১:২১ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • ল্যাবের সহগবেষকদের সাথে হাওর ভ্রমণ
ads
প্রকাশ : জুলাই ২৯, ২০২৩ ১:৪৫ অপরাহ্ন
ল্যাবের সহগবেষকদের সাথে হাওর ভ্রমণ
ট্যুরিজম
হাওর ভ্রমণ করেছে বাকৃবির মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের একদল গবেষক

ছালেহা খাতুন রিপ্তা, নিজস্ব প্রতিনেদকঃ চারিদিকে যতদূর চোখ যায় বিস্তীর্ণ জলরাশি। খোলা আকাশের নিচে স্বচ্ছ পানিতে রোদের খেলা সেই সাথে মলয় বাতাস এ যেন রূপসী বাংলার চিরচেনা আবহ। জীববৈচিত্র্যে ভরপুর অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি কিশোরগঞ্জের নিকলী হাওর। বর্ষাকালে ২১৪ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই উপজেলার বেশিরভাগই পানিতে নিমজ্জিত থাকে। ভরা মৌসুমে এ হাওড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পাড়ি জমায় হাজার হাজার দর্শনার্থী।

নিকলী হাওর, কিশোরগঞ্জ
নিকলী হাওর, কিশোরগঞ্জ

গতকাল শুক্রবার কিশোরগঞ্জের নিকলী হাওর ভ্রমণ করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের একদল শিক্ষার্থী। মাস্টার্স এবং পিএইচডি শিক্ষার্থীদের সাথে উক্ত বিভাগের সিনিয়র শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো: রফিকুল ইসলামের সপরিবারে উপস্থিতি এই ভ্রমণকে আরও প্রাণবন্ত করে৷

সপরিবারে অধ্যাপক ড. মো: রফিকুল ইসলাম
সপরিবারে অধ্যাপক ড. মো: রফিকুল ইসলাম

সেসময় শিক্ষার্থীরা হাওর অঞ্চলের পানি এবং উক্ত এলাকার মাটির গুণাগুণ পর্যবেক্ষণ, বোর ধানের ফলন সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ এবং হাওর অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা সরাসরি অবলোকনের সুযোগ লাভ করে।

সকাল ৭:৩০ টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গন থেকে সফর শুরু করে গবেষকদল। পথিমধ্যে গাইটাল বাজারে সকালের নাস্তা শেষে আবার শুরু হয় যাত্রা। সকাল ১১:৩০ টায় নিকলী বেড়িবাঁধ থেকে ইঞ্জিন চালিত বোটে শুরু হয় হাওরভ্রমণ। চারিদিকে অথৈ জলরাশি, মাঝিদের মাছ ধরার দৃশ্য, হাওরের মাঝে জেগে ওঠা চরে ছোট ছোট গ্রাম, জলাবন ইত্যাদি দেখতে দেখতে প্রকৃতির মাঝে নিজেকে হারিয়ে ফেলা। মিঠামইন পৌঁছে নামাজের বিরতি শেষে হাওরের বুক চিরে গড়ে তোলা মিঠামইন – অষ্টগ্রাম সড়কে কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে পরিদর্শন করা হয় বাংলাদেশের সাবেক মহামান্য রাষ্ট্রপতি জনাব মো: আব্দুল হামিদের বসত ভিটা। পাশেই অবস্থিত হাওর রেস্টুরেন্টে নিকলী হাওরের সুস্বাদু মাছ দিয়ে দুপুরের ভূরিভোজ শেষে পড়ন্ত বিকেলে হাওরের সোনালী সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে বাড়িফেরা। সবমিলিয়ে মনমুগ্ধকর অভিজ্ঞতা।

বাকৃবির মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের গবেষকদল
বাকৃবির মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের গবেষকদল

উল্লেখ্য যে, প্রফেসর ড. মো: রফিকুল ইসলাম মুখ্য গবেষক হিসাবে জাপান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (Jica)’র সাথে সমন্বিতভাবে আর্সেনিকসহ অন্যান্য ভারী ধাতু প্রতিরোধী ধানের যাত উন্নয়ন এবং পরিকল্পিত সেচের পানি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ধানের উচ্চ ফলন নিশ্চিত করনের উপর বিশদ গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। গবেষণার ফাঁকে এহেন বিনোদনের ব্যবস্থা গবেষকদের কাজের উদ্দীপনাকে বহুগুণে বৃদ্ধি করে বলে তিনি মনে করেন।

আরও পড়ুন, বাকৃবি’র গবেষণা অগ্রগতি শীর্ষক বার্ষিক কর্মশালা শুরু

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop