উখিয়ায় আগাম তরমুজের চাষে সাফল্য পেয়েছে চাষীরা
কৃষি বিভাগ
কক্সবাজারের উখিয়ায় বাণিজ্যিকভাবে উন্নত জাতের আগাম তরমুজ চাষ করে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে। বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় আর্থিকভাবে লাভবান হয়ে মুখে হাসি ফুটেছে চাষীদের।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে , উখিয়ার ৫ টি ইউনিয়নে চলতি রবি মৌসুমে ৬০ একর জমিতে তরমুজ চাষের আবাদ হয়েছে । যা গত বছরের লক্ষ্য মাত্রা ১০ একর বেশী।
সরজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, উপজেলার জালিয়া পালং ইউনিয়নের মাদারবুনিয়া, ছেপট খালী, ছোয়াংখালী মনখালী, ইনানী ও রাজা পালং ইউনিয়নের কুতুপালং হাংগর গোনা, দরগাহ বিল, ডিগলিয়া পালং সহ হলদিয়া পালং, রত্না পালং ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় তরমুজ চাষের আবাদ হয়েছে।
উপজেলা উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নিউটন চৌধুরী জানান, স্হানীয় চাষীরা উন্নত জাতের হাইব্রিড বীজ দিয়ে তরমুজের চাষ করেছে।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোস্তাক আহমদের মতে , আগাম চাষ করে অধিক লাভবান হওয়ায় স্হানীয় চাষীরা তরমুজ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে।
কোটবাজার বীজ ভান্ডারের মালিক সুজিত চৌধুরী বলেন, চীন, অস্ট্রেলিয়া ও থাইল্যান্ডের উৎপাদিত হাইব্রিড জাতের তরমুজ বীজের চাহিদা বেশী। এ সব বীজ সংগ্রহ করে বোপন করেছে চাষীরা।
মাদারবুনিয়া ও ছেপট খালী এলাকার চাষী আবদুল কাদের মুফিজুর রহমান বলেন, আবহাওয়ার পরিবেশ অনুকূল থাকায় এবারে ভালো তরমুজ উৎপাদন হয়েছে । বিশেষ করে আগাম চাষ করে বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় বেশ লাভবান হয়েছে চাষীরা।
মাদার বুনিয়া এলাকার চাষী আবদুল খালেক জানান, মৌসুমের শুরুতে তরমুজের বেশ চাহিদা রয়েছে। বাজারে প্রতিটি তরমুজ ৪ শত টাকার উপরে বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রসেনজিৎ তালুকদার জানান, তরমুজ চাষে জমি তৈরী , উন্নত জাতের বীজ সংগ্রহ, রোপণ পদ্ধতি পরিচর্যা , প্রযুক্তি ব্যবহার ও ফলন উৎপাদন সম্পর্কে স্থানীয় সাথীদেরকে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।