৩:৩৯ অপরাহ্ন

মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : জুন ১৪, ২০২২ ৩:৩৬ অপরাহ্ন
এক নারী রেসার কবুতরের দাম ১৬ কোটি ৪১ লাখ! 
পাঁচমিশালি

নিউ কিম নামে বেলজিয়ামের এক নারী ‘রেসার কবুতর’ অনলাইন নিলামে রেডর্ক ১ দশমিক ৬ ইউরোতে বিক্রি হয়েছে। যার বাংলাদেশি মুদ্রায় দাম ১৬ কোটি  ৪১ লাখ ৩ হাজার ৫৬ টাকা। কবুতরটিকে কিনেছেন রহস্যময় চীনা এক নাগরিক।

বেলজিয়ামের নিলাম হাউস পিপাতে দু’সপ্তাতশহ ধরে চলা নিলামের শেষ ৩০মিনিটে সুপার ডুপার এবং হিটম্যান ছদ্মনামের দুই চীনা ক্রেতা দাম বাড়িয়ে দেন।

গত ২ নভেম্বর নিউ কিমের নিলামে দাম শুরু হয় ২০০ ইউরো দিয়ে। তবে ৯০ মিনিটের মধ্যেই দক্ষিণ আফ্রিকার একটি গ্রুপ ১ দশমিক ৩১ মিলিয়ন ইউরো দাম করে। এরপর রোববার চীনের দুই সম্পদশালী কবুতরটির দাম নিয়ে প্রতিযোগিতায় নামেন।

অবশেষে নিলামে জিতে ‘সুপার ডুপার’ পাখিটি কিনে নেন। তবে চীনের এক শিল্পপতি যার আর্মান্ডো নামে একটি পুরুষ কবুতরও রয়েছে। ওই কবুতরটি তিনি লুইস হেমিলটন প্রতিযোগিতা ব্যবহার করেছেন। গত বছর কবুতরটি ১ দশমিক ২৫  মিলিয়ন ইউরোতে তিনি বিডারদের কাছ থেকে কিনেছিলেন। নিউ কিমও হয়ত তার কাছেই যাবে।

এদিকে এত দাম পেয়ে কবুতরের মালিক তো মহাখুশি। মালিক কার্ট ভ্যান ডি ওয়েভর জানান, তিনি রীতিমত অবাক, ভাবতেই পারেননি এত দাম পাবেন।

পিআইপিএর প্রধান নির্বাহী ও প্রতিষ্ঠাতা নিকোলাস গিজেলব্রেক্ট জানান, এই দাম অবিশ্বাস্য। সাধারণত পুরুষ কবুতরের থেকে নারী কবুতরের দাম অনেক কম হয়।

নিউ কিমের বয়স দুই বছর। ২০১৮ সালে রেস প্রতিযোগিতা অংশ নেয়। বেলজিয়ামের সেরা ‘তরুণ পাখি’র খেতাব অর্জন করে।

সূত্র:স্কাই নিউজ

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ১৪, ২০২২ ১২:৪০ অপরাহ্ন
কোরবানির ঈদ সামনে রেখে গরু মোটাতাজায় ব্যস্ত খামারীরা
প্রাণিসম্পদ

সামনে ঈদুল আজহা। তাই প্রতি বছরের মতো এবারও নরসিংদীর খামারিরা কোরবানি উপলক্ষ্যে সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজা করছেন। অবৈধ পথে ভারত থেকে গরু আমদানি না হলে, লাভবান হওয়ার আশা খামারিদের। এদিকে পশু মোটাতাজাকরণে ক্ষতিকর ওষুধ ব্যবহার বন্ধে খামারগুলোতে নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে বলে জানান জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা।

কোরবানি ঈদ সামনে তাই গরুর যত্নে ব্যস্ত নরসিংদীর খামারিরা। এসব গরু এক বছর আগে দেশের বিভিন্ন হাট থেকে কিনে লালনপালন শুরু করেন তারা। দেশীয় পদ্ধতিতে মোটাতাজাকরণ করায় এ অঞ্চলের গরুর চাহিদা বেশি।

খামারিরা জানান, এ বছর পশুখাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় গরু পালনে খরচ বেড়েছে কয়েক গুণ। ঈদের আগে দেশের বাজারে ভারতীয় গরু প্রবেশে কঠোর নজরদারির দাবি তাদের।

এদিকে পশু মোটাতাজাকরণে ক্ষতিকর ওষুধ ব্যবহার বন্ধে মাঠ পর্যায়ে তদারকির কথা জানালেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. হাবিবুর রহমান খান।

জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর আট হাজার খামারি দেশীয় পদ্ধতিতে প্রায় ৬৫ হাজার পশু মোটাতাজা করছেন। এতে ১৯০ কোটি টাকা ব্যবসার আশা তাদের।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ১২, ২০২২ ৩:০০ অপরাহ্ন
কোরবানির আগেই গরুর হাটে অস্বস্তি
প্রাণিসম্পদ

খামারিরা বলেন, গরুর খাবারের দাম বেশি। তাও লাভ তুলতে বেড়েছে গরুর দাম। আগে এক বস্তা ভুসির দাম ছিল ১ হাজার টাকা। এখন দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা।
তবে প্রান্তিক খামারিরা বলছেন, হাটে প্রত্যাশিত দাম পাচ্ছেন না। তারা বলেন, ‘আমরা যারা ছোট খামারি তারা ন্যায্যমূল্যে গরু বিক্রি করতে পারছি না। গরুর যা দাম বলছে, তাতে লাভ হবে বলে মনে হচ্ছে না।’
ভারতীয় গরু আমদানি বন্ধ হওয়ায় গবাদিপশুতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা এসেছে। প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের দাবি, অবৈধ গরু আসা ঠেকানো গেলে লাভবান হবেন প্রান্তিক চাষিরা।
 
এ বছর কোরবানির লক্ষ্যে জেলার প্রায় ৪৬ হাজার খামারি আড়াই লাখের বেশি গরু-মহিষ লালন-পালন করেছেন। 
শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ১১, ২০২২ ৫:০৪ অপরাহ্ন
পদ্মা সেতুর মাধ্যমে অর্থনীতির নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়েছে: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

পদ্মা সেতু নির্মাণের মাধ্যমে অর্থনীতির নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

শনিবার (১১ জুন) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে পদ্মা সেতু: দক্ষিণাঞ্চলের স্বপ্ন বুনন শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। বরিশাল ডিভিশনাল জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, ঢাকা এ সেমিনার আয়োজন করে।

এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণের মাধ্যমে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের সুখের দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। এ সেতুর মাধ্যমে আমাদের অর্থনীতির চাকা সচল হবে। দক্ষিণাঞ্চলে শিল্প গড়ে উঠেবে, শিল্পের সাথে সাথে টাউনশিপ গড়ে উঠেবে। পদ্মা সেতু শুধু সেতু নয়, এটি আমাদের বঞ্চনার পরিসমাপ্তির উপাখ্যান। পদ্মা সেতুর সঙ্গে রেল সংযোগ স্থাপন এ অঞ্চলে রেল যোগাযোগ না থাকার বিদ্রূপের পরিসমাপ্তি।

তিনি আরও বলেন, পদ্মা সেতুর সফল বাস্তবায়নের কারণে আমাদের জিডিপিতে ১ দশমিক ২৩ শতাংশ উত্তরণ ঘটবে। আঞ্চলিক জিডিপির ২ দশমিক ৩ শতাংশ উন্নয়ন ঘটবে। পদ্মার অপর পাড়ে কৃষিজ সামগ্রী তথা পেয়ারা, আমড়া, মাল্টা, শাকসবজি, মাছ এগুলোর প্রক্রিয়াকরণ শিল্প এতদিন গড়ে উঠেনি। যাতায়াত ব্যবস্থার সংকটের কারণে দক্ষিণাঞ্চলে কেউ শিল্প স্থাপনে যেতে চাইত না। অনেক সম্ভাবনা থাকার পরও দক্ষিণাঞ্চলে এতদিন কিছুই গড়ে উঠেনি। এখন পদ্মা সেতুর কারণে দেশের দক্ষিণাঞ্চল ট্রান্স এশিয়ান হাইওয়ে এবং ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের সাথে যুক্ত হবে। এর ফলে ভারত, ভুটান ও নেপালের সঙ্গে আমাদের সরাসরি যোগাযোগ হবে। এসব দেশে রপ্তানির সুযোগ তৈরি হবে। ফরিদপুর, শরীয়তপুর, মাদারীপুর ও বৃহত্তর বরিশালের অনেক শিল্প স্থাপনের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

তিনি আরও যোগ করেন, পদ্মায় একটি ব্রীজের প্রয়োজনীয়তা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর জাপান সফরকালে তাদের বলেছিলেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকাণ্ডের কারণে এটি আর আলোর মুখ দেখেনি। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন, তারপর নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এর পূর্বে ও পরে অনেক প্রক্রিয়া রয়েছে। কিন্তু পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ বাস্তবায়নের জন্য বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নেয়ার সময় প্রচন্ড ঝড় এসেছে। বিশ্ব ব্যাংক টাকা বরাদ্দ না হওয়া সত্বেও বলেছে এখানে দুর্নীতি হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়া ওয়াশিংটন টাইমসে আর্টিকেলে দুর্নীতির অভিযোগ সাপোর্ট করে বলেছেন এটা না করাই উত্তম। কানাডার কোর্ট মামলার জাজমেন্ট দিয়ে বলল মুখরোচক কথা শোনা ছাড়া অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই এবং যে অভিযোগের ভিত্তিতে মামলাটি, তা গালগল্প মনে হচ্ছে। অথচ এ গালগল্পের ভিত্তিতেই পদ্মা সেতু প্রকল্পে অর্থায়ন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন নিজের টাকায় আমরা পদ্মা সেতু করব। পদ্মা সেতু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়তা, আত্মবিশ্বাস এবং সততার বিজয় গাঁথা।

মন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে নোংরা রাজনীতি, খারাপ চর্চা এখনও চলছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পদ্মা সেতুকে অপ্রয়োজনীয় বলেছেন। তিনি বলেছেন এত টাকা ব্যয়ে এখানে সেতু করার দরকার ছিল না। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি ভিত্তিপ্রস্তর নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন। এটা অসুস্থ রাজনীতির পরিচয়। সরকারের কাজের গঠনমূলক সমালোচনা হতে পারে কিন্তু ভালোকে ভালোই বলবো না, এভাবে সবকিছুর বিরোধিতার প্রবণতা রাজনীতির জন্য সুখকর নয়।

পদ্মা সেতু নিয়ে সমালোচনার জবাবে এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন, পদ্মা সেতুর মত ভূপেন হাজারিকা সেতু দোতলা সেতু নয়। পদ্মা সেতু যতটা প্রশস্ত ভূপেন হাজারিকা সেতু ততটা প্রশস্ত নয়। বিশ্বের অন্যতম খরস্রোতা ও অস্থিতিশীল নদী পদ্মার বুকে সেতু নির্মাণের প্রকৌশলগত চ্যালেঞ্জ ভূপেন হাজারিকা সেতুর চেয়ে অনেক বেশি ছিল। পদ্মা সেতুর জমি অধিগ্রহণের জন্য ব্যয়িত তিনগুণ অর্থ ভূপেন হাজারিকা সেতুতে ব্যয় করতে হয় নি। বিশ্বের সর্বোচ্চ মানের যন্ত্রপাতি পদ্মা সেতুতে ব্যবহার করা হয়েছে। পদ্মা সেতু নিয়ে বিএনপির অবস্থা হয়েছে, যারে দেখতে নারি তার চলন বাঁকা। যারা উন্নয়ন পরিপন্থী, যারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায় তাদের পক্ষে না থেকে পদ্মা সেতুর মাধ্যমে দক্ষিণাঞ্চলের স্বপ্ন বুননের কারিগর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে থাকতে হব।

বরিশাল ডিভিশনাল জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তারিকুল ইসলাম মাসুমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুব সৈকতের সঞ্চালনায় সেমিনারে সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এমপি, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সৈয়দা রুবিনা আক্তার এমপি, এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান এস এম পারভেজ তমাল, বরগুনা পৌরসভার মেয়র কামরুল আহসান মহারাজ ও এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক নিজাম উদ্দিন। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু, সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিব, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি মানিক লাল ঘোষসহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সেমিনারে বক্তব্য প্রদান করেন।

সেমিনারে ‘পদ্মা সেতু: যা সেতুর চেয়েও বড়’ শিরোনামে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক তৌহিদুল হক।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ১০, ২০২২ ৪:৩৬ অপরাহ্ন
গরু মোটাতাজা করতে খামারিদের করণীয়
কৃষি বিভাগ

গরু পালন লাভজনক হওয়াতে এখন আমাদের দেশের অনেকেই গরুর খামার করার প্রতি ঝুঁকছেন। তবে, এই গরু যদি হয় আরেকটু মোটাতাজা তাহলে আর কথা ই নাই। আর এর জন্য দরকার গরুর সুষম খাদ্য। আর সুষম খাদ্য প্রয়োগে আপনি আরো লাভবান হতে পারেন গরু পালনে।

খামারে গরু মোটাতাজাকরণে যেসকল আমিষ খাবার আপনার গরুকে খাওয়াবেন:

শুকনা খড়: ২ বছর বয়সের গরুর জন্য দৈহিক ওজনের শতকরা ৩ ভাগ এবং এর অধিক বয়সের গরুর জন্য শতকরা ২ ভাগ শুকনা খড় ২ থেকে ৩ ইঞ্চি করে কেটে এক রাত লালীগুড়-চিটাগুড় মিশ্রিত পানিতে ভিজিয়ে সরবরাহ করতে হবে।

কাঁচা ঘাস: গরুকে প্রতিদিন ৬ থেকে ৮ কেজি কাঁচা ঘাস বা শস্য জাতীয় তাজা উদ্ভিদের উপজাত দ্রব্য যেমন- নেপিয়ার, পারা, জার্মান, দেশজ মাটি কলাই, খেসারি, দুর্বা ইত্যাদি খাওয়াতে হবে।

দানাদার খাদ্য: গরুকে প্রত্যেক দিন কমপক্ষে ১ থেকে ২ কেজি দানাদার খাদ্য সরবরাহ করতে হবে। নিচে ১০০ কেজি দানাদার খাদ্যের তালিকা দেয়া হলো- গম ভাঙা-গমের ভুসি ৪০ কেজি চালের কুঁড়া ২৩.৫ কেজি খেসারি বা যে কোনো ডালের ভুসি ১৫ কেজি তিলের খৈল-সরিষার খৈল ২০ কেজি লবণ ১.৫ কেজি। উল্লিখিত তালিকা ছাড়াও বাজারে প্রাপ্ত ভিটামিন মিনারেল মিশ্রণ ১% হারে খাওয়াতে হবে।

১৫০ কেজি ওজনের গবাদিপশুর খাদ্য তালিকা: খড় = ৩ কেজি কাঁচা ঘাস = ৫-৬ কেজি দানাদার খাদ্যের মিশ্রন = ১.৫-২ কেজি চিটাগুড় = ৫০০ গ্রাম ইউরিয়া = ৪৫ গ্রাম (নিয়মানুয়ায়ী) লবন = ৩৫ গ্রাম।

১০০ কেজি দৈহিক ওজনের গবাদিপশুর খাদ্য তালিকা: ধানের খড় = ২ কেজি সবুজ ঘাস = ২ কেজি (ঘাস না থাকলে খড় ব্যবহার করতে হবে দানদার খাদ্যে মিশ্রন = ১.২-২.৫ কেজি ইউরিয়া = ৩৫ গ্রাম (নিয়মানুযায়ী) চিটাগুড়া = ২০০-৪০০ গ্রাম লবণ = ২৫ গ্রাম দানাদার খাদ্যের সাথে লবন, ইউরিয়া, চিটাগুড় এক সাথে মিশিয়ে দিনে ২ বার দিতে হবে। ধানের খড় এবং কাঁচা ঘাস ছোট ছোট করে কেটে এক সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ালে ভালো ফল পাওয়া যায়।

কৃমিমুক্তকরণ ও টিকা প্রদান: গরুকে ডাক্তারের নির্দেশনা মত কৃমির ওষুধ খাওয়াতে হবে। নতুন গরু সংগ্রহের পর পরই পালের সব গরুকে একসঙ্গে কৃমিমুক্ত করা উচিত। এক্ষেত্রে প্রতি ৭৫ কেজি দৈহিক ওজনের জন্য ১ টি করে এনডেক্স বা এন্টিওয়ার্ম ট্যাবলেট ব্যবহার করা যেতে পারে।

পূর্ব থেকে টিকা না দেয়া থাকলে খামারে আনার পর পরই সব গরুকে তড়কা, বাদলা ও ক্ষুরা রোগের টিকা দিতে হবে। এ ব্যাপারে নিকটস্থ পশু হাসপাতালে যোগাযোগ করতে হবে।

ঘর তৈরি ও আবাসন ব্যবস্থাপনা: আমদের দেশের অধিকাংশ খামারী ২/৩ টি পশু মোটাতাজা করে থাকে, যার জন্য সাধারণত আধুনিক শেড করার প্রয়োজন পড়ে না। তবে যে ধরনের ঘরেই গরু রাখা হোক, ঘরের মধ্যে পর্যন্ত আলো ও বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা থাকতে হবে। ঘরের মল- মূত্র ও অন্যান্য আবর্জনা যাতে সহজেই পরিষ্কার করা যায়, সে দিকে খেয়াল রেখে ঘরে তৈরি করতে হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ১০, ২০২২ ৩:১৩ অপরাহ্ন
গরু ও ভেড়া ঢেকুর মালিককে দিতে হবে কর
পাঁচমিশালি

গরু ও ভেড়া ঢেকুর তুললে মালিককে এর জন্য দিতে হবে কর। এমন এক নিয়ম চালুর পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে নিউজিল্যান্ড। জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য ক্ষতিকর গ্রিনহাউজ গ্যাস মিথেন নিঃসরণ কমাতে এ পরিকল্পনা নিয়েছে দেশটি। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নিউজিল্যান্ডই প্রথম দেশ যারা কৃষকদের পালন করা প্রাণী থেকে মিথেন নিঃসরণের জন্য কর আরোপের এমন পদক্ষেপ নিচ্ছে। ৫০ লাখ মানুষের দেশ নিউজিল্যান্ডে গরু-ছাগলের সংখ্যা ১ কোটি এবং ভেড়ার সংখ্যা ২ কোটি ৬০ লাখ। দেশটির মোট গ্রিনহাউজ গ্যাস বিশেষত, মিথেনের প্রায় অর্ধেকই নিঃসরণ হয় কৃষিক্ষেত্র ও গবাদি পশু থেকে।

মিথেন গ্যাস তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিতে এবং জলবায়ু-সংকট ত্বরান্বিত করতে খুবই মারাত্মক। কার্বন ডাই অক্সাইডের তুলনায় মিথেনের উষ্ণায়ন ক্ষমতা ৮০ গুণেরও বেশি। তাই চটজলদি বিশ্ব উষ্ণায়ন প্রক্রিয়াকে ধীরগতির করতে মিথেন নিঃসরণ কমানো খুবই জরুরি বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

বিবিসি জানায়, নিউজিল্যান্ডে মোট মিথেন গ্যাসের ৮৫ শতাংশের বেশি নিঃসরণ হয় দুটি কৃষি উৎস গবাদিপশুর ঢেকুর এবং গোবর থেকে। সাধারণত গরুর ঢেকুর থেকে ৯০-৯৫ শতাংশ মিথেন নিঃসরণ হয়। আর ৫ থেকে ১০ শতাংশ মিথেন নিঃসরণ হয় গরুর গোবর এবং পেট ফাঁপা থেকে।

নিউজিল্যান্ডের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী জেমস শ বলেছেন, আমাদের বায়ুমণ্ডলে যে পরিমাণ মিথেন ফেলছি তা কমাতে হবে। এর জন্য কৃষি খাতে গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণের ওপর করারোপের কোনও বিকল্প নেই।

কর পরিকল্পনার আওতায় ২০২৫ সাল থেকে কৃষকদেরকে গ্যাস নিঃসরণের জন্য মূল্য দিতে হবে।

তবে, যে কৃষকরা খাদ্য সংযোজনীর মাধ্যমে গবাদিপশুর জন্য গুনগত মানসম্পন্ন খাবার এবং ফার্মহাউজে গাছ রোপনের মতো পদক্ষেপ নিয়ে গ্যাস নিঃসরণ কমাতে পারবে তাদেরকে প্রণোদনা দেওয়ারও পরিকল্পনা করেছে নিউজিল্যান্ড সরকার।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ৯, ২০২২ ১২:১৯ অপরাহ্ন
প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা (এলডিডিপি) কল্যাণ পরিষদের বহুল প্রত্যাশিত কমিটি গঠন
প্রাণিসম্পদ

নিরাপদ প্রাণিজ আমিষ নিশ্চিত করণ সহ দুধ, ডিম ও মাংসে স্বয়ংসম্পূর্ন করতে কৃষিক্ষাতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের একান্ত প্রচেষ্টায় বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে মেগা প্রজেক্ট লাইভস্টক এন্ড ডেইরি ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট।‌৪৬৫ উপজেলায় প্রাণিসম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে “প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প” (এলডিডিপি) কাজ করছে। প্রকল্পের ফিল্ড লেভেলের কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা পর্যায়ে লাইভস্টক এক্সটেনশন অফিসার (এলইও) গণ কাজ করছে । প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তাদের নিয়ে “প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা (এলডিডিপি) কল্যাণ পরিষদ” নামে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।ভোটের মাধ্যমে কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ডা. মো: আছাবুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ডা. এ.এম.এম. গোলাম মর্তুজা।

 

নবগঠিত কমিটির সভাপতি ডা. মোঃ আছাবুর রহমান বলেন, “বঙ্গবন্ধুর অবদান কৃষিবিদ ক্লাস ওয়ান মর্যাদাকে সমুন্নত রেখে প্রাণিসম্পদ এর সার্বিক উন্নয়নে কাজ করে যাবো”। এছাড়া নবগঠিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডা. এ. এম.এম. গোলাম মর্তুজা বলেন, “সুস্থ সবল মেধাবী জাতি গঠনে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। নিরাপদ প্রাণিজ আমিষের ঘাটতি পূরণ ও প্রাণিসম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে “প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প” (এলডিডিপি) কাজ করছে। আমাদের এই কমিটি এলডিডিপি প্রকল্পের সাফল্য অর্জনের পাশাপাশি লাইভস্টক এক্সটেনশন অফিসার(এলইও) দের সার্বিক কল্যাণে কাজ করবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে লালন করে প্রাণিসম্পদ তথা দেশের উন্নয়নে অবদানের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে ভূমিকা রাখতে চাই।”

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ৮, ২০২২ ৫:৫০ অপরাহ্ন
দেশি জাতের গরু চিনবেন যেভাবে
ডেইরী

দেশে দিন দিন দেশি জাতের গরুর জনপ্রিয়তা বাড়ছে। ফলে দেশি জাত কিভাবে চেনা যায়, সে প্রশ্ন অনেকের।

সাধারণত দেশি জাতের গরুর শরীরে বিদেশি জাত বা শংকর জাতের চেয়ে চর্বি কম থাকে। দেশি গরু আকারও কিছুটা ছোট হয়। মাংসে স্বাদ বেশি হয়, কিন্তু দুধের পরিমাণ বিদেশি গরুর তুলনায় কম হয়।

শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যানিম্যাল নিউট্রিশন, জেনেটিক্স ও ব্রিডিং বিভাগের অধ্যাপক লামইয়া আসাদ গণমাধ্যমকে বলেছেন, দেশি গরু চেনার উপায় হচ্ছে দেশি জাতের গরুর চামড়া শক্ত থাকে। এছাড়া এর কুঁজ থাকে এবং গলার নিচে চামড়ার ভাঁজ কম থাকে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কৃত্রিম প্রজনন বিভাগের পরিচালক ডা. ভবতোষ কান্তি সরকার গণমাধ্যমকে বলেছেন, দেশি জাতের যেসব গরু বাজারে জনপ্রিয়, তার মধ্যে মুন্সিগঞ্জের মীরকাদিম, চট্টগ্রাম ও এর আশেপাশের এলাকার আরসিসি, পাবনা ক্যাটল, সিরাজগঞ্জের ব্রিড নামে পরিচিত গরুগুলো উল্লেখযোগ্য।

পাবনা ক্যাটল

এটি পাবনা ব্রিড নামেও পরিচিত। এই জাতের গরুর বড় অংশটির রং সাদা বা সাদা মেশানো ছাই রং। এছাড়া লাল, ধূসর বা মিশ্র বর্ণেরও হয় এসব গরু। দেশীয় আবহাওয়া সহনশীল এসব গরু পালনে খাবার কম লাগে।

দেশের জাতীয় তথ্য বাতায়নে পাবনা ক্যাটল সম্পর্কে বলা হয়েছে, পাবনার চলনবিল সংলগ্ন এলাকায় এই গরুর বাস। এটি খর্বকায় মানে বেশি বড় আকৃতির নয়। এদের স্বাস্থ্য সুঠাম, রোগব্যাধি কম হয়। এটি ঘাস খায়, এর বাইরে অন্য ধরনের খাবার কমই দিতে হয়। দেশে দুধের উৎপাদন বাড়াতে ফ্রিজিয়ান গরুর সাথে এর কৃত্রিম প্রজনন করা হচ্ছে গত কয়েক বছর ধরে।

সিরাজগঞ্জ ব্রিড

এই জাতের গরু মূলত পদ্মাপারের কয়েকটি জেলায় হয়ে থাকে। এই জাতের গরুর সঙ্গে পাবনা ক্যাটলের সাদৃশ্য রয়েছে। তবে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলেছেন, এটি পাবনা ক্যাটলের চেয়ে আকারে কিছুটা বড় হয়। এর কুঁজ উঁচু ও বলিষ্ঠ হয়।

এসব জাত ছাড়াও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মাংসের চাহিদা মাথায় রেখে শাহীওয়াল এবং ব্রাহমা জাতের গরুর সাথে সংকরায়ন করে আরো কিছু জাতের প্রজনন ঘটানো হয়েছে, যেগুলো কোরবানির পশুর হাটে ক্রেতাদের মন জয় করেছে।

মীরকাদিমের ধবল গাই

এটি আকারে সাধারণ গরুর চেয়ে বড়। এটি সাধারণত সাদা রংয়ের হয়। কখনো এর সঙ্গে তার গায়ে অল্প ছাই রং বা কালোর ছোপ থাকতে পারে। মীরকাদিমের গরুর মাংসে আঁশ কম থাকে, এর হাড় চিকন হয়। ফলে মাংস হয় নরম ও তেলতেলে।

এটি পালন সহজ, মানে খাবারের খরচ কম। খৈল, গম, মসুর ডালের ভুসি এবং ভুট্টা গুঁড়ার মত খাবার দিয়ে পালন করা যায়।

আরসিসি বা রেড চিটাগাং ক্যাটল

এই গরুর গায়ের রং লাল। এর ক্ষুরা মানে পায়ের রংও লাল। এটি আকারে বেশি বড় হয় না। এর কুঁজ ছোট আকারের হবে। এই গরু পালনে খাবার কম লাগে। দেশি আবহাওয়া সহনশীল বলে খামারিদের কাছে বেশ জনপ্রিয় এই গরু। মূলত এই জাত চট্টগ্রাম এবং এর আশেপাশের জেলায় বেশি উৎপাদন হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ৭, ২০২২ ১১:০৮ পূর্বাহ্ন
গোখাদ্যেরে দাম বৃদ্ধি, সিলেটের ছোট ও মাঝারি খামার বন্ধের পথে!
পাঁচমিশালি

গত এক বছরের মধ্যে দ্রুততম সময়ে অস্বাভাবিক হারে গোখাদ্যের দাম বেড়েছে। গত বছর ৩৫ কেজি ওজনের প্রতি বস্তা গমের ভুসি বিক্রি হতো ১ হাজার ৪৩০ টাকায়। বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০ টাকায়। এক বছরের ব্যবধানে দাম বেড়েছে বস্তাপ্রতি প্রায় ৬২০ টাকা। গেল বছর ৫০ কেজি ওজনের প্রতি বস্তা লবণ বিক্রি হতো ৬০০ টাকায়। এবার বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫০ টাকায়। এক বছরে প্রতি বস্তায় দাম বেড়েছে ৪৫০ টাকা। সিলেটের গোখাদ্য বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানগুলোয় দেখা মিলে এমন চিত্রের। যার ফলে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে সিলেটের ছোট ও মাঝারি খামারগুলো।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গেল বছর ৭৭৫ টাকায় এক বস্তা ফিড পাওয়া গেলেও বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০ টাকায়। এক বছরের ব্যবধানে প্রতি বস্তা ফিডের দাম বেড়েছে ২৪৫ টাকা। গেল বছর প্রতি বস্তা ভুট্টা বিক্রি হতো ১ হাজার ৩০০ টাকায়। বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৯০০ টাকায়। দাম বেড়েছে বস্তাপ্রতি ৬০০ টাকা। ৫০ কেজি ওজনের ১ হাজার ৭০০ টাকা দরের মিক্সার বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার টাকায়। দাম বেড়েছে ৩০০ টাকা। ৪০ কেজি ওজনের রাইস পলিশ বা আটা কুঁড়া ৪০০ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০০ টাকায়। এক বছরে দাম বেড়েছে ৩০০ টাকা। গোখাদ্যের এমন অস্বাভাবিক মূলবৃদ্ধির ফলে খামারিরা নিরুৎসাহিত হয়ে পড়ছেন।

সিলেটে সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী নিজেও একজন খামারি। শহরতলির ভাটা এলাকায় তিনি গড়ে তুলেছেন বিশাল একটি খামার। তাতে রয়েছে কয়েক শ’ গরু। দুগ্ধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে তার খামারের রয়েছে ব্যাপক সুনাম। গোখাদ্যের বর্তমান মূল্যবৃদ্ধির ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শুক্রবার রাতে সিটি মেয়রের বাসভবনে সভা করেন সিলেটের খামারিরা। সভা থেকে সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে খামারিরা পাইকারি দুধের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। পাইকারি দামে প্রতি লিটার দুধ ৭০ টাকা ও খুচরা ৯০ টাকা করে নির্ধারণ করা হয়েছে।

সিলেট জেলায় ছোট-বড় প্রায় এক হাজার খামার রয়েছে। এ অঞ্চলে কাঁচা ঘাসের উৎপাদন কম। যে কারণে বাজার থেকে কেনা দানাদার জাতীয় গোখাদ্য ছাড়া বিকল্প খাবার তেমন থাকে না। এজন্য বাজার থেকে দানাদার খাবারের বিকল্প বের করার তাগাদা দিচ্ছেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা।

এ বিষয়ে সিলেট জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. রুস্তুম আলী জানান, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ আন্তর্জাতিক কারণে দানাদার খাদ্যের দাম বাড়ছে। এ অবস্থায় পতিত জমিতে ঘাস চাষের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে উদ্যোগী হতে হবে। পাশাপাশি বর্ষায় পানি শুকানোর পর এ অঞ্চলের জমিতে মাষকলাইর চাষ করা যেতে পারে। দানাদার খাদ্যের ওপর নির্ভরশীলতা না কমালে খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ৭, ২০২২ ১০:৫৬ পূর্বাহ্ন
সাপের খামার যেন এখন এক দুঃস্বপ্ন তার
পাঁচমিশালি

পরিকল্পনা ছিলো সরকারি অনুমোদন পেলে সাপের বিষ সংগ্রহ করে তা বিক্রি করে দেশসেরা উদ্যোক্তা হবেন। কিন্তু রাজ্জাকের সেই স্বপ্ন এখন দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। ২০০০ সালে নিজ বসত বাড়ির পাশে তৈরি করেন বিষধর সাপের খামার পটুয়াখালী সদর উপজেলার মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের নন্দিপাড়া এলাকার বাসিন্দা রাজ্জাক বিশ্বাস।

সম্প্রতি সাপের কামড়ে তার খামারের এক কর্মচারীর মৃত্যুর পর খামারটি বন্ধ করতে উদ্যোগ নেয় বন বিভাগ। তবে রাজ্জাকের দাবি, সরকারি সব নিয়ম মেনেই খামার পরিচালনা এবং খামারের অনুমোদনের জন্য তিনি অবেদন করেছেন। যে প্রক্রিয়া এখনও চলমান। সেক্ষেত্রে খামারটি বন্ধ করলে তার প্রতি অন্যায় করা হবে। এদিকে সম্ভাবনাময় এই শিল্পটি অংকুরেই বিনষ্ট না করে এটি কীভাবে অনুমোদন এবং নিয়মের মধ্যে নিয়ে আশা যায় সে বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণের দাবি স্থানীয়দের।

রাজ্জাক বিশ্বাস জানান, ২০০০ সালে একটি কিং কোবরা সাপ এবং ২৪টি ডিম দিয়ে তার এই খামারের যাত্রা শুরু। ২০০৮ সালে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর বেসরকারি পর্যায়ে সাপ এবং কুমিরের খামার স্থাপনের জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করলে এর আলোকে আবেদন করেন তিনি। তবে সেই আবেদনের আর কোনো অগ্রগতি হয়নি।

কোনো পথ না পেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আবেদন করেন রাজ্জাক বিশ্বাস। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৪ সালের ২৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক ড. মো. সহিদুল্যাহ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর একটি চিঠি দেন। যাতে রাজ্জাক বিশ্বাসের মালিকানাধীন ‘বাংলাদেশ স্নেইক ভেনম’ একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ বলে বিধি মোতাবেক খামার অনুমোদনের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়।

প্রথমদিকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় খামারের অনুমোদনের প্রক্রিয়া শুরু করলেও বন বিভাগ এক্ষেত্রে আপত্তি জানায়। এরপর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বিষয়টি অবহিত করা হয়। তখন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আইনগত মতামত দেওয়ার জন্য বন বিভাগের কাছে চিঠি দেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে সাপের খামারের অনুমোদন দেওয়ার প্রক্রিয়া বন্ধ রেখে বন বিভাগ একটি খসড়া আইন তৈরি করে।

রাজ্জাক বিশ্বাস জানান, ২০১৭ সালের ৩১ অক্টোবর পটুয়াখালী সোনালী ব্যাংকের নিউ টাউন শাখায় সরকারি চালানের মাধ্যমে খামার নিবন্ধনের জন্য ২৫ হাজার টাকা জমা দেন। সর্বশেষ ২০১৯ সালে তৎকালীন জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম চৌধুরী সাপের খামার সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠান। এর পেরিপ্রেক্ষিতে পটুয়াখালী জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সাপের খামার পরিদর্শন করেন। তবে নীতিমালায় সাপের খামারে এন্টি ভেনাম সংরক্ষণ করা এবং সাপের বিষ সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকার কথা বলা হয়। কিন্তু লাইসেন্স না থাকায় রাজ্জাক বিশ্বাস এন্টি ভেনম সংগ্রহ করতে পারেননি। ফলে অনুমোদন প্রক্রিয়া আবারও আটকে যায়।

সর্বশেষ চলতি বছরের ১১ এপ্রিল বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিচালক রাজ্জাক বিশ্বাসের সাপের খামার বন্ধ করে সাপ বনে ছেড়ে দেওয়ার জন্য একটি নোটিশ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্জাক বিশ্বাস প্রধান বন সংরক্ষক বরাবর গত ১৭ এপ্রিল একটি আবেদন করে খামার বন্ধ করা ও সাপ ছেড়ে দেওয়ার নোটিশটি প্রত্যাহারের আবেদন করেন।

এ বিষয়ে উপকূলীয় বন বিভাগ পটুয়াখালীর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. অব্দুল্লাহ আল মামুন বলে জানান, রাজ্জাক বিশ্বাস সাপের খামার তৈরি করে ঝাড় ফুকের মাধ্যমে ওঝা বৃত্তি করছেন, পাশাপাশি তিনি ইউটিউবে এসব আপলোড করছেন।

এছাড়া তিনি সমাজে এসব কুসংস্কার ছড়িয়ে দিচ্ছেন। যেহেতু তিনি নিয়ম মেনে সাপের খামার করছেন না, সে কারণে খামারটি বন্ধ করে সাপগুলো অবমুক্ত করার জন্য আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। ইতোমধ্যে টেকনিকেল সাপোর্টের জন্য অধিদপ্তরকে জানানো হয়েছে।

পটুয়াখালী জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি খামারটি পরিদর্শন করেছি। নিয়ম অনুযায়ী তার খামারে যে এন্টি ভেনমসহ বিষ সংগ্রহ এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধা থাকার কথা তা নেই। সে কারণে অনুমোদন দেওয়া সম্ভব হয়নি।

রাজ্জাক বিশ্বাস বলেন, বাংলাদেশে আমি প্রথম সাপের খামার শুরু করলেও একে একে সারাদেশে ৫৮টি খামার গড়ে ওঠে। কিন্তু অনুমোদন জটিলতায় বর্তমানে চারটি খামার চালু আছে। আমার সাপের খামার নিয়ে দেশি-বিদেশি সংবাদ মাধ্যমে অনেক রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop