্মীপুর-সদর, রামগতি, কমলনগর ও রায়পুর উপজেলার চরাঞ্চলের পাকা সয়াবিন ক্ষেত পানিতে ডুবে পচন ধরেছে। সয়াবিন পচা দুর্গন্ধে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ। ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে কিভাবে সামনের দিন কাটবে সে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন সয়াবিন চাষিরা।

সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চর উভূতি গ্রামের কৃষক সফিকুল আলম বলেন, দুই সপ্তাহ আগে ক্ষেতে পানি জমে ৩২ শতাংশ জমির সয়াবিন পচে গেছে। আমার মতো অনেক চাষি এবার ক্ষতির মুখে পড়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে জেলায় সয়াবিনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৫০ হাজার ৫৭৫ হেক্টর। লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে ৪১ হাজার ২৭০ হেক্টর। গত বছরের তুলনায় ৯ হাজার হেক্টর কম। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার টন।

লক্ষ্মীপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ড. মো. জাকির হোসেন বলেন, এবার সয়াবিনের ফলন ভালো হয়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বৃষ্টি হওয়ায় ক্ষেতে থাকা ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কৃষকদের দ্রুত সয়াবিন কেটে ফেলার পরামর্শ দিচ্ছি।

 

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১৪, ২০২২ ৪:০২ অপরাহ্ন
নাটোরের চলনবিলে শ্রমিক সংকটে দুশ্চিন্তায় কৃষক
কৃষি বিভাগ

শস্যভাণ্ডারখ্যাত নাটোরে এবার বোরো ধান কাটার শ্রমিক না পাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছে চলনবিলের চাষিরা। নাটোরের সিংড়া, গুরুদাসপুর ও নলডাঙ্গায় শ্রমিক সংকটে পড়েছেন চাষিরা।

চলতি বোরো মৌসুমে নাটোরের চলনবিলে কয়েক দফা ঝড় আর বৃষ্টিতে মাঠের বেশিভাগ পাঁকা ধান এখন পানির নিচে। অন্যদিকে, শ্রমিকের মজুরিও গুণতে হচ্ছে গত বছরের প্রায় দ্বিগুণ। জনপ্রতি ১১শ’ থেকে ১২শ’ টাকা মজুরিতেও পর্যাপ্ত ধান কাটার শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। শ্রমিক পাওয়া না গেলে অনেক নিচু অঞ্চলের ধান বৃষ্টিতে নষ্ট হবার আশঙ্কা করছেন তারা। বৃষ্টির কারণে অনেকে আধা পাকা ধান কেটে ঘরে তুুুুলছেন।

অন্যদিকে, ঘূণিঝড় অশনির কারণে গত কয়েকদিন ধরে নাটোরের বিভিন্ন উপজেলায় থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। এতে করে জমির ধান নিয়ে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন চাষিরা।

সুকাশ ইউনিয়নের বনকুড়ইল গ্রামের আফসার আলী বলেন, অনেক কষ্টে দৈনিক ১১’শ টাকা চুক্তিতে ধান কাটার কাজের জন্য শ্রমিক পেয়েছি। এবছর ধান চাষে এ খরচ অনেক বেশি গেছে।

সিংড়া উপজেলার চৌগ্রাম ইউনিয়নের চৌগ্রামের কৃষক ইদ্রিস মোল্লা বলেন, ৫০ বিঘা জমিতে ধান করছি। ৩ হাজার টাকা বিঘা চুক্তিতে শ্রমিক দিয়ে জমির ধান কাটাইছি। এত খরচ হইলে কিভাবে সংসার চলব।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাহমুদুল ফারুক বলেন, নাটোর জেলায় প্রায় ৭০ ভাগ জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে। এখন চলছে মাড়াই ও ধান সংগ্রহের কাজ। কিছুদিনের মধ্যই বাকী জমির ধান কাটা শেষ হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১৩, ২০২২ ১২:০৬ অপরাহ্ন
বরিশালের বাবুগঞ্জে ব্রি উদ্ভাবিত বোরো ধানের মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত
কৃষি বিভাগ

নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): বরিশালের বাবুগঞ্জে ব্রি উদ্ভাবিত উচ্চফলনশীল বোরোর জাত প্রদর্শনীর শস্য কর্তন ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বাবুগঞ্জ উপজেলার গাজীপুরে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এ উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আয়োজক প্রতিষ্ঠানের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আলমগীর হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রির ঊধর্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. প্রিয় লাল বিশ্বাস এবং ঊধর্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান কবীর। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাবুগঞ্জের কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার শাহ মো. আরিফুল ইসলাম।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা নাহিদ বিন রফিকের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ব্রির বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবু সায়েম, উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো. খোরশেদ আলম, ব্রির বৈজ্ঞানিক সহকারি আশিক ইকবাল, প্রদর্শনীচাষি মো. মোমিনুল ইসলাম, আব্দুল জলিল প্রমুখ।

প্রধান অতিথি বলেন, প্রধান খাদ্য ধান। তাই আমাদের চাহিদা পূরণে এর উৎপাদন বাড়াতে হবে। এজন্য দরকার উচ্চফলনশীল জাত ব্যবহার। ব্রি উদ্ভাবিত বেশ কয়েকটি জাত রয়েছে, যার ফলন হয় শতাংশপ্রতি ১ মন প্রায়। তবে এর পূর্বশর্ত সময়মতো চারা লাগানো। সে সাথে প্রয়োজন সুষ্ঠু সার প্রয়োগ আর সঠিক পরিচর্যা।

অনুষ্ঠানে অধিক ফলনশীল হাইব্রিড ধানের জাত উদ্ভাবন, গবেষণা ও আধুনিকায়ন প্রকল্পের আওতাধীন শতাধিক কৃষক অংশগ্রহণ করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১২, ২০২২ ২:১২ অপরাহ্ন
শরীয়তপুরে নিরাপদ পদ্ধতিতে সবজি চাষে আগ্রহ বাড়ছে
কৃষি বিভাগ

মোঃ আব্দুল মান্নান: জৈবসার এবং বালাইনাশক ব্যবহারের মাধ্যমে নিরাপদ সবজি উৎপাদনে দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে শরীয়তপুরের সবজি চাষিদের। জেলার জাজিরা, নড়িয়া এবং ভেদরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ফসলের মাঠ ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

সরেজমিনে, দেখা যায় সবজি উৎপাদনের জন্য চাষীরা ফসলের ক্ষেতে সেক্স ফেরোমন ফাঁদ, হলুদ বোর্ড সহ জৈব বালাইনাশক বিভিন্ন উপকরণ তারা ব্যবহার করেছে।

এমনই একজন নিরাপদ সবজি চাষী ইদ্রিস মোল্লা। তিনি জানান, এসডিএস এর ভাইদের পরামর্শে ধুন্দল ক্ষেতে ফেরোমন, হলুদ বোর্ড লাগানোর পর পোকা-মাকড়ের আক্রমণ অনেকটা কমে গেছে। ক্ষেতে তেমন পোকা-মাকড় নাই বললেই চলে। ফাঁদ লাগানোর পর কীটনাশক তেমন দিতে হয়নি ফলে খরচ আমার কিছুটা কমেছে। আর জৈব সার ব্যবহার করাতে রাসায়নিক সারও আমার বেশি লাগেনি। আমি মনে করি,সবার এগুলো ব্যবহার করা উচিত। এতে খরচ কম হয় লাভ বেশি থাকে এবং নিরাপদ সবজি পাওয়া যায়।

ইফাদ এর অর্থায়নে এবং পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর সহযোগীতায় Promoting Agricultural Commercialization and Enterprises (PACE) Project এর আওতায় নিরাপদ পদ্ধতিতে সাধারন ও উচ্চমূল্যের সবজি চাষের মাধ্যমে কৃষকের আয়বৃদ্ধিকরণ উপ-প্রকল্পের আওতায় ২০১৭ সাল থেকে শরীয়তপুর জেলার জাজিরা, নড়িয়া এবং ভেদরগঞ্জ উপজেলার ১২ হাজারের বেশি কৃষকদের নিয়ে নিরাপদ পদ্ধতিতে সাধারণ (ধুন্দল, চিচিঙ্গা, শসা, করলা লাউ, বেগুণ,টমেটো ইত্যাদি) এবং উচ্চ মূল্যের স্কোয়াশ, ব্রোকলি, লেটুস, ক্যাপসিকাম সহ বিভিন্ন জাতের সবজি চাষ, জৈব সার, জৈব বালাইনাশকের ব্যবহার পদ্ধতি, ভার্মি কম্পোস্ট,অনুজীব সার তৈরিসহ কৃষকদের দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ, পরামর্শসহ বিভিন্ন কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে এসডিএস (শরীয়তপুর ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি)।

জানা যায়, বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগের আঘাতে আঘাতে জীবন যুদ্ধে পরাজিত সৈনিক,ক্ষুধা, দারিদ্রতা, অসহায়ত্বের বেড়াজালে আবদ্ধ কৃষি নির্ভর এ মানুষগুলোর ভাগ্যন্নোয়নে ১৯৯১ সাল থেকে নিরলসভাবে কাজ করছে স্থানীয় এই বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা এসডিএস (শরীয়তপুর ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি)।

এসডিএস এর পরিচালক (এমএফ) বি এম কামরুল হাসান (বাদল) বলেন, শুরু থেকেই নিরাপদ ও উচ্চমূল্যের সবজি উৎপাদনে কৃষকের আগ্রহ সৃষ্টি করতে আমরা কাজ করছি। এ জন্য উপকরণ সরবরাহ, কারিগরি সহায়তা, প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও সার্বক্ষণিক পরামর্শ প্রদান এবং মনিটরিং করছি। এ কাজে আমাদেরকে শরীয়তপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সহযোগিতা করছে। গঙ্গানগর, কাঁচিকাটা ও চরআত্রা এই তিনটি এলাকাতেই এ প্রকল্পের মাধ্যমে মাটি পরীক্ষার প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহ ও এ সম্পর্কে একটি স্বচ্ছ ধারণা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। ফলে কৃষকেরা পরিমিত মাত্রায় রাসায়নিক সার প্রয়োগে অভ্যস্ত হচ্ছেন। বিষমুক্ত ও কম খরচে সবজি উৎপাদনে শরীয়তপুরের তিনটি উপজেলার চরাঞ্চলে সবজি ক্ষেতে হলুদ ফাঁদ, ফেরোমন বসানো হয়েছে। ফলে পোকা দমনে কৃষককে কীটনাশক বা বিষ ব্যবহার করতে হয় না। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত সবজি ক্রেতার হাতে তুলে দেয়া।

শরীয়তপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মোঃ আব্দুস সাত্তার বলেন, আমরা নিরাপদ ফসল উৎপাদনকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে নিরাপদ সবজি ও ফল উৎপাদনে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছি। এ কাজ আমরা সংস্থা ও ব্যক্তিপর্যায়ে আরো বেশি বেশি করার জন্য উৎসাহিত করছি। আমার জানা মতে, শরীয়তপুরের বেসরকারি সংস্থা এসডিএস দুর্গম চরাঞ্চলসহ প্রত্যন্ত গ্রাম এলাকায় অনেক আগে থেকেই জৈব কৃষি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। তারা ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার, হলুদ ফাঁদ ও সেক্স ফেরোমন ফাঁদসহ বিভিন্ন জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১২, ২০২২ ১১:২৭ পূর্বাহ্ন
তেলবীজের উৎপাদন বাড়ানোর নির্দেশ কৃষিমন্ত্রীর
কৃষি বিভাগ

ভোজ্যতেলের আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে আনতে তেলবীজের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য গবেষণা ও উৎপাদন বাড়ানোর কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে কৃষি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক।

১১ মে (বুধবার) সকালে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) মিলনায়তনে কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন এর সাম্প্রতিক অর্জন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এ নির্দেশনা প্রদান করেন।

ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘ভোজ্যতেল আমদানিতে বছরে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি খরচ হচ্ছে। ডাল আমদানি করতে হচ্ছে ৬ থেকে ৭ লাখ টন, তাতেও প্রচুর অর্থ বিদেশে চলে যাচ্ছে।আমাদের দেশে পটুয়াখালী সহ বিভিন্ন চরাঞ্চলে ডাল ও তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন হচ্ছে। ধানের উৎপাদনকে ক্ষতিগ্রস্ত না করে অতিরিক্ত ফসল হিসাবে আরও কোথায় কোথায় এসব ফসলের উৎপাদন করা যায় এসব খুঁজে বের করতে হবে এবং একই সঙ্গে গবেষণা বাড়াতে হবে।’

তিনি বলেন, ভোজ্যতেলের ৯০ শতাংশই আমদানি করতে হয়। আমরা আমদানির অর্ধেকও উৎপাদন করতে পারি কি না সেটা দেখতে হবে, আমাদের সে সক্ষমতা রয়েছে। কোথায় কোথায় সরিষার উৎপাদন বাড়ানো যায় সেটা নির্ধারণ করতে হবে। এক্সটেনশন সিস্টেম ডেভেলপ করতে হবে, যাতে দ্রুত এর উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। এটি করতে পারলে আগামী ৩-৪ বছরের মধ্যে ভোজ্যতেলের চাহিদার ৪০ ভাগ স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করা সম্ভব হবে।

তবে এসব পণ্যের উৎপাদান বাড়াতে হলে ভালো মানের গবেষণার দরকার বলে জানান ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, সরকারের গবেষণার জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ দিচ্ছে। এ টাকা দিয়ে কি মানের গবেষণা হচ্ছে, কোন কোন জার্নালে প্রকাশিত হচ্ছে, সেগুলো মানসম্পন্ন কিনা এ বিষয়গুলো দেখা হবে। শুধু গবেষণা করলে হবেনা, মাঠ পর্যায়ে তা কি ফলাফল বয়ে আনছে সে বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে।

পেঁয়াজের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, কদিন আগেই পেঁয়াজের ভরা মৌসুমে কৃষকরা দাম পাচ্ছিল না। এখন একটু দাম বৃদ্ধির কারণে কৃষকরা একটু মূল্য পাচ্ছে। কৃষককে দাম পাওয়ার জন্যই আমদানি কিছুটা বন্ধ রাখা হয়েছে। কারণ, কৃষকেরা উৎপাদন খরচ তুলতে না পারলে আগামী বছর পেঁয়াজ চাষে আগ্রহী হবে না।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কৃষিসচিব মো . সায়েদুল ইসলাম বলেন, দেশে এখনো গবেষণা সরকারি পর্যায়েই সীমাবদ্ধ। বিদেশে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতেরও ভূমিকা আছে । বেসরকারি খাতেও গবেষণা বাড়াতে হবে।

বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাস।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১১, ২০২২ ১:২৭ অপরাহ্ন
শ্রীনগরের আড়িয়াল বিলে ধান কাটা নিয়ে বিপাকে কৃষক
কৃষি বিভাগ

শ্রীনগরের আড়িয়াল বিলে দুশ্চিন্তা মাথায় নিয়ে জমির পাকা ধান কাটতে শুরু করেছে কৃষকেরা। ধান কাটতে কৃষি শ্রমিকের দৈনিক মজুরি হিসাবে কৃষকের গুনতে হচ্ছে ১২০০-১৩০০ টাকা। ধানের জমিতে জলাবদ্ধতা, কৃষি শ্রমিকের অভাব ও ঝড়-বৃষ্টির আশঙ্কায় চাষিরা ফসল ঘরে তুলতে হিমশিম খাচ্ছেন। 

কৃষি বিভাগ জানায়, উপজেলায় এ বছর বোরো মৌসুমে ৯ হাজার হেক্টরের অধিক জমিতে বিভিন্ন জাতের ধান চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে আড়িয়াল বিলের শ্রীনগর অংশেই ৫ হাজার হেক্টর জমিতে আগাম ধান চাষ করা হয়েছে।

ঝড়-বৃষ্টিতে অসংখ্য জমিতে পাকা ধান নুয়ে পড়ায় চাষিদের ভোগান্তি বেড়েছে। উপজেলার আলমপুর, শ্রীধরপুর, বাড়ৈখালী, মদনখালী, গাদিঘাট এলাকায় হাঁটু পানিতে দাঁড়িয়ে ধান কাটছেন শ্রমিকরা। পরে মাথায় কিংবা ছোট ডিঙ্গি নৌকায় করে লোকালয়ে নিয়ে আসছেন। এসব ধান সড়ক কিংবা বাড়ির বোঙ্গা (শ্যালো ইঞ্জিতচালিত) মেশিনে মাড়াই করা হচ্ছে।

জানা যায়, আড়িয়াল বিল ছাড়াও উপজেলার অন্যান্য বিলে পাকা ধান কাটা হচ্ছে। এ অঞ্চলে অধিকাংশ জমিতে হাইব্রিড ২৮ ও ২৯ জাতের ধান চাষ করা হয়েছে। এলাকায় মাড়াই করা ভিজা ধান সাড়ে ৭০০ থেকে সাড়ে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কৃষকেরা জানায়, আড়িয়াল বিলের বেশিরভাগ জমিতেই পানি উঠায় ধান কাটায় ভোগান্তির সৃষ্টি হচ্ছে। কৃষি শ্রমিকের অভাবে অতিরিক্ত মজুরী দিয়েও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। ৩ বেলা খাবার দিয়ে একজন শ্রমিককে ১২শ’ থেকে ১৩শ’ টাকা রোজ দিতে হচ্ছে। কিন্তু ১ মণ ধান বিক্রি হচ্ছে  মাত্র ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায়।

শ্রীনগর উপজেলা কৃষি অফিসার সান্ত্বনা রানী জানান, বৃষ্টি ও জোয়ারের পানি জমিতে উঠে গেছে। ঈদের ছুটির কারণে কৃষি শ্রমিকদের আসতে বিলম্ব হচ্ছে। জমিতে নুয়ে পড়া ধান আগে কাটার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১১, ২০২২ ১১:২৯ পূর্বাহ্ন
ঘাতসহনশীল ধানের জাত উদ্ভাবনে সহযোগিতা করবে ইরি: কৃষিমন্ত্রী
কৃষি বিভাগ

লবণ, খরাসহ বিভিন্ন ঘাতসহনশীল (স্ট্রেস টলারেন্ট) ধানের জাত উদ্ভাবন ও গবেষণায়  বাংলাদেশকে আরও বেশি করে সহযোগিতা করবে আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ইরি)। এছাড়া, ভারতের বারানসিতে অবস্থিত ইরি দক্ষিণ এশিয়া আঞ্চলিক অফিসে স্থাপিত বিশ্বমানের গবেষণাগারে বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা দ্রুত ধানের জাত উদ্ভাবনসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে পারবে।

মঙ্গলবার বিকালে সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপির সাথে বৈঠকে ইরির এশিয়া প্রতিনিধি নাফিস মিয়া (Nafees Meah) এ কথা জানান। বৈঠকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: সায়েদুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব কমলারঞ্জন দাশ, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর, ইরির বাংলাদেশ প্রতিনিধি হোমনাথ ভাণ্ডারি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এসময় কৃষিমন্ত্রী বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করতে লবণ, খরাসহ বিভিন্ন ঘাতসহনশীল ধানের জাত উদ্ভাবনে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। ইতোমধ্যে দেশের বিজ্ঞানীরা উন্নতমানের অনেকগুলো জাত উদ্ভাবন করেছে। তারপরও আরও জাত দরকার। এ বিষয়ে আমরা ইরির সহযোগিতা চাই।

ইরির  প্রতিনিধিদল এসময় বাংলাদেশে গোল্ডেন রাইস রিলিজের বিষয়ে জানতে চান ও রিলিজের অনুরোধ জানান। দেশে গোল্ডেন রাইস রিলিজের বিষয়টি বর্তমানে পরিবেশ,বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে বিবেচনাধীন আছে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, দেশে গোল্ডেন রাইস রিলিজের বিষয়ে পরিবেশবাদী ও সুশীল সমাজের আপত্তি রয়েছে।

২০২৩ সালে অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক ধান সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে প্রধান অতিথি হিসাবে আমন্ত্রণ করা হবে বলে জানান ইরির এশিয়া প্রতিনিধি নাফিস মিয়া।

পরে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে কৃষিমন্ত্রী বলেন, বড় কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে দেশে খাদ্য সংকট হওয়ার কোন সুযোগ নেই। এই মুহূর্তে মাঠে ধানের অবস্থা ভাল। এবছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ৯০ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। হাওরে ৪ লাখ ৫২ হাজার হেক্টর জমির মধ্যে আগাম বন্যায় প্রায় সাত হাজার হেক্টর জমির ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে সময়মতো বাঁধ রক্ষা, অনুকূল আবহাওয়া ও যন্ত্রের মাধ্যমে দ্রুততার সাথে ধান কাটার ফলে ইতোমধ্যে হাওরের ধান ঘরে তোলা গেছে।

সরিষার আবাদ বৃদ্ধির মাধ্যমে ভোজ্যতেলের আমদানি নির্ভরতা কমাতে কাজ চলছে বলে জানান মন্ত্রী।  তিনি বলেন, আগামী ৩-৪ বছরের মধ্যে  ভোজ্যতেলের চাহিদার ৪০ ভাগ স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করা সম্ভব হবে।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop