আন্তর্জাতিক ও খ্যাতিমান শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. এ.কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া বাকৃবির ভাইস-চ্যান্সেলর নিযুক্ত
ক্যাম্পাস
দীন মোহাম্মদ দীনুঃ মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন শিক্ষাবিদ পশু পালন বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ড. এ.কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া-কে ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর হিসেবে আগামী ৪(চার) বছরের জন্য নিয়োগ দান করেছেন । প্রফেসর ড. এ.কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েট এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬তম ভাইস-চ্যান্সেলর। তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পশু পালন অনুষদের পশু প্রজনন ও কৌলিবিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষক হিসাবে কর্মরত রয়েছেন।
প্রফেসর ড. এ.কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া গাজীপুর জেলার সদর উপজেলার পূবাইলের বড় কয়ের গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতা বিশিষ্ট সমাজসেবী আলহাজ¦ মোঃ আবদুল গাফ্ফার ভূঁইয়া ও মাতা ছোলেমা খাতুন।
শিক্ষা জীবনে কৃতিত্বের অধিকারী প্রফেসর ড. এ.কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া ১৯৮১ সনে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পশু পালন অনুষদ থেকে কৃতিত্বের সাথে বিএসসি এএইচ অনার্সে ফাস্ট ক্লাস ফাস্ট এবং ১৯৮৩ সালে কৃতিত্বের সাথে এমএসসি এইচ এনিম্যাল ব্রিডিং-এ ফাস্ট ক্লাস ফাস্ট ডিগ্রী লাভ করেন। পরবর্তীতে ১৯৮৯ সালে যুক্তরাজ্যের দ্যা ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে সম্মানের সাথে পশু প্রজনন বিষয়ে পিএইচ.ডি ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়াও তিনি পোস্ট ডক্টরাল ও ভিজিটিং সায়েন্টিস্ট হিসাবে জাপান, জার্মানী ও যুক্তরাষ্ট্রে কৃতিত্বের সাথে কাজ করেছেন। তিনি ২০১৬ এবং ২০১৯ সালে জার্মানীর হোয়েন হেইম বিশ^বিদ্যালয়ে এডজাঙ্ক প্রফেসর হিসাবেও সম্মানের সাথে কাজ করেছেন।
প্রফেসর ড. এ.কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া ১৯৮৩ সনে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পশু প্রজনন ও কৌলিবিজ্ঞান বিভাগে লেকচারার হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে ১৯৮৬ সনে সহকারী প্রফেসর, ১৯৯২ সনে সহযোগী প্রফেসর ও ১৯৯৭ সনে প্রফেসর পদে উন্নীত হন।
বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের অধিকারী প্রফেসর ড. এ.কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া পশু পালন অনুষদের ডিন, পশু প্রজনন ও কৌলিবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান, বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেকশন কমিটির বিশেষজ্ঞ সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা কাজের পাশাপাশি বিভিন্ন কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।
এছাড়াও তিনি প্রায় শতাধীক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, ওর্য়াকশপ ও কনফারেন্সে যোগদান করে গবেষণালব্ধ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন এবং বিভিন্ন টেকনিক্যাল সেশনে চেয়ারপারসনের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি গবেষণা ও শিক্ষা সংক্রান্ত কাজে পৃথিবীর বহু দেশ ভ্রমণ করেছেন। তাঁর প্রকাশিত বই এর সংখ্যা ৭টি, কীনোট এবং প্রসিডিং পাবলিকেশন্সের সংখ্যা ৬৭টি এবং তাঁর ১৮৬টি গবেষণামূলক প্রবন্ধ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জার্ণালে প্রকাশিত হয়েছে। তিনি ইতোমধ্যে বাংলাদেশে রেড চিটাগাং ক্যাটল জাতের উদ্ভাবক এবং বাংলাদেশ রেড চিটাগাং ক্যাটল ব্রিডিং এসোসিয়েশনের সভাপতি।
তিনি ৮ জন পিএইচ.ডি ছাত্র-ছাত্রীর গবেষণার প্রধান সুপারভাইজার এবং ১২ জন পিএইচ.ডি ছাত্র-ছাত্রীর গবেষণার কো-সুপারভাইজার হিসাবে নিয়োজিত ছিলেন। এছাড়াও তিনি ৬০ জন এম.এস শিক্ষার্থীর গবেষণা তত্ত¡াবধান করেছেন। তিনি বিভিন্ন দেশী-বিদেশী গবেষণা প্রকল্পের প্রধান গবেষক হিসাবে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
একজন নিবেদিত প্রাণ শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. এ.কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির তিন বার নির্বাচিত সদস্য, এছাড়াও তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক সংগঠন বিনোদন সংঘ, সাহিত্য সংঘ, পদচিহ্নসহ বিভিন্ন সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ইউনিভার্সিটি টিচার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটির জ্যেষ্ঠতম সদস্য হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি হুমবোল্ড এসোসিয়েশন অব বাংরাদেশ, বাংলাদেশ বায়োটেকনোলজিক্যাল সোসাইটি, ব্রিটিশ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনশন অব বাংলাদেশ,বাংলাদেশ এনিম্যাল হাজব্যান্ড্রী এসোসিয়েশন,কমনওয়েলথ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশী-বিদেশী সংগঠনের আজীবন সদস্য হিসাবে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়াও তিনি বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পেশাজীবী এবং সামাজিক সংগঠনের কার্যক্রমের সাথে জড়িত রয়েছেন।
প্রফেসর ড. এ.কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত এবং এক কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের জনক।