আজ আন্তর্জাতিক শকুন সচেতনতা দিবস
প্রাণ ও প্রকৃতি
আজ ৩ সেপ্টেম্বর শনিবার আন্তর্জাতিক শকুন সচেতনতা দিবস। বাংলাদেশের বন বিভাগ ও ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব ন্যাচারের (আইইউসিএন) জরিপ অনুযায়ী, ১৯৯০ সালে বাংলাদেশে ১০ লাখ শকুন ছিল। কিন্তু মাত্র তিন যুগের ব্যবধানে ৯৯ দশমিক ৯৯ ভাগ কমে গেছে। বাংলাদেশে এখন মাত্র ২৬০টি শকুন বেঁচে আছে। এর মধ্যে ১২০টির মতো আছে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার রেমা-কালেঙ্গা বনাঞ্চলে।
সারা বিশ্বে শকুনকে বিলুপ্তির হাত থেকে বাঁচাতে প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম শনিবার আন্তর্জাতিক শকুন সচেতনতা দিবস পালিত হয়ে থাকে।
গ্রামগঞ্জে এক সময় গরু, মহিষসহ গবাদিপশুর মৃতদেহ যেখানেই ফেলা হতো, দেখা যেত কিছুক্ষণের মধ্যেই আকাশে উড়ছে শকুনের পাল। কিভাবে তারা খবর পেত তা নিয়ে রহস্যের অন্ত নেই। দ্রুতগতিতে তারা মৃত গবাধি পশুর মাংস খেয়ে সাবাড় করে দিত। শকুন প্রকৃতি থেকে মৃতদেহ সরানোর কাজ করে রোগব্যাধিমুক্ত পরিবেশ সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও এখন এই প্রাণী মানবসৃষ্ট কারণে বিলুপ্তের পথে। বিশেষ করে বাংলাদেশের পরিচিত বাংলা শকুন এখন মহাবিপন্ন প্রাণী।
১৯৯০ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ৯৯ শতাংশ শকুন বিলুপ্ত হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে প্রকৃতি সংরক্ষণবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর জোট আইইউসিএন। তবে গত ১০ বছরে শকুন রক্ষায় সরকারের বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত এবং আইইউসিএনের নানা উদ্যোগে সেই পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে গেছে।
সারা বিশ্বে প্রায় ১৮ প্রজাতির শকুন দেখা যায়। বাংলাদেশে প্রায় ছয় প্রজাতির শকুন রয়েছে। চার প্রজাতি স্থায়ী আর দুই প্রজাতি পরিযায়ী। এগুলো হলো—রাজ শকুন, গ্রিফন শকুন বা ইউরেশীয় শকুন, হিমালয়ী শকুন, সরুঠোঁট শকুন, কালা শকুন ও ধলা শকুন। সব প্রজাতির শকুনই সারা বিশ্বে বিপন্ন। স্থায়ী প্রজাতির মধ্যে রাজ শকুন অতি বিপন্ন।