১০:৩২ অপরাহ্ন

রবিবার, ২২ ডিসেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে সার সংকট,হুমকিতে সরিষা আবাদ
ads
প্রকাশ : নভেম্বর ৭, ২০২১ ১২:০৩ অপরাহ্ন
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে সার সংকট,হুমকিতে সরিষা আবাদ
কৃষি বিভাগ

পরিবহন ধর্মঘটের প্রভাবে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায় ডিএপি ও এমওপি সারের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এছাড়া ইউরিয়া সারের সংকট দেখা দেওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে। ফলে চলতি মৌসুমে সরিষাসহ রবি ফসল আবাদে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করেছেন কৃষকরা। সার সংকটের সুযোগে কোনো কোনো সাব-ডিলার দ্বিগুণ দামে সার বিক্রি করছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে

কৃষি বিভাগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় সাড়ে নয় হাজার হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়েছে। ফুলকপি, বাঁধাকপি, আলুসহ শীতকালীন নানা প্রকার শাকসবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়েছে সাড়ে ১২শ হেক্টর জমিতে। এছাড়াও প্রায় পাঁচশ হেক্টর জমিতে গম আবাদেরও লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমানে সরিষা এবং শীতকালীন শাকসবজি আবাদের ভরা মৌসুম চলছে। এসব ফসল ও শাকসবজি আবাদের জন্য কৃষকরা জমিও প্রস্তুত করেছেন। কিন্তু তীব্র সার সংকটের কারণে সরিষা ও সবজির আবাদ বিঘ্নিত হচ্ছে।

সূত্র আরও জানায়, এ উপজেলায় ১৫ জন সারের ডিলার রয়েছেন। এদের চলতি মাসে টাঙ্গাইল থেকে ১৪০ বস্তা করে এমওপি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মাত্র দুই জন ডিলার বরাদ্দকৃত সার উত্তোলন করতে সক্ষম হয়েছেন। গুদামের এক কর্মকর্তার আত্মীয়ের মৃত্যু হওয়ায় গুদামটি বন্ধ ছিল। এতে গত বৃহস্পতি ও  শুক্রবার কোনো ডিলার তাদের বরাদ্দকৃত সার উত্তোলন করতে পারেননি।

এছাড়া প্রতি ডিলার ১৩ মেট্রিক টন করে ডিএপি সারের বরাদ্দ পেয়েছেন। যা নারায়ণগঞ্জের আমদানিকারকদের কাছ থেকে আনতে হবে। গতকাল এই ১৫ জনের একজন ডিলার বরাদ্দকৃত সার আনতে গিয়েছিলেন। কিন্তু জাহাজ বন্দরে ভিড়েনি বলে ওই ডিলারকে সংশ্লিষ্ট আমদানিকারক জানান। এছাড়াও বরাদ্দকৃত সারের মধ্যে ‘২০ বস্তা করে সার কম নিতে হবে’ বলে ওই আমদানিকারক তাকে জানিয়েছেন। অন্য ডিলাররাও হঠাৎ করে পরিবহন ধর্মঘট শুরু হওয়ায় সার আনতে পারছেন না।

এ ব্যাপারে মির্জাপুর উপজেলা সার ডিলার সমিতির সভাপতি দেওয়ান রেফাজ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন জানান, অন্য বছরের তুলনায় বরাদ্দ কম দেওয়ায় এবং পরিবহন ধর্মঘটের কারণে সার সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। প্রত্যেক ডিলারই তাদের নামে বরাদ্দকৃত সারের টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে জমা করেছেন। কিন্তু পরিবহন সংকটের কারণে সার আনা সম্ভব হচ্ছে না।

সার না পেয়ে গত শুক্রবার ও গতকাল শনিবার শত শত কৃষককে এ ডিলার থেকে ও ডিলারের ঘরে ছুটাছুটি করতে দেখা গেছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মশিউর রহমান সার সংকটের কথা স্বীকার করে বলেন, জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে যাতে দ্রুত সার সংকট নিরসন করা যায় তার জোর প্রচেষ্টা চলছে।

মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান বলেন, সার সংকট নিরসনে কাজ করা হচ্ছে।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop