খুলনা অঞ্চলে ভেনামি চিংড়ি চাষের অনুমতি
মৎস্য
হোয়াইট গোল্ড বা সাদা সোনা নামে পরিচিত ভেনামি চিংড়ি চাষে খুলনা অঞ্চলের ১২টি প্রতিষ্ঠানকে পরীক্ষামূলক ভেনামি প্রজাতির চিংড়ি চাষের অনুমতি দিয়েছে মৎস্য অধিদফতর। এর মধ্যে খুলনার ছয়টি, সাতক্ষীরার একটি ও যশোরের একটি প্রতিষ্ঠানকে চলতি বছর থেকেই ভেনামি চাষের জন্য বলা হয়েছে। বাকি চারটি প্রতিষ্ঠানকে অবকাঠামো সংস্কারের পর প্রতিবেদন দাখিলের পর ভেনামি চাষে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে কক্সবাজারের দুই প্রতিষ্ঠানকেও পরীক্ষামূলক ভেনামি চিংড়ি চাষের অনুমতি দেওয়া হয়।
ব্যবসায়ী ও রফতানিকারকরা বেশ কয়েক বছর ধরে বেশি লাভজনক ভেনামি জাতের চিংড়ি চাষ করার দাবি জানিয়ে আসছিল।দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি থাইল্যান্ড থেকে ভেনামি প্রজাতির চিংড়ির পোনা এনে খুলনা অঞ্চলের আটটি প্রতিষ্ঠানকে পরীক্ষামূলক চাষের অনুমতি দেয় মৎস্য অধিদপ্তর।
এদিকে ৯ মে এমইউসি ফুডস থাইল্যান্ড থেকে ১২ লাখ ভেনামি জাতের পোনা এনে পাইকগাছার লবণ পানি গবেষণা কেন্দ্রের পুকুরে চাষ শুরু করেছেন। অনুমতি পাওয়া প্রতিষ্ঠান হচ্ছে- খুলনার বটিয়াঘাটার ফাহিম সী ফুডস, পাইকগাছা গ্রোটেক একোয়াকালচার লিমিটেড, কয়রার আয়ান শ্রিম্প কালচার, ডুমুরিয়ার ইএফজি একোয়া ফার্মিং, বটিয়াঘাটার জেবিএস ফুড প্রডাক্টস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ও সাতক্ষীরা শ্যামনগরের রেডিয়েন্ট শ্রিম্প কালচার-১।
চিংড়ি ব্যবসায়িরা জানান, গলদা ও বাগদা চিংড়ির চাষ বছরে একবারের (চাষের সময় মারা গেলে দুবার) বেশি করা যায় না। আর ভেনামি চাষ করা যায় বছরে তিনবার। সাধারণ পুকুরে প্রতি হেক্টরে ৩০০-৪০০ কেজি বাগদা চিংড়ি উৎপাদন করা যায়। অন্যদিকে একই পরিমাণ জমিতে সাত-আট হাজার কেজি ভেনামি চিংড়ি উৎপাদন সম্ভব। ভারতে ভেনামি চিংড়ির পরীক্ষামূলক চাষ থেকে বাণিজ্যিক উৎপাদনে যেতে পাঁচ বছর সময় লেগেছিল। বাংলাদেশে তিন বছরের মধ্যে সম্ভব।
জানা গেছে, ভেনামি চিংড়ি প্রথম ১৯৭০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পরিচিতি পায়। ১৯৮০ সালের দিকে এই প্রজাতির বাণিজ্যিক চাষ শুরু হয়। এরপর থেকে চীন, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া এবং ভারতের মতো এশিয়ার অনেক দেশে ব্যাপকভিত্তিক চাষ শুরু হয়।