১১:২২ অপরাহ্ন

সোমবার, ১৮ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : অক্টোবর ২৩, ২০২১ ৮:৫৮ পূর্বাহ্ন
হালদার ডলফিন ও কার্প জাতীয় মাছের উন্মোচন হচ্ছে জীবনরহস্য
বিজ্ঞান ও গবেষণা

ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচারের (আইইউসিএন) বিপন্ন তালিকায় থাকা ডলফিনকে বাঁচাতে উদ্ঘাটন করা হচ্ছে তার জীবনরহস্য। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হালদা রিসার্চ ইনস্টিটিউট ও ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক দু’বছর ধরে কাজ করছে ডলফিন নিয়ে। একই সঙ্গে জীবনরহস্য উন্মোচন করছেন তারা হালদার কার্প জাতীয় চার মাছ- রুই, কাতলা, মৃগেল ও কালবাউশের।

হালদায় কার্প জাতীয় মাছ ও বিলুপ্ত প্রজাতির ডলফিনের জীবন সংরক্ষণ, উৎপাদন, প্রজনন এবং বংশবিস্তারের ক্ষেত্রে কোন কোন জিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে তা বিস্তারিত জানা যাবে জীবনরহস্য উন্মোচনের মাধ্যমে। এরই মধ্যে জিন শনাক্ত করে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশন-এনসিবিআইর ডাটা ব্যাংকে জমা দিয়েছেন গবেষকরা। সেখান থেকে মিলেছে অনুমোদন। আর এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশের অধিকারও। আগামী মাসে গবেষণার ফলাফল আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করবেন গবেষকরা। উল্লেখ্য, হালদার ডলফিন ও কার্প জাতীয় চার মাছের জীবনরহস্য উন্মোচনে বাংলাদেশের এ প্রচেষ্টা বিশ্বে প্রথম।

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এএমএএম জোনায়েদ সিদ্দিকী বলেন, পৃথিবীতে আমরাই প্রথম বিপন্ন প্রজাতির ডলফিনের জীবনরহস্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা করছি। এরই মধ্যে ডলফিনের জিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশন-এনসিবিআইর ডাটা ব্যাংকে জমা দেওয়ার পর অনুমোদন পাওয়া গেছে। আমরা এখন এ জিনগুলো গ্রুপ করছি।

জিনগুলো ডলফিন ও কার্প জাতীয় চার মাছের জীবনে কোন পর্যায়ে কী ভূমিকা পালন করে তা জানানোর চেষ্টা করছি আমরা। গবেষণার কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। শিগগির এটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করব আমরা। তিনি জানান, জীবনরহস্য উন্মোচনের মাধ্যমে হালদার বিলুপ্ত প্রজাতির ডলফিন এবং কার্প জাতীয় মাছের মালিকানা এখন বাংলাদেশের বলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

গবেষণা দলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছেন হালদা রিসার্চ ল্যাবরেটরির সমন্বয়কারী ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মঞ্জুরুল কিবরীয়া। আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নমুনাগুলো পরীক্ষার জন্য আমরা চীনে পাঠিয়েছি। সেখান থেকে টোটাল ডিএনএ আসে।

এরপর সেগুলো আমরা এনসিবিআইতে জমা দেই। তারা এটা যাছাই-বাছাই করে প্রকাশ করেছেন। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের ওনারশিপ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তিনি জানান, গবেষক দলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচজন শিক্ষার্থী রয়েছেন। এ ছাড়া ভেটেরিনারি ও প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচজন শিক্ষার্থী রয়েছেন।

জীবনরহস্য উন্মোচিত হলে জানা যাবে কেন হালদার মাছ অন্যস্থানের চেয়ে আলাদা। এ নদীর ডলফিন ও মাছের মধ্যে স্বতন্ত্র কী কী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এদের বংশবিস্তারে কোন জিন কীভাবে ভূমিকা রাখে জানা যাবে সেটিও। সংগৃহীত এসব তথ্য পরে আরও ব্যাপক আকারে আন্তর্জাতিকভাবে প্রকাশ করা হবে।

গবেষণার জন্য যে ডলফিন ও মাছ সংগ্রহ করা হয়েছে তা বিভিন্ন সময় হালদা নদী থেকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। ২০১৮ সালে মৃত অবস্থায় পাওয়া ৭০-৮০ কেজি ওজনের ডলফিন থেকে নমুনা নিয়েছেন গবেষকরা। আর নমুনা নেওয়া রুই, কাতলা, মৃগেল ও কালবাউশ মাছের ওজন ১৬ থেকে ১৭ কেজি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ২৩, ২০২১ ৮:৪৯ পূর্বাহ্ন
মাছের সঙ্গে শত্রুতা!
মৎস্য

কুমিল্লার মুরাদনগরে পূর্ব শত্রুতার জেরে পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধনের অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার উপজেলার সুরানন্দি গ্রামের আলী আহম্মদের পুকুরে এ ঘটনা ঘটে।

পুকুরের মালিক ভুক্তভূগী আলী আহাম্মদ বলেন, প্রতিদিনের মতো ফজর নামাজ পড়তে মসজিদে যাওয়ার সময় দেখি পুকুরে কয়েকটি কাতলা মাছ মরে ভেসে আছে। পরে সকাল হলে দেখি বিভিন্ন প্রজাতির অসংখ্য মাছ মরে ভেসে উঠেছে।

তিনি বলেন, এলাকায় কারও সঙ্গে আমার তেমন বিভেদ নেই। তবে আমার প্রতিবেশীদের সঙ্গে বসতবাড়ির জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। তারা আমাদেরকে বিভিন্ন সময় ক্ষতি করবে বলে হুমকিও দিয়েছেন। ধারণা করছি- তারাই আমার পুকুরে বিষ দিয়েছে। এতে আমার প্রায় ৪০ হাজার টাকার মাছ মারা গেছে।

মুরাদনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাদেকুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ২১, ২০২১ ২:৫৩ অপরাহ্ন
নদী ও জলাশয় ঘেড়া দিয়ে চলছে মা ও পোনা মাছ নিধন
মৎস্য

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে অবৈধভাবে নিষিদ্ধ নেটজাল ও বেড় জাল দিয়ে বিভিন্ন নদী,বিল ও জলাশয়ে স্থায়ী ভাবে ঘেড়াও করে মা মাছ, পোনা মাছ সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ অবাধে নিধন চলছে।প্রথমে ডালপালা, কলমী ও কচুরি দিয়ে অভয়ারণ্য তৈরি করে পরে এভাবেই ঘেড়াও করে মাছ ধরার ফলে দেশীয় প্রজাতির মাছ গুলো বিলুপ্তির পথে।

জানা যায়, মৎস্য সম্পদ রক্ষা আইনে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে যে, ৪.৫ সে.মি. এর কম ফাঁস জাতীয় যে কোন প্রকার জাল দিয়ে চাষ করা ব্যাতীত মাছ ধরার উদ্দেশ্যে ব্যবহার বা ঘেড়া দেওয়া নিষিদ্ধ এবং এই পরিস্থিতিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার বিধান রয়েছে। তবে একশ্রেণীর অসাধু ব্যক্তি নিয়মনীতি ও আইনের তোয়াক্কা না করে ক্ষমতার দাপটে বিস্তির্ণ জলাশয়, নদী ও বিলে প্রায় ১ সে.মি. কমের ফাঁস জাতীয় এসকল নেট জাল বা বেড়জাল ব্যবহার করে মৎস্য সম্পদ ধ্বংসের মতো কাজে লিপ্ত রয়েছে।

শাহজাদপুর পৌর শহরের বিসিক বাসস্ট্যান্ডে ও জে জে কল্যাণ ট্রাস্টের পশ্চিমের বিল ও উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়নের রাউতরা,চড়া-চিথুলিয়া, পোতাজিয়া গ্রামের গিয়ে দেখা এই দৃশ্য দেখা যায়।একেকটি স্থানে প্রায় ১ কিলোমিটার অনেক স্থানে আধা কিলোমিটার নদী, বিল ও জলাশয়ের অংশ ঘেড়াও করে মাছ শিকার চলছে।

স্থানীয় জেলেরা জানায়, এভাবে ঘেড়া দেওয়ার কারণে আমাদের মতো সাধারণ জেলেদের মাছ ধরার জায়গা সংকুচিত হয়ে পড়েছে। প্রায়ই এসকল ঘেড়াকারীর সাথে আমাদের মাছ ধরা নিয়ে বিরোধ তৈরি হচ্ছে এবং আমাদের হুমকি ও ধমক দেওয়া হচ্ছে।যদিও ঘেড়া দেওয়া অবৈধ তারপরও স্থানী মৎস্য অফিসের কর্মকর্তারা এই বিষয়ে কোন ব্যবস্থাই নেয় না।

শাহজাদপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সাথী রানী নিয়োগী বলেন, ৪.৫ সেন্টিমিটারের কম ফাঁসের জাল বা নেট দিয়ে যদি কেউ মাছের বিচরণ বাধাগ্রস্থ্য করে বা ঘেড়াও দেয় তাহলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ১৯, ২০২১ ৯:০৯ পূর্বাহ্ন
মিশ্র খামার করে যেভাবে সফল আলাউদ্দিন
মৎস্য

মো. আলাউদ্দীন ২০১৬ সালে বাড়ির আঙিনায় দুই হাজার মুরগি দিয়ে গড়ে তোলেন একটি খামার। নিজের ৬০ শতক এবং লিজ নেওয়া ২০ শতক জমিতে পাঁচ হাজার বর্গফুটের চারটি ঘর তৈরি করেন। ২০১৯ সালে গড়ে তোলেন বিভিন্ন দেশি-বিদেশি উন্নত জাতের গরুর খামার।

২০২০ সালে শুরু করেন মাছ চাষ। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি আলাউদ্দীনকে। মিশ্র খামার তৈরি করে নিজের সফলতার পাশাপাশি অন্যেরও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন এ যুবক।

মহম্মদপুর উপজেলা বালিদিয়া ইউনিয়নের মৌশা গ্রামের কুটি মিয়া ফকিরের বড় ছেলে আলাউদ্দীন। ২০১০ সালে এসএসসি পাস করে উপজেলা সদরের আমিনুর রহমান কলেজে ভর্তি হন। লেখাপড়া শিখে চাকরি করার ইচ্ছা তাঁর কখনোই ছিল না। আলাউদ্দীনের স্বপ্ন ছিল নিজে কিছু করার।

লেখাপড়ার পাশাপাশি ২০১২ সালে মা বস্ত্রালয় নামে গার্মেন্টসের ব্যবসা শুরু করেন। ব্যবসা বাড়াতে মা মোবাইল শোরুমের দোকান দেন। এরপর ধীরে ধীরে মুরগি, গরু ও উন্নত জাতের মাছের খামারসহ তৈরি করেন খামারবাড়ি। এই খামারবাড়ি থেকে অর্থনৈতিকভাবে নিজের সফলতা অর্জনের পাশাপাশি এলাকার পাঁচজন বেকার যুবককে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছেন।

জানা গেছে, আলাউদ্দীনের খামারে রঙিন মাছের মধ্যে রয়েছে গোল্ডফিশ, কমেন্ট, কৈ, কার্প, মলি, সলটেল, গাপ্পি, ফাইটার, এঞ্জেল, জেব্রা ও গডামিসহ বিভিন্ন রং বেরঙের মাছ। আলাউদ্দীনের এই ফার্মের সফলতার পেছনে ছোট দুই ভাই সোহাগ ও সালাহউদ্দীন এবং তাঁর স্ত্রী মুক্তা খাতুন সহযোগিতা করেন। আলাউদ্দীনের এই খামার বাড়ির সাফল্য দেখে এলাকার বেকার যুবকদের অনেকেই খামার তৈরিতে ঝুঁকেছেন।

এ বিষয়ে আলাউদ্দীন বলেন, ‘আমার স্বপ্ন ছিল প্রাইভেট ফার্ম গড়ে তোলার। প্রাইভেট ফার্ম তৈরি করে নিজের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি অন্যেরও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করব। এ ভাবনা থেকে আমার এই উদ্যোগ। তবে এই কাজে অনেক টাকার প্রয়োজন, যা আমার পক্ষে ব্যয় করা সম্ভব হচ্ছে না। সরকারি কোনো সহযোগিতা পেলে এলাকার বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারব।’

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ১৮, ২০২১ ৩:৩৮ অপরাহ্ন
ঝড়ে পদ্মায় নৌকাডুবি, জেলে নিখোঁজ
মৎস্য

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার পদ্মা নদীতে ঝড়ের কবলে পড়ে নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন এক জেলে।

রোববার দিনগত রাতে উপজেলার চর বয়ারমারী এলাকার পদ্মা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।নিখোঁজ জেলের নাম কামাল হোসেন (২২)। তিনি চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নের দিয়াড় মানিকচক গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে।

চরআষাড়িয়াদহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহা. সানাউল্লাহ জানান, রোববার দিনগত রাতে কামাল হোসেনসহ তিন জেলে মাছ ধরতে পদ্মায় নৌকা ভাসায়। কিন্তু প্রবল ঝড়ের কবলে পড়ে নৌকাখানী ডুবে যায়। এ সময় দুই জেলে সাঁতরে কূলে উঠতে পারলেও কামালের খোঁজ মেলেনি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার সন্ধ্যায় জেলে কামাল হোসেনসহ আরও দুজন পদ্মা নদীতে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে বের হয়। রাত পৌনে ৮টার দিকে হঠাৎ ঝড়ো হাওয়া শুরু হলে চরবয়ালমারী এলাকায় মাছধরা নৌকাসহ তিনজন ডুবে যায়। এতে দুজন সাঁতরে ঘাটে উঠলেও কামাল নিখোঁজ হন।

স্থানীয়দের ধারণা, কামাল নদীতে ডুবে গেছে। তার খোঁজ চলছে।

গোদাগাড়ীর ওসি কামরুল ইসলাম বলেন, কামাল হোসেন নামে এক জেলে নিখোঁজের খবর পেয়েছি। স্থানীয়রা নদীতে কামাল হোসেনের খোঁজ করছেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ১৮, ২০২১ ৮:৫৮ পূর্বাহ্ন
বগাজান বিল ও বামনখালী খালে অভিযান, জাল জব্দ
মৎস্য

নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার বগাজান বিল, বামনখালী খাল ও সূতি সাইডুলি নদীতে রোববার দিনব্যাপী এক অভিযান পরিচালনা করে ২ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকারের প্রায় ৮ হাজার মিটার অবৈধ জাল জব্দ করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত।

রোববার (১৭ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কেন্দুয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.রাজীব হোসেনের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এ অভিযানে কেন্দুয়া থানার পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আনিছুর রহমানসহ একদল পুলিশ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) অফিসের সাঁটমুদ্রাক্ষ‌রিক কাম ক‌ম্পিউটার অপা‌রেটর (সিও) রাজন চন্দ্র ভ্রাম্যমান আদালতকে সহযোগিতা করেন।

এ বিষয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রাজীব হোসেন বলেন, উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের জুড়াইল গ্রামের বগাজান বিল, বামনখালী খাল ও উপজেলার সূতি সাইডুলি নদীর বলাইশিমুল ইউনিয়নের বেজগাঁও থেকে নওপাড়া বাজার পর্যন্ত উন্মুক্ত জলাশয়ে অভিযান পরিচালনা করে প্রায় ২ লক্ষাধিক টাকা মুল্যের প্রায় ৮ হাজার মিটার অবৈধ জাল জব্দসহ অবৈধ বাঁধ উচ্ছেদ করা হয়েছে।

কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মইনউদ্দিন খন্দকার জানান, এর আগেও দুই দিন উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের জুড়াইল গ্রামের বামনখালী খাল এবং উপজেলার সূতি সাইডুলি নদীর এক অংশে অভিযান পরিচালনা করে কয়েক লক্ষাধিক টাকা মুল্যের ১৬ হাজার মিটার অবৈধ জাল জব্দসহ কয়েকটি অবৈধ বাঁধ অপসারণ করা হয়েছি। পরবর্তীতে আমরা উপজেলার নওপাড়া বাজার থেকে গোগ বাজার পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানান তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ১৭, ২০২১ ৩:০১ অপরাহ্ন
জেলের জালে ধরা পড়ল ২৫ কেজির বাগাড়
মৎস্য

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার যমুনায় জেলের জালে ধরা পড়ল ২৫ কেজি ওজনের একটি বাগাড়। মাছটি এক হাজার টাকা কেজিতে ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে।

শনিবার রাতে উপজেলার গাবসারার কালীপুরের মেঘনায় ইব্রাহীম মিয়ার জালে ওই মাছটি ধরা পড়ে।

রোববার সকালে গোবিন্দাসী মাছ বাজারের আড়তদার ইসমাইল হোসেন বাগাড়টি ২৩ হাজার টাকা দরে ক্রয় করেন। পরে গোবিন্দাসী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল লতিফ তালুকদারের নেতৃত্বে কয়েকজন মিলে মাছটি আড়তদারের কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা দিয়ে ক্রয় করে বণ্টন করে নেন।

আব্দুল লতিফ তালুকদার জানান, অনেক দিন পর যমুনায় এত বড় বাগাড় মাছ ধরা পড়েছে। তাই লোভ সামলাতে না পেরে কিনে সবাই ভাগ করে নিলাম।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ১৬, ২০২১ ৩:০৭ অপরাহ্ন
একই জমিতে ধান-মাছের চাষ, লাভ হচ্ছে কয়েক গুণ বেশি!
কৃষি বিভাগ

ইতোমধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া অন্যতম মৎস্য উৎপাদন খ্যাত হিসেবে ব্যাপক পরিচিত লাভ করেছে। এ উপজেলার বেশিরভাগ মানুষই অর্থনীতি উন্নয়নে মাছ চাষ করে এক অগ্রণী ভূমিকা রাখছেন। কম পরিশ্রমে বেশি লাভ হওয়ায় স্থানীয় কৃষকরা বিল, পুকুর, জলাশয় ও ফসলি জমিতে বাঁধ দিয়ে তারা মৎস্য চাষ করছেন। পাশাপশি নিচু এলাকার এক ফসলি ধান জমিতে করছেন বাঁধ দিয়ে মাছ চাষও।

স্থানীয় মৎস্য চাষি ও কৃষকরা এ পদ্ধতিতে মাছ ও ধান চাষ করে এলাকায় এক নীরব বিল্পব ঘটিয়েছে। সমন্বিত এ চাষে বর্তমানে স্থানীয় চাষিরা ব্যস্ত সময় পার করছেন।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তারা জানান, এ উপজেলায় বৎসরে উৎপাদিত হচ্ছে ৪ হাজার ৭২০ মেট্রিক টন মাছ। এখানে মাছের চাহিদা রয়েছে ৩ হাজার ৫৭৫ মেট্রিক টন। উদ্ধৃত থাকছে ১ হাজার ১৪৫ মেট্রিক টন। যা স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে ঢাকা, চট্রগ্রাম, সিলেটসহ দেশের বাইরে সরবরাহ করা হয়।

জানা যায়, পৌর শহরসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার নিচু জমিগুলোতে প্রতি বছর এক ফসলি ধান চাষ করা হয়। বর্ষার সময় ওইসব জমিতে অন্তত ৫-৬ মাস পানি থাকে। ধান কাটার পর ওইসব জমিগুলো প্রায় ৭ মাসের বেশি সময় খালি পড়ে থাকে। তখন নিচু জমিগুলোতে বাঁধ দিয়ে বা প্রজেক্ট তৈরি করে বাণিজ্যিকভাবে মৎস্য চাষ শুরু করছে স্থানীয় কৃষকরা। চাষকৃত মাছের মধ্যে রয়েছে রুই, কাতল, মৃগেল, তেলাপিয়া,পাঙাশ, স্বরপুটি, কার্ফ, গ্রাসকাপ, বোয়ালসহ নানা প্রজাতির মাছ। দিনের পর দিন বাড়ছে চাষের পরিধিও।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহানা বেগম জানান, কৃষি ও মৎস্য উৎপাদনে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। একই জমিতে ধান ও মাছ চাষে জমি উর্বর থাকে। ফলনও ভালো হয়। তবে বেশি ভাগ মৎস্য চাষি রয়েছেন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। ধান ও মাছ উৎপাদনে কোনো সমস্যায় চাষিরা আমাদের কাছে আসলে আমরা সার্বিক সহযোগিতা করে থাকি।

মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম জানান, এ উপজেলায় অনেক মৎস্য চাষি একই জমিতে দুই চাষ করে বেশ চমক সৃষ্টি করেছেন। একই জমিতে পৃথক দু’চাষে জমি উর্বর থাকে। যা ফসলের জন্য খুবই উপকারী। মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিতে চাষিদের সব সময় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ১৬, ২০২১ ৮:০১ পূর্বাহ্ন
বড়শিতে ধরা পড়ল ১০ কোটি বছরের আগের মাছ
মৎস্য

‘জীবন্ত জীবাশ্ম’ হিসেবে পরিচিত এলিগেটর গার নামের মাছের প্রজাতি পৃথিবীতে ছিল ১০ কোটি বছর আগে। গত কয়েকশ বছরের মধ্যে এই প্রজাতির একাধিক দেশে এই মাছ ধরাও পড়েছে। তবে তা খুবই বিরল ঘটনা। এবার যুক্তরাষ্ট্রের কানসাস অঙ্গরাজ্যের নিওশো নদীতেও পাওয়া গেল বিরল প্রজাতির মাছ।

যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ইউপিআইর এক প্রতিবেদন মতে, মৎস্যশিকারি ড্যানি লি স্মিথ বড়শি দিয়ে মাছ ধরতে পছন্দ করেন। যুক্তরাষ্ট্রের কানসাস অঙ্গরাজ্যের নিওশো নদীতে গত ২০ সেপ্টেম্বর মাছ ধরতে গিয়েছিলেন তিনি। বড়শিতে উঠে আসে বড়সড় একটি মাছ। ডাঙ্গায় তোলার পর দেখা যায় সেটি ‘এলিগেটর গার’ প্রজাতির মাছ। কানসাস নদীতে এ প্রজাতির মাছ এর আগে পাওয়া যায়নি।

ইউপিআই জানায়, এলিগেটর গার ‘জীবন্ত জীবাশ্ম’ নামে পরিচিত। পৃথিবীতে এমন অনেক প্রাণী আছে, যেগুলো সুদূর অতীতে জন্ম নিয়ে এখনো পরিবর্তন ছাড়াই টিকে রয়েছে। কিন্তু সেটির সমসাময়িক প্রাণীরা ইতিমধ্যে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এমন প্রাণীকে ‘জীবন্ত জীবাশ্ম’ বলা হয়। ইতিমধ্যে এলিগেটর গার যেসব ফসিল খুঁজে পাওয়া গেছে, সেগুলো প্রায় ১০ কোটি বছর আগের বলে ধারণা বিজ্ঞানীদের।

ড্যানি লি যে এলিগেটর গার মাছটি ধরেছেন, সেটি সাড়ে চার ফুট দীর্ঘ। ওজন প্রায় ১৮ কেজি। কানসাসের জলাধারে অনেক ধরনের গার রয়েছে বলে জানান ড্যানি লি। তিনি বলেন, এর কোনোটি লম্বা নাকের, কোনোটির নাক বোঁচা। আবার কোনোটির শরীরে ছোপ ছোপ দাগ রয়েছে। তবে এখানকার নদীতে এলিগেটর গার নেই। এবারই প্রথম কানসাসের নদীতে এ মাছ পাওয়া গেল।

এ বিষয়ে ড্যানি লি বলেন, ‘পানি থেকে মাছটি তোলার পর আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। গার প্রজাতির মাছ সাধারণত জালে কিংবা বড়শিতে আটকা পড়লে লাফঝাঁপ দেয়। কিন্তু এটার আচরণ ছিল একেবারেই শান্ত। এটা আমার জীবনের অন্যতম সেরা একটি অভিজ্ঞতা।’

ডিপার্টমেন্ট অব ওয়াইল্ডলাইফ অ্যান্ড পার্ক কানসাসে ২৬ বছর ধরে কর্মরত রয়েছেন সিয়েন ল্যানট। বর্তমানে আঞ্চলিক মৎস্য কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। সিয়েন বলেন, ‘আমরা সত্যিই জানি না এই প্রজাতির মাছ কানসাসের জলাধারে কীভাবে এসেছে।’

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ১৫, ২০২১ ১০:৪১ পূর্বাহ্ন
মাছ শিকারের অবৈধ বাঁধ-জাল ধ্বংস
মৎস্য

ফরিদপুরে কুমার নদে অবৈধভাবে আড়াআড়ি বাঁশের বাঁধ দিয়ে মাছ শিকারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে অভিযান চালিয়ে বাঁধটি অপসারণ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বৃহস্পতিবার সকালে ভাঙ্গা উপজেলার চুমুরদী ও ঘারুয়া ইউনিয়নের চৌকিঘাটা সংলগ্ন কুমার নদে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিম উদ্দিনের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়। এসময় বিভিন্ন ধরনের জালও নদ থেকে অপসারণ করে পরে সেগুলো ধ্বংস করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা দেবলা চক্রবর্তীসহ অন্যরা।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিম উদ্দিন জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ কুমার নদে ও এর আশপাশে অবৈধভাবে বাঁশের বেড়া ও জাল দিয়ে মাছ শিকারের খবর পেয়ে বেশ কয়েকটি এলাকায় অভিযান চালানো হয় এবং বাঁধগুলো অপসারণের পাশাপাশি নিষিদ্ধ জাল জব্দ করে সেগুলো পুড়িয়ে ফেলা হয়। জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop