কিশোরগঞ্জে মাল্টা চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের
কৃষি বিভাগ
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলায় মাল্টা চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের মাঝে। লাভজনক হওয়ার কারণে দেশের অন্যান্য জেলার মতোই এ জেলার কৃষকরা দিন দিন মাল্টা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও সঠিক পরিচর্যার ফলে ফলনও হচ্ছে বেশ ভালো। চাষিরাও ভালো দাম পাচ্ছেন। তাই আগামীতে আরও বেশি জমিতে মাল্টা চাষের সম্ভাবনা রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে মাল্টা। আকারে বেশ বড়। মাঝে মধ্যে সবুজ পাতার ভিতর কমলা রং এর মাল্টা পেকে আছে। ফলনও হয়েছে আশানুরূপ। প্রতিদিন অনেকেই আসছেন মাল্টা বাগান দেখতে। কেউ বাগান থেকেই কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
মাল্টা চাষি সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বর্তমানে বাগানে ১২২ টি চারা আছে। মাল্টা চারা রোপনের পর এর সাথে বাগানো সাথী ফসল হিসাবে অন্য ফসলও চাষাবাদ করা হয়। সাথী ফসল হচ্ছে, কপি, পুইশাক, লাল শাক, ডাটা, মরিচ ইত্যাদি। সাথী ফসল থেকেই ৭০ হাজার টাকা আয় করেছি।
তিনি বলেন, মাল্টা বিক্রির জন্য বাজারে নিতে হয়না। বাগান থেকেই পাইকাররা এসে কিনে নিয়ে যায়। খুচরাও বিক্রি হচ্ছে বাড়িতেই। অনেকেই বাগান দেখতে এসে দুই এক কেজি করে কিনে নিয়ে যায়। প্রতি কেজি পাইকারি ১০০ টাকা থেকে ১২০ এবং খুচরা ১৫০ টাকা কমবেশি করে বিক্রি হয়।
কটিয়াদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুকশেদুল হক জানান, আমরা সাখওয়াতের বাগানে গিয়েছি এবং ভালো ফলন হয়েছে দেখতে পেয়েছি। সব সময়ই কৃষি অফিসের সাথে পরামর্শ করেই কাজ করছেন। আমরাও সবরকম সাপোর্ট ও সহায়তা করে যাচ্ছি। আগ্রহীরা কৃষি অফিসের সাথে যোগাযোগ করেই মাল্টা চাষ শুরু করতে পারবে।