৯:২১ অপরাহ্ন

রবিবার, ২২ ডিসেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • সারোয়াতলীতে সাপ আতঙ্কে ঘুমাতে পারেন না বাসিন্দারা
ads
প্রকাশ : ডিসেম্বর ১০, ২০২১ ৪:০৬ অপরাহ্ন
সারোয়াতলীতে সাপ আতঙ্কে ঘুমাতে পারেন না বাসিন্দারা
প্রাণ ও প্রকৃতি

চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার সারোয়াতলী গ্রামের মানুষ এখন সাপ আতঙ্কে ভুগছে। গ্রামবাসীদের দাবি প্রায় সর্বত্র সাপ আর সাপ। যেদিকে যাবেন সেদিকেই সাপ। ঘরের মধ্যে, বিছানায়, পুকুর, রাস্তাঘাট-কোথায় নেই। বাইক চালিয়ে বাসায় যাই। যখন তখন বাইকের সামনে পড়ে নানা ধরণের সাপ।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, গত দু মাস ধরে এ সমস্যা প্রকট হয়ে উঠেছে। সাপের ভয়ে পা ফেলাই আতঙ্কের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাপের কামড় খেয়ে অনেকে হাসপাতালে আছে।

প্রতি বন্যার সময় অর্থাৎ মে, জুন এবং জুলাই পর্যন্ত এই তিন মাস সাপের দংশন এবং তার কারণে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। কিন্তু বোয়ালখালীতে শীতের এই সময়ে সাপের উপদ্রবের কারণ একটু ভিন্ন।

গ্রামটিতে একটি প্রাচীন খাল ছিলো। সেই খালটি এক বছর ধরে সংস্কারের কাজ চলছে। যে কারণে খালের দু’পাশে দীর্ঘকাল ধরে গড়ে ওঠা ঝোপঝাড় পরিষ্কার করা হয়েছে। মূলত এরপর থেকে অসংখ্য সাপ বেরিয়ে এসেছে। প্রথমে জমি পুকুরে দেখা যেত সাপ পর সাপ। এখন ঘর কিংবা বসতবাড়িতে উঠে আসছে। চলার পথেই অনেক সময় শব্দ শোনা যায় আবার সামনেও পড়ে নানা ধরনের সাপ। সাপ থেকে রক্ষা পেতে অনেকে ঘর বাড়ির জানালা বা অন্য ফাঁকা জায়গাগুলোতে নেট লাগালেও নানা পথে সাপ ঢুকে পড়ছে ঘরের মধ্যে।

গ্রামের অনেক কৃষক ক্ষেতের আইলে কাজ করার সময় হঠাৎ পেছন থেকে সাপে কামড় দেয়। কিসে কামড় দিয়েছে কৃষকরা কিছু বুঝতে পারিনি। পরে হাসপাতালে নেয়ার পর ডাক্তার বললো বিষধর সাপে কামড় দিয়েছে।

বোয়ালখালী উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলম বলেন, গ্রামে একটি প্রাচীন খাল ছিল। কৃষি জমিতে সেচের পানি সরবরাহ ঠিক রাখতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (বিএডিসি) এ খাল খনন করছে। আমরা কর্তৃপক্ষকে বলেছি আপাতত খাল খনন কাজ বন্ধ রাখতে। কয়েক মাস আগে তাদের গ্রামের লাগোয়া রায়খালী খালপাড়ের জঙ্গল কেটে ফেলা হয়। এরপর থেকে বিভিন্ন প্রজাতির সাপ কৃষি জমিতে, উঠানে, রাস্তায় এবং বাড়িঘরে ঢুকে পড়ছে। চারদিকে সাপ আতঙ্ক বিরাজ করছে।

অবশ্য আগের তুলনায় এখন কিছুটা কমে এসেছে। আমরা ব্যাপারটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। সাপের থাকার জায়গা নষ্ট করে দেয়া হয়েছে বলেই সাপ ছড়িয়ে পড়েছে। আমরা তিনজনকে পেয়েছি যাদের একজন বিষধর সাপের কামড় খেয়েছেন বলে জানানো হয়েছে।

সাপ বিশেষজ্ঞ ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ভেনোম রিসার্চ সেন্টারের বোরহান বিশ্বাস রমন বলছেন, এলাকাবাসীর ধারণাই ঠিক। সেখানে আসলেই সাপের থাকার জায়গা নষ্ট করে দেয়া হয়েছে বলেই সাপ ছড়িয়ে পড়েছে। তবে আতঙ্কের কারণে অনেকে সাপ মারছেন যা মোটেও ঠিক হচ্ছে না। এ সময় এতো সাপ বাইরে থাকার কথা নয়। বাইরে আসছে কারণ তাদের থাকার জায়গা ধ্বংস হয়েছে। এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া উচিত।

অনেক প্রাচীন ঝোপঝাড় উচ্ছেদ করায় সাপের বসত নষ্ট হয়েছে এ কারণেই প্রতিনিয়ত অসংখ্য সাপ লোকালয়ে সামনে চলে আসছে। সাধারণত শীতের সময় সাপের উপদ্রব কম থাকে বলে এলাকাবাসী আশা করছিলো শীত আসতে আসতে সাপের উপদ্রব কমবে। কিন্তু সেটি না হওয়ায় রীতিমত বিস্মিত এলাকার মানুষ।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop