কর্ণফুলী নদীর দূষণে বিলুপ্ত ৩৫ প্রজাতির মাছ
মৎস্য
অতিমাত্রায় দূষণে চট্টগ্রাম বন্দরের প্রাণ কর্ণফুলী নদী থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে ৩৫ প্রজাতির মাছ। ডলফিনসহ সংকটাপন্ন জলজ প্রাণী ও জীববৈচিত্র। গৃহস্থালি ও শিল্প-কারখানার রসায়নিক তরল ও কঠিন বর্জ্যকে দায়ী করা হয় দূষণের জন্য। দূষণকারী কিছু প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করে রুটিন দায়িত্ব পালন করে পরিবেশ অধিদপ্তর।
সংগ্রহ করা কর্ণফুলী নদীর দূষিত পানি নিয়ে গন্তব্যে পরিবেশ অধিদপ্তর। ল্যাবে এই পানি আর তাদের সংগ্রহ করা পানির মান পরীক্ষা করে বিওডি তথা জীব-রাসায়নিক অক্সিজেন পাওয়া যায় স্থান ভেদে প্রতি লিটারে ১৫ থেকে ২৫ মিলি গ্রাম পর্যন্ত। অথচ থাকার কথা ৬ মিলি গ্রামের নিচে।
নগরীর ৩৬টি খাল দিয়ে প্রতিদিন পড়ছে পাঁচ হাজার মেট্টিক টন গৃহস্থালির পয়োঃবর্জ্য। সে সাথে সাড়ে তিনশো শিল্প-কারখানার রসায়নিক তরল ও কঠিন বর্জ্যও যোগ হচ্ছে। ডুবন্ত তেলবাহী জাহাজের কালো তেল ও পলিথিনের স্তর দূষণ বাড়াচ্ছে বহুগুণে।
নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলনের সভাপতি চৌধুরী ফরিদ বলেন, শহরের ময়লা-আবর্জনা, কল-কারখানার বর্জ্যসহ বিভিন্নভাবে কর্ণফুলী নদীর পানি দূষিত হচ্ছে। এখন এমন অবস্থা হয়েছে যে, মাছসহ জলজ প্রাণীর জন্য এই নদীর পানি আরও উপযোগী নেই।
এক গবেষণা বলছে, অতিমাত্রায় দূষণের কারণে মলা, ঢেলা, কাচকিসহ বিলুপ্ত ৩৫ প্রজাতির মাছ। কিছু মাইগ্রেট করার পাশাপাশি হুমকিতে ২০ প্রজাতি। সংকটে অন্যান্য জীববৈচিত্র্যও।
জেলেরা জানান, আগে এখানে অনেক ধরনের মাছ পাওয়া গেলেও এখন তার অর্ধেক প্রজাতিই আর পাওয়া যায় না।
নদী গবেষক ইদ্রিস আলি বলেন, নদীর ওপর আমরা যেভাবে অত্যাচার করছি, তাতে করে ভবিষ্যতে আরও ভয়াবহ অবস্থা হবে।
ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব ন্যাচার অস্থিত্ব সংকটে থাকায় কর্ণফুলীর গাঙ্গেয় ডলফিন বা শুশুককে বিপন্ন হিসেবে লাল তালিকায় রেখেছে।