১২:২৮ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • দাকোপে দেশীয় বীজ সংরক্ষণ ও জৈব কৃষি প্রকল্পের ফলাফল জ্ঞাতকরণ সভা
ads
প্রকাশ : মার্চ ২৫, ২০২১ ৩:৫৬ অপরাহ্ন
দাকোপে দেশীয় বীজ সংরক্ষণ ও জৈব কৃষি প্রকল্পের ফলাফল জ্ঞাতকরণ সভা
Uncategorized
দেশীয় বীজ সংরক্ষণ ও জৈব কৃষি

দাকোপে দেশীয় বীজ সংরক্ষণ ও জৈব কৃষি প্রকল্পের ফলাফল জ্ঞাতকরণ সভা

বাংলাদেশে জীবীকা নির্বাহের প্রধান অবলম্বন কৃষি হওয়ার কারণে বেশীর ভাগ তাদের জীবীকা নির্বাহের জন্য কৃষিখাতের উপর নির্ভরশীল। জনসংখ্যার দ্রুত বৃদ্ধি এবং আধুনিক প্রযুক্তি আবিষ্কারের ফলে, তারা তাদের চাষের কৌশল প্রচলিত পদ্ধতি থেকে প্রযুক্তিগত পদ্ধতিতে রূপান্তর করেছে। এখন তারা বিভিন্ন নতুন জাতের ফসল চাষ করছে। নতুন জাতের ফসল চাষ করার সাথে সাথে ভাল ফলনের জন্য তারা অজৈব সার এবং বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করছে যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। বীজ, সার ও রাসায়নিক কীটনাশকের জন্য কৃষকেরা কোম্পানীর উপর পুরোপুরি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। বাজারে হাইব্রীড বীজের চাপে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় বীজ, আর কৃষকের উৎপাদন খরচও বেড়েই চলেছে। হাইব্রীড বীজের ফসল উৎপাদনে ব্যবহৃত রাসায়নিক পদার্থ একদিকে যেমন মাটির গুণাগুন ও উর্বরতা নষ্ট করছে, অন্যদিকে মানুষের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটাচ্ছে। দেশীয় বীজ সংরক্ষণ করে পুণঃরায় দেশীয় বীজ ও জৈব কৃষির মাধ্যমেই এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব; বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্ট এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (বেডস্) ও জাপান এনভায়রনমেন্টাল এডুকেশান ফোরাম (জীফ)-এর আয়োজনে সুন্দরবন উপক‚লীয় এলাকায় স্থানীয় জাতের বীজ সংরক্ষণাগার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কৃষি ও প্রাণবৈচিত্র্য সংরক্ষণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এ প্রকল্পের আওতায় ১০৪০ জন কৃষককে ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দেশীয় বীজ ও জৈব কৃষির উপর শিক্ষা প্রদান করা হয়েছে। এখানে একটি জনগোষ্ঠীভিত্তিক বীজ সংরক্ষণাগার ও দেশীয় ফসলের নার্সারি করা হয়ে হয়েছে। এ সকল পণ্য বিক্রয়ের জন্য বাজারে একটি বিক্রয়ের স্থান করা হয়েছে যাতে তারা পণ্যের ন্যায্য মূল্য পেতে পায়। কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত জৈব পণ্য ঐ স্থানে বিক্রয় করে থাকেন। ইতিমধ্যে এ প্রকল্পের ২ বছর শেষের পথে, এ প্রকল্পের ফলাফল প্রকল্প সম্পৃক্ত ব্যক্তিবর্গের মাঝে উপস্থাপন করা হয়েছে।

দাকোপে দেশীয় বীজ সংরক্ষণ

গত ২৪ মার্চ, বুধবার খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলার বাণিশান্তা ইউনিয়নের ইউনিয়নে উত্তর বাণিশান্তা গ্রামে উল্লিখিত প্রকল্পের ফলাফল প্রকল্প সুবিধাভোগী ও সম্পৃক্ত জনগোষ্ঠীর মাঝে উপস্থাপন করা হয়। দেশীয় বীজ দিন দিন বিলুপ্তির পথে এবং রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহারের ফলে পরিবেশেরও ব্যপক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণের জন্য স্থানীয় জনগণকে দেশীয় বীজ ও জৈবিক কৃষিকাজের প্রতি উদ্বুদ্ধ করা হয়। কৃষকেরা এ সভায় বলেন যে, তারা নিজ উদ্যোগে দেশীয় বীজ সংরক্ষণ করা শুরু করবে। উল্লেখ্য যে, দাতা সংস্থা জাপান ট্রাস্ট ফর গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট (জেটিজিই)-এর সহায়তায় বেডস্ ও জীফ এর উদ্যোগে প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজিত হয়। এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার অংশগ্রহণ করেন ৫০ জন স্থানীয় কৃষক, বেডস্ এর পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন জনাবা এম. সাবরিন আহমেদ রতি, কপিল বিশ্বাস, জনাব রজত শুভ্র গাইন, এম. এ. খালেক ও প্রশান্ত দেব।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop