১১:৩৯ পূর্বাহ্ন

বুধবার, ২০ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : মার্চ ১৯, ২০২২ ১১:৫১ পূর্বাহ্ন
অধিক ডিম ও মাংস উৎপাদনে দেশী মুরগি পালন করবেন যেভাবে
পোলট্রি

বাংলাদেশের গ্রাম এলাকায় প্রায় প্রতিটি পরিবার দেশী মুরগি পালন করে থাকে। এদের উৎপাদন ক্ষমতা বিদেশী মুরগির চেয়ে কম। উৎপাদন ব্যয়ও অতি নগণ্য। এটি অধিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন। এদের মাংস ও ডিমের মূল্য বিদেশী মুরগীর তুলনায় দ্বিগুণ, এর চাহিদাও খুবই বেশী। দেশী মুরগির মৃত্যুহার বাচ্চা বয়সে অধিক এবং অপুষ্টিজনিত কারনে উৎপাদন আশানুরূপ নয়। বাচ্চা বয়সে দেশী মোরগ-মুরগির মৃত্যুহার কমিয়ে এনে সম্পূরক খাদ্যের ব্যবস্থা করলে দেশী মুরগি থেকে অধিক ডিম ও মাংস উৎপাদন করা সম্ভব।

উল্লেখিত অবস্থার আলোকে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট দেশী মুরগি উৎপাদনে উন্নত কৌশল শীর্ষক প্রযুক্তিটি উদ্ভাবন করেছে। এ কৌশল ব্যবহার করে খামারিরা দেশী মুরগি থেকে অধিক ডিম ও মাংস উৎপাদন করে পারিবারিক পুষ্টি ও আয় বৃদ্ধি করতে সক্ষম হবে।

উদ্দেশ্য:
সম্পুরক খাদ্য, রানীক্ষেত ও বসন্তের প্রতিষেধক প্রদান করে এবং বন্য জন্তুর কবল থেকে মুক্ত রেখে দেশী মুরগি, বিশেষ করে ছোট বাচ্চার মৃত্যুর হার কমিয়ে আনা যায়।
দেশী মুরগির দৈহিক ওজন ও ডিম উৎপাদন বৃদ্ধি করা।

প্রযুক্তি ব্যবহারের পদ্ধতি:
প্রযুক্তিটি গ্রামীণ পর্যায়ে সকল গৃহস্থ পরিবারই ব্যবহার করতে পারবেন। খামারের আকার অনুযায়ী প্রত্যেক খামারীর জন্য মোরগ-মুরগির সংখ্যা

নিম্নে দেওয়া হলো-
খামারের আকার আবাদী জমির পরিমাণ (শতাংশ) মোরগ/মুরগি
ছোট ৫০ শতাংশ ১টি মোরগ ও ৩টি মুরগি
মাঝারী ও বড় ৫০ ও তার অধিক ১টি মোরগ ও ৬টি মুরগি

দেশীয় পদ্ধতিতে দেশি মোরগ পালন:
অনেকেই জানতে চেয়ে ছিলেন যে সল্প মূলধন দিয়ে কি ব্যবসা করা যায়। তাদের জন্য দেশি মোরগ হতে পারে একটি সময়পযোগি ব্যবসা। সল্প জায়গায় অল্প টাকা বিনিয়োগ করে সল্প সময়ে অধিক আয় করা যায়। বসত বাড়িতে মুরগি চাষ হচ্ছে একটি সহজ এবং লাভজনক কাজ। বাড়ির গৃহিণীরা খামার স্থাপন ও পরিচালনা করতে পারে। একটি মোরগ একটি মুরগির তুলনায় দ্রুত বাড়ে আর বাজারে দেশি মোরগের প্রচুর চাহিদা থাকায় মোরগ বিক্রি করতে তেমন বেগ পেতে হয়না এবং বাজারে ভাল দাম ও পাওয়া যায়।

দেশি মোরগ আবদ্ধ ও ছেড়ে পালন করা যায়। তবে ছেড়ে পালন করলে বেশি লাভবান হওয়া যায় কারন মোরগ নিজের খাদ্য নিজে কুড়িয়ে খায়।এরা মুক্ত আলো বাতাস বিশেষ করে প্রচুর সূর্য কিরণে বেড়ে উঠে যা তাদের শরীরে ভিটামিন ‘ডি’ তৈরি করতে সাহায্য করে। এদের খাবারের জন্য তেমন কোন খরচ করতে হয় না।

মোরগ নির্বাচনঃ- দেশি মোরগ বা মুরগির বাচ্চা উৎপাদনের জন্য তেমন কোন হ্যাচারি গড়ে ওঠেনি তাই নিজেকে ই দেখে শুনে সুস্থ সবল ও নিরোগ মোরগ সংগ্রহ করতে হবে। মূলত ৪০০-৬০০ গ্রামের মোরগ দিয়ে শুরু করলে ভাল ফলাফল আশা করা যায়। কারন ঐ সময়ের পর মোরগ গুলো দ্রুত বাড়ে এবং সঠিক ব্যবস্থাপনা ও পরিচর্যা পেলে ২ মাস পর মোরগ গুলোর গড় ওজন ২ কেজির উপর হবে। প্রতি কিলো দেশি মোরগের মূল্য কেমন আছে সেটা নাই বা বললাম। আপনারা নিজেরা লাভ-ক্ষতি বের করে নিন।

মুরগির ঘর তৈরির নিয়মঃ- মোরগের জন্য খোলামেলা ঘর হতে হবে। ১.৫ মিটার (৫ ফুট) লম্বা X১.২ মিটার (৪ ফুট) চওড়া এবং ১ মিটার (৩.৫ ফুট) উঁচু ঘর তৈরি করতে হবে। ঘরের বেড়া বাঁশের তরজা বা কাঠের তক্তা দিয়ে তৈরি করতে হবে। এছাড়া মাটির দেয়ালও তৈরি করা যাবে। বেড়া বা দেওয়ালে আলো বাতাস চলাচলের জন্য ছিদ্র থাকতে হবে। ঘরের চাল খড়, টিন বা বাঁশের তরজার সাথে পলিথিন ব্যবহার করে তৈরি করা যাবে। এরকম ঘরে ১০-১৫টি মোরগ পালন করা যায়।

খাবারঃ- বাড়ির প্রতিদিনের বাড়তি বা বাসী খাদ্য যেমন ফেলে দেওয়া এঁটোভাত, তরকারি,
ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা গম, ধান, পোকামাকড়, শাক সবজির ফেলে দেওয়া অংশ, ঘাস, লাতা পাতা, কাঁকর, পাথর কুচি ইত্যাদি মুরগি কুড়িয়ে খায়।

পরিচর্যাঃ- ছেড়ে পালন পদ্ধতিতে মুরগি পরিচর্যার জন্য সময় বা লোকজনের তেমন দরকার পড়ে না। তারপরও কিছু বিষয় লক্ষ্য রাখতে হয়। সকালে মুরগির ঘর খুলে কিছু খাবার দিতে হবে। সন্ধ্যায় মুরগি ঘরে ওঠার আগে আবার কিছু খাবার দিতে হবে। ঘরে উঠলে দরজা বন্ধ করে দিতে হবে।মুরগির পায়খানা ঘরের মেঝেতে যেন লেপ্টে না যায় সেজন্য ঘরের মেঝেতে ধানের তুষ, করাতের গুঁড়া ২.৫ সে.মি. (১ ইঞ্চি) পুরু করে বিছাতে হবে। পায়খানা জমতে জমতে শক্ত জমাট বেঁধে গেলে বারবার তা উলট-পালট করে দিতে হবে এবং কিছুদিন পর পর পরিষ্কার করতে হবে। এ পদ্ধতিতে দেশি মোরগ পালন করা গেলে প্রায় তেমন কোন খরচ ছাড়াই ভাল একটা মুনাফা পাওয়া যাবে।

দেশি মুরগি পালনে যত্ন নিতে হবে:
সাকুল্যে ৫-১০টি মুরগি। বাড়ির আশপাশে চরে বেড়িয়ে বাড়ির উচ্ছিষ্ট খাবার, পোকামাকড়, কেঁচো, কচি ঘাসপাতা খায় তারা। সে অর্থে প্রতিপালনের কোনও খরচ নেই বললে চলে। আপাতদৃষ্টিতে লাভজনক মনে হলেও আসলে অতটা লাভ হয় না। ছাড়া মুরগি অন্যত্র ডিম পেড়ে আসে, কখনও রোগে মারা যায়। তাই দেশি মুরগির পালন লাভজনক করতে হলে কিছু নিয়ন্ত্রণ থাকা দরকার, সে জাত নির্বাচনেই হোক বা রোগ পরিচর্যায়।

প্রথমে আসি মুরগির জাতে। ব্রয়লার খামারের হাইব্রিড মুরগি উঠোনে ছেড়ে পালন করা যায় না। তাই খাঁটি জাতগুলোকে বাছতে হবে। যেমন, রোড আইল্যান্ড রেড (আরআইআর) বা ব্ল্যাক অস্ট্রালর্প। রঘুনাথপুর, বালুরঘাটের রাজ্য মুরগি খামারে লাল বা আরআইআর এবং কালো বা ব্ল্যাক অস্ট্রালর্প মুরগির বাচ্চা পাওয়া যায়। ইদানীং কালে বনরাজা, গিরিরাজা, গ্রামরপ্রিয়া ইত্যাদি জাত কৃত্রিম ভাবে তৈরি করা হয়েছে।

মুরগি রাতে রাখার জন্য ঘর বানাতে হবে। মাটি থেকে সামান্য উপরে বাঁশ বা কাঠ দিয়ে কম খরচে খড় বা টালি ঢেকে তৈরি ঘরগুলো যেন শুকনো, পরিষ্কার হয়। আর আলো-বাতাস খেলে। প্রতিটি পাখির জন্য গড়ে তিন বর্গফুট জায়গা ধরতে হবে।

দেশি মুরগি চরে বেড়িয়ে তার খাবার সংগ্রহ করে নিলেও এ ধরনের উন্নত জাতের মুরগির পুরো উৎপাদন ক্ষমতা কাজে লাগাতে অল্প পরিমাণে সুষম খাবার দেওয়া প্রয়োজন। চালের গুঁড়ো (৩০০ গ্রাম), খুদ বা গম ভাঙা (২৮০ গ্রাম), সর্ষে/ তিল খোল ( ২০০ গ্রাম), মাছ বা সোয়াবিন গুঁড়ো (২০০ গ্রাম), ভিটামিন ও খনিজ লবণ মিশ্রণ যেমন সাপ্লিভিট এম (২০ গ্রাম) মিশিয়ে মুরগির সংখ্যা অনুযায়ী মাথা পিছু ৫০-৭০ গ্রাম হিসাবে অর্ধেক সকালে ও অর্ধেক বিকালে খেতে দিতে হবে। রাতে মুরগি রাখার যে ঘর আছে, সেখানে নির্দিষ্ট পাত্রে জল ও খাবার দিতে হবে। যাতে সকালে ঘর থেকে বেরনো বা পরে ঘরে ঢোকার সময় ওই খাবার ও জল খাওয়া অভ্যাস তৈরি হয়। এই অভ্যাস থাকলে ওষুধ গুলে খাওয়াতে সুবিধা হয়। মুরগির খাবার সবসময় শুকনো ও পরিষ্কার রাখতে হবে। বেশি দিন জমা রাখলে ছত্রাক সংক্রমণ ঘটে।

সংকরায়ণ পদ্ধতিতে দেশি মুরগির সঙ্গে উন্নত মোরগ রেখে প্রাকৃতিক প্রজনন ঘটিয়ে দেশি মুরগির জিনগত উৎকর্ষতা বাড়ানো যায়। প্রতি ১০টি দেশি মুরগি পিছু ১টি উন্নত জাতের মোরগ রাখতে হবে। যে সংকর মুরগি জন্মাবে, তা দেশি মুরগির চেয়ে দ্রুত (৪-৫ মাস বয়সে) এবং প্রায় দ্বিগুণ (বছরে ১২০-১৪০টি) ডিম দেবে।

রোগব্যাধি মুরগি পালনের অন্যতম সমস্যা। তাই নিয়মিত মুরগির ঘর চুন বা জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। প্রতি মাসে একবার করে কৃমিনাশক ওষুধ (পাইপেরাজিন তরল বয়স অনুযায়ী ০.৫-১ মিলি) জলে গুলে খাওয়াতে হবে। রানিক্ষেত বা বসন্তের মতো কয়েকটি সংক্রামক রোগ প্রতিরোধে নিয়মিত টিকাকরণ জরুরি। টিকা দেওয়ার দশ দিন আগে কৃমির ওষুধ খাওয়াতে হবে। টিকাকরণ বিশেষত রানিক্ষেত টিকা ৭-১০ দিন বয়সে নাকে বা চোখে এক ফোঁটা, ৩০ দিন বয়সে আর এক বার, ২ মাস বয়সে প্রথম কৃমির ওষুধ এবং আড়াই মাস বয়সে ডানার তলায় ০.৫ মিলি ইঞ্জেকশন অবশ্যই নিতে হবে। ঝিমুনি, সর্দি, শ্বাসকষ্ট, পাতলা বা রক্ত পায়খানা নজরে এলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যাকট্রিম ডিএস বা সেপম্যাক্স (১টি বড়ি ১০টি বড় বা ২০টি বাচ্চা মুরগির জন্য) খাবারে বা জলে গুলে ড্রপারে করে খাইয়ে দিতে হবে (৩/৫/৭ দিন)।

দেশী মুরগি বাণিজ্যিকভাবে পালন:
দেশী মুরগি বানিজ্যিকভাবে পালন কৌশল আয় বৃদ্ধি ও পারিবারিক পুষ্টির নিশ্চয়তা বিধানে দেশী মুরগী প্রতিপালন বিশেষ অবদান রাখতে পারে । আমরা সবাই বলে থাকি দেশী মুরগির উৎপাদন কম । কিন্তু বিভিন্ন পর্যায়ে বিশেষ লক্ষ্য এবং ব্যবস্থা গ্রহণ করে দেশী মুরগীর উৎপাদন দ্বিগুনের ও বেশী পাওয়া সম্ভব। দেশী মুরগি থেকে লাভ জনক উৎপাদন পওয়ায় বিভিন্ন কৌশল এখানে বর্ননা করা হয়েছে।

গবেষণায় দেখা গেছে দেশী মুরগির ডিম উৎপাদন বৃদ্ধি করে বাজারে বিক্রি করার চেয়ে ডিম ফুটিয়ে বাচ্চা তৈরী করে ৮-১২ সপ্তাহ বয়সে বিক্রি করলে লাভ বেশী হয়। এক সংঙ্গে ১০-১২ টি মুরগি নিয়ে পালন শূরু করতে হবে। তবে কখনও ১৫-১৬ টির বেশী নেওয়া ঠিক না । তাতে অনেক অসুবিধাই হয় । শুরুতে মুরগি গুলোকে কৃমি নাষক ঔষধ খাওয়ানোর পরে রানীক্ষেত রোগের টীকা দিতে হবে। মুরগির গায়ে উকুন থাকলে তাও মেরে নিতে হবে। প্রতিটি মুরগিকে দিনে ৫০-৬০ গ্রাম হারে সুষম খাদ্য দিতে হবে। আজকাল বাজারে লেয়ার মুরগির সুষম খাদ্য পাওয়া যায় । তা ছাড়া আধা আবদ্ধ এ পদ্ধতিতে পালন করলে লাভ বেশী হয়।

মুরগির সাথে অবশ্যই একটি বড় আকারের মোরগ থাকতে হবে। তা না হলে ডিম ফুটানো যাবে না । ডিম পাড়া শেষ হলে মুরগি উমে আসবে । তখন ডিম দিয়ে বাচ্চা ফুটানোর ব্যবস্থা নিতে হয়।এক সঙ্গে একটি মুরগির নীচে ১২-১৪ টি ডিম বসানো যাবে। খামারের আদলে বাঁশ, কাঠ খড়, বিচলী তাল নারকেল সুপারির পাতা দিয়ে যত কম খরচে স্থানান্তর যোগ্য ঘর তৈরী করা সম্ভব তা করা যায়। ঘর তৈরীর সময় লক্ষ্য রাখতে হবে যেন সঠিক মাপের হয় এবং পর্যাপ্ত আলো বাতাস চলাচল করতে পারে । বানানোর পর ঘরটিকে বাড়ীর সব চেয়ে নিরিবিলি স্থানে রাখতে হবে । মাটির উপর ইট দিয়ে তার উপর বসাতে হবে। তাহলে ঘর বেশী দিন টিকবে ।

ফুটানোর ডিম সংগ্রহ ও সংরক্ষনঃ- আরেকটি প্রয়োজনীয় ̧গুরুত্বপূর্ন কাজ। ডিম পাড়ার পর ডিম সসংগ্রহের সময় পেন্সিল দিয়ে ডিমের গায়ে তারিখ লিখে ঠান্ডা জায়গায় সংরক্ষন করতে হবে। ডিম পাড়া শেষ হলেই মুরগি কুঁচো হবে। গরম কালে ৫-৬ দিন বয়সের ডিম এবং শীত কালে ১০-১২ দিন বয়সের ডিম ফুটানোর জন্য নির্বাচন করতে হবে।

দেশী মুরগি পালন কৌশলের বিশেষ নজর দেয়ার ধাপ সমূহ:
উমে বসানো মুরগির পরিচর্যা করতে হবে। মুরগির সামনে পাত্রে সবসময় খাবার ও পানি দিয়ে রাখতে হবে যাতে সে ইচ্ছে করলেই খেতে পারে । তাহলে মুরগির ওজন হ্রাস পাবেনা এতে বাচ্চা তোলার পর আবার তাড়াতাড়ি ডিম পাড়া আরম্ভ করবে।

ডিম বসানোর ৭-৮ দিন পর আলোতে রাতের বেলা ডিম পরীক্ষা করলে বাচ্চা হয় নাই এমন ডিম ̧লো চেনা যাবে এবং বের করে অনতে হবে। বাচ্চা হওয়া ডিম ̧লো সুন্দর করে সাজিয়ে দিতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন মুরগি বিরক্ত না হয়।
প্রতিটি ডিমের গায়ে সমভাভে তাপ লাগার জন ̈ দিনে কমপেক্ষ ৫-৬ বার ওলট পালট করে দিতে হবে।
বাতাসের আর্দ্রতা কম হলে বিশেষ করে খুব গরম ও শীতের সময় ডিম উমে বসানোর ১৮- ২০দিন পর্যন্ত কুসুম গরম পানিতে হাতের আঙ্গুল ভিজিয়ে পানি স্প্রে করে দিতে হবে।
*ফোটার পর ৫-৬ ঘন্টা পর্যন্ত মাকে দিয়ে বাচ্চাকে উম দিতে হবে। তাতে বাচ্চা শুকিয়ে ঝরঝরে হবে।

বাচ্চা ফুটার পর বাচ্চার পরিচর্যা ও ডিম পাড়া মুরগির পরিচর্যা :- গরম কালে বাচ্চার বয়স ৩-৪ দিন এবং শীত কালে ১০-১২ দিন পর্যন্ত বাচ্চার সাথে মাকে থাকতে দিতে হবে। তখন মুরগি নিজেই বাচ্চাকে উম দিবে। এতে কৃত্রিম উমের (ব্রুডিং ) প্রয়োজন হবে না। এ সময় মা মুরগিকে খাবার দিতে হবে। মা মুরগির খাবারের সাথে বাচ্চার খাবার ও কিছূ আলাদা করে দিতে হবে।

বাচ্চা গুলো মায়ের সাথে খাবার খাওয়া শিখবে। উপরোক্ত বর্ণিত সময়ের পর মুরগিকে বাচ্চা থেকে আলাদা করতে হবে। এ অবস্থায় বাচ্চাকে কৃত্রিম ভাবে ব্রুডিং ও খাবার দিতে হবে। তখন থেকেই বাচ্চা পালনের মত বাচ্চা পালন পদ্ধতির সব কিছুই পালন করতে হবে। মা মুরগিকে আলাদা করে লেয়ার খাদ্য দিতে হবে। এ সময় মা মুরগিকে তাড়াতাড়ি সুস্থ হওয়ার জন্য পানিতে দ্রবনীয় ভিটামিন দিতে হবে।

মা মুরগি ও বাচ্চা এমনভাবে আলাদা করতে হবে যেন তারা দৃষ্টির বাহিরে থাকে। এমন কি বাচ্চার চিচি শব্দ যেন মা মুরগি শুনতে না পায় । তা না হলে মা ও বাচ্চার ডাকা ডাকিতে কেউ কোন খাবার বা পানি কিছুই খাবে না । আলাদা করার পর অবস্থার সাথে খাপ খাইয়ে গেলে আর কোন সমস্য থাকে না ।প্রতিটি মুরগিকে এ সময় ৮০-৯০ গ্রাম লেয়ার খাবার দিতে হবে। সাথে সাথে ৫-৭ ঘন্টা চড়ে বেড়াতে দিতে হবে। প্রতি ৩-৪ মাস পর পর কৃমির ঔষধ এবং ৪-৫ মাস পর পর আর. ডি. ভি . টীকা দিতে হবে।

দেশে একটি মুরগি ডিম পাড়ার জন্য ২০ -২৪দিন সময় নেয় । ডিম থেকে বাচ্চা ফুটানোর জন্য ২১ দিন সময় নেয় । বাচ্চা লালন পালন করে বড় করে তোলার জন্য ৯০-১১০ দিন সময় নেয় । ডিম থেকে এ ভাবে (৯০-১১০ দিন ) বাচ্চা বড় করা পর্যন্ত একটি দেশী মুরগির উৎপাদন চক্র শেষ করতে স্বাভাবিক অবস্থায় ১২০- ১৩০ দিন সময় লাগে।

কিন্তু মাকে বাচ্চা থেকে আলাদা করার ফলে এই উৎপাদন চক্র ৬০ -৬২ দিনের মধ্যে সমাপ্ত হয়। বাকি সময় মুরগিকে ডিম পাড়ার কাজে ব্যবহার করা যায় । এই পালন পদ্ধতিকে ক্রিপ ফিডিং বলে । * ক্রিপ ফিডিং পদ্ধতিতে বাচ্চা পালন করলে মুরগিকে বাচ্চা পালনে বেশী সময় ব্যায় করতে হয় না । ফলে ডিম পাড়ার জন্য মুরগি বেশী সময় দিতে পারে । এই পদ্ধতিতে বাচ্চা ফুটার সংখ্যা বেশী হয় । দেখা গেছে বাচ্চার মৃত্যুহারও অনেক কম থাকে। মোট কথা অনেক দিক দিয়েই লাভবান হওয়া যায় । এই পদ্ধতি বর্তমানে অনেকে ব্যবহার করে লাভবান হচ্ছেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ১৮, ২০২২ ৪:০৩ অপরাহ্ন
বঙ্গবন্ধু একটি অবিনাশী সত্তা- শ ম রেজাউল করিম
প্রাণিসম্পদ

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, “বঙ্গবন্ধু একটি অবিনাশী সত্তা। বঙ্গবন্ধু একটি বিশ্বাস, একটি আদর্শ, একটি দর্শন। বঙ্গবন্ধুর মতো কীর্তিমানের কখনো মৃত্য হয় না। তিনি মৃত্যঞ্জয়ী হয়ে বেঁচে থাকবেন। তিনি ছিলেন একজন দূরদর্শী নেতা। তিনি কখনোই পরাভব মানেন নি। মানুষ হিসেবে সীমিত পরিচয়ের গন্ডি পার হয়ে বঙ্গবন্ধু অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে গেছেন। তিনি ছিলেন অসাম্প্রদায়িক, শ্রেষ্ঠ দেশপ্রেমিক, আর একজন পরিপূর্ণ বাঙালি। সকলকে সঙ্গে নিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছানোর দৃপ্ত প্রত্যয় ও দৃঢ়চেতা মানসিকতায় ‍সিঞ্চিত ছিল বঙ্গবন্ধুর অভিজ্ঞতালব্ধ জীবন। তিনি কখনো ক্ষমতায় আকৃষ্ট ছিলেন না”।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২২ উদযাপন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এ সময় বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স ফেরদৌসি শাহরিয়ার, বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, যুগ্ম সচিব ড. আবু নঈম মুহাম্মদ আবদুছ ছবুর, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক, বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টিার (ইকোনমিক) মো. মেহেদী হাসান, মিনিস্টার (কনস্যুলার) মো. হাবিবুর রহমান, ডিফেন্স অ্যাটাচে বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. শাহেদুল ইসলাম, মিনিস্টার (পলিটিক্যাল) দেওয়ান আলী আশরাফ, মিনিস্টার (পলিটিক্যাল) মো. রাশেদুজ্জামান, কাউন্সেলর মো. শাহ আলম খোকন, কাউন্সেলর মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, কাউন্সেলর ও হেড অব চ্যান্সারি মো. মাহমুদুল ইসলাম, কাউন্সেলর আরিফা রহমান রুমা প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, “বঙ্গবন্ধু সমকালীন ইতিহাসের কালজয়ী মহামানব। যার পুরো জীবন ছিল মানুষের মুক্তির দর্শনসম্বলিত। পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে একটি জাতিকে মুক্ত করা এবং বাংলা ভাষাভাষী সব মানুষকে জাতীয়তা বোধে উজ্জীবিত করে বাঙালি জাতীয়তাবাদকে জাগ্রত করে তোলা ছিল তাঁর ঝীবনের লক্ষ্য। এ ধারাবাহিকতায় তিনি বাঙালি জাতির জনক হয়েছেন”।

শ ম রেজাউল করিম যোগ করেন, “নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর সত্তা ও আদর্শের শিক্ষা দিতে হবে। তাদের জানাতে হবে বঙ্গবন্ধুর মানসিকতা কী ছিল, তাঁর দেশপ্রেম কেমন ছিল, তাঁর অসাম্প্রদায়িকতা কেমন ছিল। বঙ্গবন্ধুকে ধারণ করে আমাদের অস্তিত্বের শেকড়ে ফিরে যেতে হবে। একজন বঙ্গবন্ধু মানে বিশ্বের বিস্ময়। একজন বঙ্গবন্ধু মানে আমাদের সকল পথ-পন্থার নির্দেশক। একজন বঙ্গবন্ধু আমাদের চলার পথের পাথেয়। বঙ্গবন্ধুর জন্মতিথিতে তাই মানুষের কল্যাণে আত্মোৎসর্গের জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে। এ প্রতিজ্ঞায় সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে, স্বাধীনতাবিরোধীদের রুখে দিতে হবে, বহির্বিশ্বে বাঙালির স্বতন্ত্র সত্তার পরিচয় তুলে ধরতে হবে”।

তিনি আরো যোগ করেন, “বঙ্গবন্ধুর আদর্শ উত্তরসূরি শেখ হাসিনার মাঝে তাঁর রাজনৈতিক দর্শন যথাযথভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। একারনেই আমরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি দেখি শেখ হাসিনার মাঝে। বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন সব মানুষের জন্য একটি সুখী-সমৃদ্ধ একটি রাষ্ট্র ব্যবস্থা হবে। বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য ছিল স্বাধীন সার্বভৌম দেশে ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান থাকবে না। সবার জন্য সমান ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য তিনি দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচি হাতে নিয়েছিলেন। স্বাধীন বাংলাদেশ এমন কোন জায়গা ছিল না, যেখানে উন্নয়নের সূচনা বঙ্গবন্ধু করেন নি। বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশ্বপরিমন্ডলে বঙ্গবন্ধু ছিলেন শোষিতের কন্ঠস্বর, আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আজ বলা হয় দুর্গতদের কন্ঠস্বর। একজন জাতিকে মুক্ত করে স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র দিয়েছেন, আর তাঁর উত্তরসূরি শেখ হাসিনা উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দিয়ে যাচ্ছেন”।

এর আগে মন্ত্রী ওয়াশিংটন ডিসির বাংলাদেশ দূতাবাসে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ১৮, ২০২২ ১১:৪৭ পূর্বাহ্ন
ধোঁয়া দিয়ে মশা তাড়ানোর চেষ্টা, আগুনে খামারের ২৭ টি গরুর মৃত্যু
ডেইরী

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে মশা তাড়ানোর জন্য খড়ের কুণ্ডলী থেকে সৃষ্ট আগুনে একটি খামারের ২৭ টি গরুর মৃত্যু হয়েছে।বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যায় নাচোল উপজেলার কসবা ইউনিয়নের আখিলা গ্রামে সলেমান আলীর গরুর খামারে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সলেমান আলীর খামারে মশা তাড়ানোর ধোয়া দিতে গেলে আগুনের সূত্রপাত হয়।

নাচোল থানার ওসি মিন্টু রহমান জানান, সলেমান আলীর খামারে ২৭টি গরু ছিল। সন্ধ্যায় আগুন লেগে সবগুলো গরুই মারা গেছে। এর মধ্যে ৩টি বড় ষাড় গরু, ২২টি শাহীওয়াল বড় বকনা গরু এবং ২টি বাছুর গরু রয়েছে।

ফায়ার সার্ভিসের বরাত দিয়ে ওসি আরও জানান, বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আগুনে খামারটির আনুমানিক ৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নাচোল ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার ইব্রাহিম আলী জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে ২০ মিনিটের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে ওই খামারের গরু ছাড়া আর কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। মশা তাড়ানোর ধোঁয়ার আগুনের সঙ্গে বৈদ্যুতিক তারের সংযোগে এই আগুনের সূত্রপাত।

নাচোলে উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শরীফ আহমেদ জানান, খামারে আগুনের ঘটনার খবর শুনে পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্ত খামারিকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা করা হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ১৭, ২০২২ ৬:২৫ অপরাহ্ন
বিএলআরআই-এ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২২ পালিত
প্রাণিসম্পদ

বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই)-এ যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২২ পালিত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার দিবসটি উদযাপনের লক্ষ্যে বিএলআরআই এর পক্ষ থেকে দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। সকাল ৬.০০ ঘটিকায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি উদ্বোধন করেন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন।

এসময় মহাপরিচালক সাথে আরও উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় প্রধানগণ, প্রকল্প পরিচালকগণসহ ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন স্তরের বিজ্ঞানী কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ।

জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর সকাল ০৯.৩০ ঘটিকায় মহাপরিচালক ও অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ বিএলআরআই এর প্রশাসনিক ভবনের সামনে অস্থায়ী বেদিতে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। সকাল ১০.০০ টায় ইনস্টিটিউটের চতুর্থ তলার সম্মেলন কক্ষে শুরু হয় বাচ্চাদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতায় মোট দুইটি গ্রপে শূন্য থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত অধ্যয়নরত শিশুরা অংশগ্রহণ করে।

বেলা ১১.০০ ঘটিকায় চতুর্থ তলার সম্মেলন কক্ষে শুরু হয় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল। আলোচনায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ফার্মিং সিস্টেম রিসার্চ বিভাগের বিভাগীয় প্রদান ড. রেজিয়া খাতুন। আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধুর জীবন ও জাতীয় শিশু দিবসের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও পোল্ট্রি গবেষণা ও উন্নয়ন জোরদারকরণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. সাজেদুল করিম সরকার এবং শিশুর স্বাস্থ্য সচেতনতা, পুষ্টি ও খাদ্য সম্পর্কে আলোচনা করেন মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (রু: দা:) ও প্রাণী উৎপাদন গবেষণা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. বিপ্লব কুমার রায়।

এছাড়াও আলোচনা বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও পরিচালক (গবেষণা) ড. নাসরিন সুলতানা।

প্রধান অতিথি হিসেবে আলোচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন। জাতির পিতার শৈশব ও জীবনের নানা ইতিহাস তুলে ধরার পশাপাশি প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি বলেন, শৈশব থেকেই বঙ্গবন্ধু ছিলেন একজন স্বভাবজাত নেতা, নেতৃত্বের গুণ তাঁর মধ্যে বিকশিত হয়েছিল খুব ছোট থেকেই। একই সাথে অধিকার আদায়েও তিনি ছিলেন সবার আগে। বঙ্গবন্ধুর হৃদয়ে শিশুদের প্রতি ছিলো অপরিসীম প্রেম। শিশুদের কল্যাণেও তাঁর ভূমিকা অনস্বীকার্য। আর তাই তো তাঁর জন্মদিনেই পালন করা হয়ে থাকে জাতীয় শিশু দিবস, যাতে করে এদেশের সকল শিশু তাঁর আদর্শ ধারণ করে বড় হয়ে উঠতে পারে। একই সাথে তিনি খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে ওঠার গুরুত্ব ও পুষ্টি চাহিদা পূরণের গুরুত্ব অনুধাবন করতে পেরেছিলেন। তাই তিনি কৃষি ও প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে সব সময় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন।

এর আগে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানের পূর্বে মহাপরিচালক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন। আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে আয়োজন করা হয় দোয়া মাহফিল। মাহফিলে বাংলাদেশের সর্বাঙ্গীন উন্নতি কামনার পাশাপাশি দেশের সকল শিশুর উজ্জ্বল, নিরাপদ ও সুখী-সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ কামনা করা হয়।

দিনের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিলো বিএলআরআই এর প্রধান ও আঞ্চলিক কেন্দ্রগুলোতে আলোকসজ্জাকরণ এবং বিএলআরআই এর প্রধান কার্যালয়ের সামনে অবস্থিত ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ডে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

উল্লেখ্য দেশব্যাপী করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সীমিত পরিসরে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিএলআরআই জাতির পিতার জন্মদিন ও শিশু দিবসের কর্মসূচি পালন করে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ১৭, ২০২২ ৪:১৩ অপরাহ্ন
বঙ্গবন্ধুর জন্ম ও স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম পারস্পরিক- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, “বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ অবিচ্ছেদ্য সত্তা। বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রামের পথ পরিক্রমায় আজকের মুক্ত স্বাধীন স্বদেশ। তাঁর জীবনালেখ্য বাংলাদেশকে মুক্ত করার আন্দোলন-সংগ্রামের জীবনালেখ্যর সঙ্গে সম্পৃক্ত। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন বাংলাদেশের আন্দোলন-সংগ্রামের জীবন। বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য বাঙালি জাতির স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্য। বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য ছিল খেটে খাওয়া মানুষ, কৃষক, শ্রমিক, মেহনতি মানুষ সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে একটি রাজনৈতিক সমাজব্যবস্থা বিনির্মাণ। বঙ্গবন্ধুর জন্ম ও স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম পারস্পরিক সম্পর্কে যুক্ত”।

বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২২ উপলক্ষ্যে পিরোজপুর জেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভায় যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমানের সভাপতিত্বে পিরোজপুর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেবেকা খান, সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ আলী আজম, সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ তৌহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক চৌধুরী রওশন ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা আজাদ হোসেন, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার যুগ্ম পরিচালক আব্দুল কাদের, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আখতারুজ্জামান ফুলু, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউল আহসান গাজী, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক গৌতম নারায়ণ রায় চৌধুরী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি রাসেল পারভেজ ও সাধারণ সম্পাদক সুমন শিকদার, জেলা মৎস্যজীবী লীগের আহ্বায়ক শিকদার চান, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোপাল বসু, জেলা ছাত্রলীগের প্রাক্তন সভাপতি মাকসুদুল ইসলাম লিটন, স্থানীয় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী আরো বলেন, “আত্মপ্রত্যয়ে দৃঢ়চেতা বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে ন্যায়সঙ্গত অধিকার প্রতিষ্ঠার জায়গায় নিয়ে এসেছিলেন। আমাদের স্বাধীকার থেকে স্বাধীনতা অর্জনের পথে বঙ্গবন্ধু দৃঢ় অবস্থান নিয়েছিলেন। ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে গোটা জাতিকে স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুতির সব নির্দেশনা দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। বাঙালি জাতি সেদিন বঙ্গবন্ধুর অঙ্গুলি হেলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল মহান মুক্তিযুদ্ধে। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধুকে দেশে ও দেশের বাইরে অনেকে মেনে নিতে পারে নি। তাই স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু যখন স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ বিনির্মাণে আত্মনিয়োগ করেছিলেন তখন ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তাঁকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে আবার সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়, স্বাধীনতাবিরোধীদের পুনর্বাসন করা হয়। রাজাকারদের সরকারের মন্ত্রী করে নিকৃষ্ট ঘটনার জন্ম দেওয়া হয়। এভাবে বাংলাদেশের ইতিহাসও পাল্টে দেওয়া হয়”।

শ ম রেজাউল করিম যোগ করেন, “বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার হলেও এ হত্যাকান্ডের নেপথ্যের কুশীলবদের বিরুদ্ধে আমরা এখনো ব্যবস্থা নিতে পারি নি। নেপথ্যের কুশীলবদের খুঁজে বের করা অনিবার্যভাবে ইতিহাসের দায়। জনকের হত্যার ষড়যন্ত্রকারী এবং হত্যাকারী ও ষড়যন্ত্রীকারীরা যাদের প্রশ্রয় পেয়েছিল তাদের বিচার এখন সময়ের দাবী। তা না হলে ইতিহাসের দায়মুক্তি হবে না”।

“লাল-সবুজের পতাকা যদি থাকে বঙ্গবন্ধু সেখানে থাকবেন। লাল-সবুজের পতাকা থাকলে ত্রিশ লক্ষ শহিদ আর দুই লক্ষ নির্যাতিত মা-বোনকে আমরা খুঁজে পাবো। তাই বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে প্রতিজ্ঞা হোক মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ ‍বিনির্মাণ। মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেকে নিয়ে আবার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। দেশে ও দেশের বাইরে ষড়যন্ত্রকারীরা আবার সোচ্চার হয়ে উঠেছে। তাদের রুখে দিতে আমাদের ঐক্যের কোন বিকল্প নেই। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষা করতে হলে, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হলে তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে”-যোগ করেন মন্ত্রী।

এদিকে আজ সকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরীর নেতৃত্বে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন দপ্তর-সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুবোল বোস মনি, মো. তৌফিকুল আরিফ ও এস এম ফেরদৌস আলম, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মো. হেমায়েৎ হুসেন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা, মৎস্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোহা. আতিয়ার রহমানসহ মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দপ্তর সংস্থার কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। পরে রাজধানীর মৎস্য ভবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ১৭, ২০২২ ৩:০৮ অপরাহ্ন
খামারে গরুকে সুস্থ রাখতে যা করবেন
প্রাণিসম্পদ

গরু পালন লাভজনক হওয়ায় অনেকেই এখন গরুর খামার গড়ে তুলছেন। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে ব্যাপকহারে গরু পালন করা হচ্ছে। তবে গরুর খামার করে অনেকেই লোকসানে পড়ছেন। এর প্রধান কারণ হল গরুর নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়া। খামারের গরুকে সুস্থ রাখতে যেসব কাজ করতে হবে সেগুলো খামারিদের অবশ্যই জেনে খামার পরিচালনা করতে হবে।

খামারের গরুকে সুস্থ রাখতে যেসব কাজ করতে হবে:
খামারের গরুগুলোকে প্রতিদিন নির্দিষ্ট হারে সুষম খাদ্য প্রদান করতে হবে। নিয়মিত গরুগুলোকে সুষম খাদ্য প্রদান করলে গরুগুলো দ্রুত বৃদ্ধি পাবে ও রোগের দ্বারা কম আক্রান্ত হবে। খামারের প্রত্যেকটি গরুর জন্য আলাদাভাবে খাদ্য প্রদানের ব্যবস্থা রাখতে হবে এবং একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর খাদ্য প্রদান করতে হবে। খামারের গরুগুলোকে সুস্থ ও কর্মক্ষম রাখার জন্য খামারের চারপাশের খোলামেলা পরিবেশের ব্যবস্থা রাখতে হবে। বাইরের বাতাস ও আলো যাতে ভালোভাবে চলাচল করতে পারে সেদিকেও বিশেষ নজর দিতে হবে। আলো ও বাতাসের ব্যবস্থা রাখলে গরু সুস্থ থাকবে ও রোগের দ্বারা কম আক্রান্ত হবে।

গরুগুলোকে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরিক্ষা করাতে হবে। কোন গরু অসুস্থ হয়ে গেলে রোগের ধরণ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।পালন করা গরুগুলোকে একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়াতে হবে। গরুকে নিয়মিত কৃমির ওষুধ খাওয়ালে গরুর শরীর সুস্থ থাকে ও গরু স্বাস্থ্যবান হয়।

খামারের গরুগুলোকে বাইরে বের করে খামার ভালোকরে ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করতে হবে। প্রয়োজনে জীবাণুনাশক ছিটিয়ে দিয়ে জীবাণু ধ্বংস করতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে যাতে কোন ভাবেই খামার পরিষ্কার করার পানি যাতে জমে না থাকে।

খামারের গরুগুলোকে নিয়মিত গোসল করানোর ব্যবস্থা করতে হবে। নিয়মিত গরুগুলোকে গোসল করালে গরুর শরীর পরিষ্কার থাকে ও রোগ-জীবাণুর আক্রমণ কম হয়। এছাড়াও নিয়মিত গোসল করালে গরুর ত্বক মসৃণ ও চকচকে থাকে।খামারে কোনভাবেই যাতে বাইরের কোন ব্যক্তি না প্রাণী অবাধে প্রবেশ করতে না পারে সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। যদি প্রবেশ করাতেই হয় তাহলে প্রবেশের আগে জীবাণুমুক্ত করাতে হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ১৫, ২০২২ ৫:২০ অপরাহ্ন
রাজবাড়ী সদরে এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) বিষয়ক ১০ দিন ব্যাপী খামারি প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
প্রাণিসম্পদ

রাজবাড়ী সদরে এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) বিষয়ক ১০ দিন ব্যাপী খামারি প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছেমঙ্গলবার (১৫ মার্চ) সকাল ১০ টায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল রাজবাড়ী সদরের প্রশিক্ষণ কক্ষে উপজেলা পরিচালন ও উন্নয়ন প্রকল্প, উপজেলা পরিষদ রাজবাড়ী সদরের অর্থায়নে ১০ (দশ) দিন ব্যাপী “গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির সুষম খাদ্য তৈরি এবং এন্টি মাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) সচেতনতার মাধ্যমে টেকসই খামার ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ” কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।

সমাপনী অনুষ্ঠানে খামারি ও তরুণ উদ্যোক্তারা নিবন্ধিত চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া এন্টিবায়োটিক ব্যবহার না করার শপথ নেন। অনুষ্ঠানে ২৫ (পঁচিশ) জন তরুণ খামারি উদ্যোক্তাকে শপথ বাক্য পাঠ করান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মার্জিয়া সুলতানা। এসময় প্রশিক্ষণ সফলভাবে সমাপ্তকারী প্রশিক্ষণার্থীগণকে সনদপত্র এবং চূড়ান্ত মূল্যায়নে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারী ৫ (পাঁচ) জন প্রশিক্ষণার্থীর হাতে পুরষ্কার তুলে দেয়া হয়।

স্বাগত বক্তব্যে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ খায়ের উদ্দীন আহমেদ এই প্রশিক্ষণ আয়োজনে সার্বিক দিকনির্দেশনা প্রদান করার জন্য রাজবাড়ী- ১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ কাজী কেরামত আলী, উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডঃ ইমদাদুল হক বিশ্বাস, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মার্জিয়া সুলতানা সহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

তিনি আরও বলেন, এন্টি মাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) এর বিষয়ে সচেতন না হলে করোনার চেয়েও আরেকটি ভয়াবহ বিপর্যয় ঘনিয়ে আসতে পারে। এছাড়া অপ্রয়োজনীয় এন্টিবায়োটিকসহ অন্যান্য ওষুধ ব্যবহার কমিয়ে প্রাণিসম্পদ উৎপাদনে টেকসই প্রযুক্তির ব্যবহার, উন্নত প্রজাতির প্রাণী পালনের মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, নতুন প্রযুক্তির সাথে তরুণ উদ্যোক্তাদের পরিচিতি ঘটানো এবং পারস্পরিক জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং মডেল ফার্মিং সিস্টেম সম্পর্কে সম্যক ধারনা দিতে তাত্ত্বিক প্রশিক্ষণের পাশাপাশি অডিও ভিজুয়াল, ব্যবহারিক এবং গবাদি ও দুগ্ধজাত খামার, ফরিদপুর পরিদর্শণ করা হয়েছে।

প্রশিক্ষণে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, রাজবাড়ী; উপ পরিচালক, গবাদি ও দুগ্ধজাত খামার, ফরিদপুর; উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, রাজবাড়ী সদর; উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, রাজবাড়ী সদর; প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তাদ্বয় সহ বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ বক্তা প্রশিক্ষক হিসেবে অংশ গ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণে তত্ত্বীয় , ব্যবহারিক, রিক্যাপ সেশন, দলগত উপস্থাপনা, টিম বিল্ডিং গেমস এবং চূড়ান্ত মূল্যায়ন পরীক্ষার নম্বর বিশ্লেষণ করে প্রথম পাঁচ জনের হাতে পুরষ্কার তুলে দেয়া হয় । প্রশিক্ষণে সেরা পাঁচজন হলেন হাসনা সুলতানা, ফারহীন রুনা, সাইফুল ইসলাম সোহাগ, আজিজুল হাকিম এবং আল আমীন।

প্রশিক্ষনার্থীদের পক্ষে হাসনা সুলতানা বলেন “আমি এই জীবনে অনেক ট্রেইনিং করেছি তবে এমন ধরনের প্রশিক্ষণ কখনো পাইনি। এই প্রশিক্ষণে না আসলে এন্টি মাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স এর ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে জানতে পারতাম না। এখন থেকে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এন্টিবায়োটিক খাবো না, ভেটেরিনারি চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া প্রাণিকে এন্টিবায়োটিক দিব না।”

প্রশিক্ষণার্থী ফারহীন রুনা বলেন “এই ধরনের প্রশিক্ষণ আমার জীবনের প্রথম। খামার এবং এএমআর বিষয়ে আমার বেসিক ধারণা তৈরি হয়েছে। এই প্রশিক্ষণের মেয়াদ আরও বাড়ালে আরও ভাল হবে।

প্রশিক্ষনার্থীদের পক্ষে সাইফুল ইসলাম সোহাগ বলেন “বর্তমান বিশ্বে এন্টি মাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স আমাদের জন্য সারা পৃথিবীতে যে ভয়াবহ মহামারী নিয়ে আসছে তার কারণ আমাদের অনিয়মতান্ত্রিক এন্টিবায়োটিক ব্যবহার। এটাকে প্রতিহত করবার জন্য আমাদের এখনই সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরী”

রাজবাড়ী সদর উপজেলা ডেভেলপমেন্ট ফ্যাসিলিটেটর মোঃ নাজিউর রহমান এই প্রশিক্ষণ এবং এএমআর এর ক্ষতিকর প্রভাব বিষয়ে একটি ভিডিও প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন।

অতিথিগণ বক্তব্যে বলেন, “আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এন্টি মাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) এর ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে বাংলাদেশে এবং বিশ্বে সোচ্চার। এএমআর এর ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় এখনই সচেতন না হলে অচিরেই আরেকটি বৈশ্বিক মহামারী দেখা দিতে পারে।”

উল্লেখ্য গত মঙ্গলবার (১ মার্চ) প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই কার্যক্রমের শুভউদ্বোধন করেন রাজবাড়ী সদর উপজেলার চেয়ারম্যান এ্যাডঃ ইমদাদুল হক বিশ্বাস, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজবাড়ী সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ রকিবুল হাসান পিয়াল এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছাঃ আলেয়া বেগম। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মার্জিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ খায়ের উদ্দীন আহমেদ, ভিডিও প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডাঃ শামসুর রহমান সুমন এবং সঞ্চালনা করেন রাজবাড়ী সদর উপজেলা ডেভেলপমেন্ট ফ্যাসিলিটেটর মোঃ নাজিউর রহমান।

প্রশিক্ষনার্থীদের মধ্য থেকে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জনাব সাইফুল ইসলাম সোহাগ, সেশন শেষে বক্তব্য রাখেন প্রশিক্ষনার্থী আতিকুল ইসলাম চৌধুরী রতন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (সম্প্রসারণ) খন্দকার সমীর; প্রাণিসম্পদ মাঠ সহকারী (এলএফএ) বিথী খাতুন, মোঃ রুহুল আমিন সহ উপজেলার অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারি এবং প্রশিক্ষণার্থী খামারিবৃন্দ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ১৫, ২০২২ ৩:৫৪ অপরাহ্ন
গুণগতমানের মৎস্য রপ্তানির পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদা অনুযায়ী গুণগতমানের মৎস্য রপ্তানির লক্ষ্যে সরকার নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

গতকাল সোমবার (১৪ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনে গ্লোবাল সি ফুড অ্যালায়েন্স আয়োজিত সি ফুড এক্সপো নর্থ আমেরিকা (SENA) এর অন্যতম ইভেন্ট ‘রিভাইটালাইজিং ব্ল্যাক টাইগার শ্রিম্প’ শীর্ষক উপস্থাপনা ও আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে মন্ত্রী এ কথা জানান।

বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনস্যুলেট জেনারেল মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, গ্লোবাল সি ফুড অ্যালায়েন্সের সভাপতি জর্জ চেম্বারলিন, বাংলাদেশ চিংড়ি ও মৎস্য ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ মাহমুদুল হক প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, “বাংলাদেশে মৎস্যসম্পদের অধিক উৎপাদন ও গুণগতমান নিশ্চিতের জন্য সরকারের উদ্যোগে অবকাঠামো উন্নয়ন, রোগমুক্ত পোনা সরবরাহ, আন্তর্জাতিক মানের মাননিয়ন্ত্রণ ল্যাবরেটরি স্থাপন ও পরিচালনা, প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগ করা হচ্ছে। মৎস্য ও মৎস্য পণ্য (পরিদর্শন ও মাননিয়ন্ত্রণ) আইন ২০২০ শিরোনামে সরকার নতুন আইন প্রণয়ন করেছে। বাগদা চিংড়ির গুণগতমান নিশ্চিতের জন্য রোগমুক্ত চিংড়ি পোনা উৎপাদন ও সরবরাহ, বিজ্ঞানসম্মত উত্তম মৎস্যচাষ পদ্ধতি অনুসরণ ও আইনের কঠোর প্রয়োগসহ নানা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। চিংড়ি চাষ ও প্রক্রিয়াকরণে ‘ফিশ এন্ড ফিশারি প্রোডাক্টস অফিসিয়াল কন্ট্রোল প্রটোকল’ ও ‘অ্যাকুয়াকালচার মেডিসিনাল প্রোডাক্টস নিয়ন্ত্রণ নির্দেশিকা’ প্রণয়ন ও অনুসরণ করা হচ্ছে। এছাড়া চিংড়ি চাষিদের উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা এবং চিংড়ি চাষে গুচ্ছ চাষ পদ্ধতির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে”।

এ সময় মন্ত্রী আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের বাগদা চিংড়ির উচ্চমূল্য প্রাপ্তির লক্ষ্যে চিংড়ির থার্ড পার্টি সার্টিফিকেশন প্রবর্তনের জন্য গ্লোবাল সি ফুড অ্যালায়েন্সসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্যদের সহযোগিতা কামনা করেন।

আলোচনা পর্বে অংশগ্রহণের জন্য বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান।

পরে মন্ত্রী ‘রিভাইটালাইজেশন অব ব্ল্যাক টাইগার শ্রিম্প কমিউনিটি’ নামক একটি ওয়েব পোর্টালের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ১৫, ২০২২ ১:১০ অপরাহ্ন
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তরের সাথে আরডিনেটওয়ার্ক এর চুক্তি স্বাক্ষরিত
প্রাণিসম্পদ

নিজস্ব প্রতিবেদক: মোবাইল অ্যাপ তৈরির লক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তরের সাথে আরডিনেটওয়ার্ক এর চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।গতকাল সোমবার তথ্য দপ্তরের উপ-পরিচালকের কক্ষে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তরের পক্ষে স্বাক্ষর করেন উপ-পরিচালক ( যুগ্ম-সচিব) জনাব শেফাউল করিম। অন্যদিকে আরডিনেটওয়ার্ক এর পক্ষে স্বাক্ষর করেন ফিদা আল হাসান।

মোবাইল অ্যাপ সম্পর্কে উপ-পরিচালক বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সকল দপ্তর সংস্থার জনকল্যাণমুখী সকল কার্যক্রমের তথ্যকে খামারী, চাষী, বিজ্ঞানী, গবেষক ও জনসাধারণের দোরগোড়ায় সহজে, স্বল্প সময়ে পৌছে দিতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর একটি মোবাইল অ্যান্ড্রয়েট অ্যাপ তৈরি করতে যাচ্ছে। অ্যাপটি তৈরি হলে চাষী-খামারী থেকে শুরু করে দেশের সর্বস্তরের জনগণ উপকৃত হবেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন তথ্য দপ্তরের তথ্য কর্মকর্তা (প্রাণিসম্পদ) ডা: মো: এনামুল কবির, তথ্য কর্মকর্তা (মৎস্য) সাজ্জাদ হোসেন, প্রকাশনা কর্মকর্তা মেহেদী হাসান, গণযোগাযোগ কর্মকর্তা মো.সামছুল আলম, সহকারি প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মো. আরিফুল ইসলাম।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ১৫, ২০২২ ১২:১৯ অপরাহ্ন
বিএলআরআই প্রযুক্তি পল্লীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন
প্রাণিসম্পদ

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) কর্তৃক ধামরাইয়ের শরীফবাগ গ্রামে বাস্তবায়নাধীন ‘বিএলআরআই প্রযুক্তি পল্লী’র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ১৪ মার্চ (সোমবার) ঘোষণা করা হয়

ধামরাই শরিফবাগ শরিফুন নেশা মহিলা দাখিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রযুক্তি পল্লীর উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলর এর নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার। এসময়ে পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রযুক্তি পল্লীর উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়।

পবিত্র কোরআন হতে তেলোয়াতের মধ্য দিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। এর পর আমন্ত্রিত অতিথিদের উদ্দেশ্যে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বিএলআরআই এর মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (রুঃ দাঃ) এবং প্রাণী উৎপাদন গবেষণা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. বিপ্লব কুমার রায়। স্বাগত বক্তব্যের পরে মূল প্রবন্ধ এবং বিএলআরআই প্রযুক্তি পল্লীর উপরে ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করেন বিএলআরআই এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, ফার্মিং সিস্টেম রিসার্চ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এবং বিএলআরআই প্রযুক্তি পল্লীর প্রধান গবেষক ড. রেজিয়া খাতুন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিএলআরআই প্রযুক্তি পল্লীর সরাসরি উপকারভোগী দুইজন খামারি এবং বিএলআরআই প্রযুক্তি পল্লীর সফলতা দেখে খামার তৈরিতে উৎসাহ প্রাপ্ত একজন উদ্যোক্তার কথা তুলে ধরা হয়।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলর এর নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার বলেন, আমি সব সময় বলি যে বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই আজকে আমাদের বাংলাদেশের কৃষির অগ্রযাত্রা। তিনি উপলব্ধি করেছিলেন, এদেশের কৃষিকে যদি শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করানো না যায়, তবে কোন উন্নয়নই টিকে থাকবে না। যার জন্য জাতির জনক স্বাধীনতার পরপরই কৃষির উন্নয়নের উপরে জোর দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল আধুনিক কৃষি. উন্নত ব্যবস্থাপনা ও যন্ত্রপাতির ব্যবহার। আমরা সবুজ বিপ্লবের কথা বলি এটা কিন্তু বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পরপরই করেছিলেন।

বিএলআরআই প্রযুক্তি পল্লী অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বিএলআরআই-এর মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের রাজনৈতিক দূরদর্শিতা বাংলাদেশের উন্নয়ন হয়েছে। বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। সুখী সমৃদ্ধ এবং মেধাসম্পন্ন জাতি গঠন করতে হলে প্রাণিজ আমিষের কোন বিকল্প নেই। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যমাত্রা হাতে নেওয়া হয়েছে। উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হলে তখন মানুষের চাহিদার মধ্যে অন্যতম গুরুত্ব পাবে নিরাপদ খাদ্য। আমাদের এই প্রযুক্তি পল্লীতে বেশ কিছু প্রযুক্তি প্রদর্শন করা হচ্ছে এবং খামারিরা নিজেরাই প্রযুক্তি ব্যবহার করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। এই ধারা অব্যাহত থাকলে আপনাদের এখান থেকে গরুর মাংস এবং মুরগির মাংস বিদেশে রপ্তানির মাধ্যমে আমরা অনেক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারব। পরিশেষে আপনারা এখানে যারা অনেক দূর দূরান্ত থেকে উপস্থিত হয়েছেন, আমাদের এই পল্লীতে এসেছেন, আমি আমাদের বলবো এই কারণেই আমি সব সময় ভাবি এই গ্রামটা আমাদের গ্রাম, সকলকে ধন্যবাদ।

উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএলআরআই এর মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও পরিচালক (গবেষণা) ড. নাসরিন সুলতানা। এছাড়াও এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএলআরআই-এর বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানগণ, প্রকল্প পরিচালকগণসহ বিএলআরআই-এর অন্যান্য উর্দ্ধতন বিজ্ঞানীবৃন্দ। এছাড়াও অনুষ্ঠানে শরীফবাগ ও এর পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন গ্রাম থেকে বাছাই করা মোট ৫০ (পঞ্চাশ) জন খামারি অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানের শেষে নির্বাচিত খামারিদের মাঝে মুরগির বাচ্চা এবং ছাগল ও ভেড়ার বাচ্চা বিতরণ করা হয়।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop