গাইবান্ধায় বোরো ধানে ব্লাস্ট রোগের আক্রমণ, দিশেহারা কৃষক
কৃষি বিভাগ
গাইবান্ধা জেলার একাধিক উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় উঠতি বোরো ধানের বেশ কিছু খেতে ব্যাপক আকারে ব্লাস্ট রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। ধান চিটা হয়ে যাওয়ায় ক্ষতির মুখে আনেক চাষি। কীটনাশক প্রয়োগেও সুফল মিলছে না বলে জানিয়েছেন তারা। এর ফলে ব্যাপক ফসলহানির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
মাত্র দু-তিন দিন সময়ের মধ্যে শীর্ষ বের হওয়া কাঁচা ধানগাছ হঠাৎ করে হলুদ বর্ণ ধারণ করে শুকিয়ে যাচ্ছে। কৃষি বিভাগ এটিকে ব্লাস্ট রোগ বলে চিহ্নিত করেছে। অসময়ে হঠাৎ এ রোগের আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা।
এবার চড়া দামে চারা, সার ও কীটনাশক কিনে ধানের চাষ করেছিল কৃষকরা। কিন্তু ঘরে তোলার আগেই স্বপ্নের ধানে ব্লাস্ট রোগের আক্রমণে দিশেহারা তারা। ফসল বাঁচাতে কীটনাশক ব্যবহার করেও কোনো প্রতিকার মিলছে না।
চাষীদের অভিযোগ, এব্যাপারে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বেলাল হোসেন বলেন, কৃষকদের ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধে নানা পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। নিয়ম মেনে ওষুধ প্রয়োগ করার পরামর্শও কৃষি বিভাগ দিয়েছে বলে জানান তিনি।
চলতি বছর গাইবান্ধা জেলায় ১ লাখ ২৮ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৫ লাখ ১৫ হাজার টন।