দিনাজপুরে ‘বঙ্গবন্ধু ১০০’ ধান চাষে ব্যাপক জনপ্রিয়তা
কৃষি বিভাগ
দিনাজপুরে প্রথমবারের মত উচ্চফলনশীল ও জিংকসমৃদ্ধ ‘বঙ্গবন্ধু ১০০’ জাতের ধান আবাদে সফলতা পেয়েছেন রাষ্ট্রীয় পদকপ্রাপ্ত কৃষক মতিউর রহমান। বোরো মৌসুমের এই ধান দেশে এবারই প্রথম একশ’ একর জমিতে আবাদ হয়েছে। যার মধ্যে দিনাজপুরেই ৫০ একর জমিতে নতুন এই জাতের ধানের চাষ করা হয়েছে।
বোরো মৌসুমের ব্রি ধান-২৮ ও অন্যান্য জাতের ধানের চেয়েও ফলন বেশি, আর উৎপাদন খরচও কম। এরইমধ্যেই উচ্চফলনশীল এই ধানের আবাদে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের মাঝে।
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, নতুন জাতের এই ধান দেশে এবারই প্রথম এক’শ একর জমিতে চুক্তিভিত্তিতে আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে দিনাজপুরে আবাদ হয়েছে ৫০ একর জমিতে। রাষ্ট্রীয় পদকপ্রাপ্ত দিনাজপুরের কৃষক মতিউর রহমান এই ধানের আবাদ করেছেন। কম সময়ে বেশি ফলন পাওয়ায় অনেকেই এখন বঙ্গবন্ধু ১০০ ধান চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
কৃষক মতিউর রহমান জানান, উচ্চফলনশীল ব্রি ধান ‘বঙ্গবন্ধু ১০০’ চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন তিনি। রোগবালাই ও উৎপাদন খরচ কম এবং ফলন বেশি হয়। প্রতি একরে ৮৫ মণ ধান পাওয়া যায়।
দিনাজপুর বিএডিসির বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রের যুগ্ম-পরিচালক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ১০০’ একটি উচ্চফলনশীল ধান এবং এ ধান থেকে উৎপাদিত চাল সরু এবং খাওয়ার উপযোগী। উৎপাদন খরচ ও সময় কম লাগে এবং এটি ব্রি ধান-২৮ থেকে ফলন অনেক বেশি।
উল্লেখ্য, মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষ্যে উচ্চফলনশীল ও জিংকসমৃদ্ধ এইধানের নাম দেয়া হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু ১০০’। উদ্ভাবনের পর ফলন ও বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষায় কাটে পাঁচ বছর। ২০১৭ সালে ব্রি’র আঞ্চলিক কার্যালয়সমূহের গবেষণা মাঠে এবং ২০১৯ সালে কৃষকের মাঠে পরীক্ষা করা হয়। এরপর ২০২০ সালে বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সির ফলন পরীক্ষার পর ধান গবেষণা ইনষ্টিটিউট ২০২১ সালে বঙ্গবন্ধু ধান-১০০ নামে এটি অবমুক্ত করে।