এসিআই এনিমেল জেনেটিক্স`র “Gift Handover Ceremony” অনুষ্ঠিত
প্রাণিসম্পদ
“বদলে যাবে সারাদেশ , দুধে মাংসে বাংলাদেশ” এই স্লোগানকে সামনে রেখে ও মাঠ পর্যায়ে প্রয়োজন অনুযায়ী আগামীতে গবাদী পশুর আধুনিক প্রজনন কার্যক্রম আরও সম্প্রসারিত করার লক্ষ্যে এসিআই এনিমেল জেনেটিক্স বিদেশ থেকে বিভিন্ন উন্নত জাতের ষাঁড় আমদানি করাসহ নতুন নতুন প্রযুক্তি খামারিদের মাঝে হস্তান্তর করবে।
এরই ধারাবাহিকতায় ঢাকার পুলিশ প্লাজায় বছরের বেস্ট ডিসবিউটার এওয়ার্ড হিসাবে এসিআই এনিমেল জেনেটিক্স এর “Gift Handover Ceremony” প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডঃ ফা হ আনসারি ( এমডি এন্ড সিইও, এসিআই এগ্রিবিজনেস ) ,মোহাঃ শাহিন শাহ ( ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর, এসিআই এনিম্যাল হেলথ),ডাঃ অরবিন্দ কুমার শাহা ( চিফ এডভাইজার, এসিআই এনিমেল জেনেটিক্স ) ,ডাঃ হিরেস রঞ্জন ভৌমিক ( চিফ এডভাইজার, এসিআই এনিমেল হেলথ ) ,ডাঃ এম এ সালেক ( চিফ টেকনিক্যাল এডভাইজার, এসিআই এনিমেল হেলথ) প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সময়ের সাথে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ। প্রযুক্তির হাত ধরে বিস্তৃত হচ্ছে কৃষি অর্থনীতি। শহর থেকে প্রান্তিক জনপদে সৃষ্টি হয়েছে অধিক উৎপাদনশীল গবাদি পশুর খামার। পরিবর্তনের সেই অগ্রযাত্রায় কৃষকের বিশ্বস্ত সহযাত্রী এসিআই এনিমেল জেনেটিকস্।
গাজীপুরের রাজাবাড়িতে বিস্তৃত পরিসরে গড়ে উঠেছে এসিআই-এর বিশেষায়িত জেনেটিক্স রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টার। যেখানে গরুর প্রজনন, জাত উন্নয়ন, দুধ ও মাংসের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি নিয়ে বৃদ্ধি নিয়ে চলছে গবেষণা ও প্রযুক্তি হস্তান্তর।
এছাড়া এসিআই-এর বিশেষায়িত জেনেটিক্স রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টারে রয়েছে দেশ-বিদেশ থেকে সংগৃহিত বিভিন্ন উন্নত জাতের ষাঁড়। কৃত্রিম প্রনজনের জন্য এসব ষাঁড় থেকে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সিমেন সংগ্রহ ও প্রসেজিং করা হয় যা এসিআই সিমেন নামে দেশব্যাপী পৌঁছে যাচ্ছে খামারির কাছে। এসিআই নিবিড় গবেষণার মাধ্যমে নিশ্চিত করেছে গাভীর উচ্চ গর্ভধারণ হার যা বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি।
মূলত, মাংস ও দুধ বৃদ্ধির মাধ্যমে খামারির মুখে হাসি ফুটানোই এসিআই-এর ব্রত। এখানকার কৃত্রিম প্রজননের প্রশিক্ষণ নিয়ে স্বাবলম্বী হচ্ছে গ্রাম বাংলার অসংখ্য বেকার যুবকরা, সম্পৃক্ত হচ্ছে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার মূল ধারার সাথে। ইতোমধ্যে এসিআই সিমেন ব্যবহার করে ভালো ফলাফল পাচ্ছে খামারিগণ এবং দারুণভাবে প্রশংসিত হচ্ছে বলে তারা উল্লেখ করেন।