কুড়িগ্রামে শৈত্যপ্রবাহে বোরো আবাদ ব্যাহতের আশঙ্কা
কৃষি বিভাগ
মাঘের শীতে কাবু হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের জনজীবন। বিগত ৩ দিন ধরে অঞ্চলটিতে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। এতে জনজীবনের দুর্ভোগ বাড়ার পাশাপাশি বোরো আবাদ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
রোববার (৩০ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় কুড়িগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস। কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি ও সিনপটিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিসুর রহমান জানান, রোববার (৩০ জানুয়ারি) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। শনিবারও (২৯ জানুয়ারি) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা একই ছিল।
তিনি আরও জানিয়েছেন, সকালে কুয়াশা পড়লেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের দেখা মিলেছে। কিন্তু উত্তরে হিমেল হাওয়ার কারণে ঠান্ডা বেশি অনুভূত হচ্ছে।
এ অবস্থায় সেচনির্ভর বোরো আবাদ নিয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন কৃষকরা। এ বিষয়ে সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের দোয়ালীপাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল জব্বার জানান, ঠান্ডার কারণে বোরো আবাদ পিছিয়ে পড়ার উপক্রম হয়েছে। এখনো তিন ভাগের এক ভাগ জমিতে বোরোর চার রোপণ করতে পারিনি। কনকনে ঠান্ডার কারণে পানির মধ্যে চারা রোপণ করতে চাচ্ছেন না মজুররা। আগে চারা রোপণে বিঘাপ্রতি ১ হাজার ২০০ টাকা থেকে দেড় হাজার টাকা মজুরদের দিতে হতো। এখন ২ হাজার টাকা চাইছে। তারপরও মজুর পাওয়া যাচ্ছে না।
শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাওয়ার সময়ে চারা রোপণের বিষয়ে সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন বলেন, শৈত্যপ্রবাহ চলাকালীন বোরোর চারা রোপণে কৃষকদের নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। কারণ শৈত্যপ্রবাহের সময় রোপণকৃত চারা ‘ট্রান্সপ্লান্ট শক’ সহ্য করতে পারবে না। এতে চারার স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হতে পারে।
এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ দফতরের উপপরিচালক মো. আব্দুর রশীদ জানান, ঠান্ডা বেশি হলেও কুয়াশা কম থাকার পাশাপাশি রোদ উঠেছে। ফলে বোরো বীজতলার কোনো ক্ষতি এখন পর্যন্ত হয়নি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ দফতরের তথ্য মতে, কুড়িগ্রামে এবার এক লাখ ১৫ হাজার ৫৫৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে এ পর্যন্ত ২৮ হাজার ১৪০ হেক্টরে বোরো চারা রোপণ সম্পন্ন হয়েছে।