ঘনকুয়াশায় নষ্ট হচ্ছে বোরো ধানের বীজতলা
কৃষি বিভাগ
লালমনিরহাটে একটানা ঘনকুয়াশার কারণে, নষ্ট হচ্ছে বোরো ধানের বীজতলা। এরিমধ্যে অনেক চারা নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া বীজ, সার ও জ্বালানি তেলের দাম বেশি হওয়ায়, আর্থিক সংকটে পড়েছেন কৃষকরা। এতে চলতি মৌসুমে বোরোর আবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় তারা। এদিকে, মাগুরায় ইরি ও বোরো ধানের বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত কৃষকরা।
চলতি বোরো মৌসুমে লালমনিরহাট জেলায় ধানচাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৭ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে। এ লক্ষ্যে ২ হাজার ৩৯৫’ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। বীজতলা পরিচর্যার পাশাপাশি জমি প্রস্তুতের কাজ করছেন কৃষকরা।
তবে এবছর অতিরিক্ত মাত্রায় ঘনকুয়াশা ও বৈরী আবহাওয়ায় অন্তত ২৫ ভাগ বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। পাতা হলুদ হয়ে পচন ধরায়, দুর্বল হয়ে পড়েছে ধানের চারা। সেইসাথে বীজ, সার ও জ্বালানি তেলের দাম বেশি হওয়ায় আর্থিক সংকটে কৃষকরা। ফলে চলতি মৌসুমে বোরোর আবাদ নিয়ে উদ্বিগ্ন তারা।
ধানের চারা রক্ষায় কৃষকদের পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে রাখাসহ বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তারা।
এদিকে, মাগুরায় ইরি-বোরোর বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। ভালো ফলনের আশায় মানসম্মত চারা উৎপাদনে জোর দিচ্ছেন তারা। চলতি মৌসুমে জেলায় ২ হাজার ৬শ হেক্টর জমিতে বীজতলা বানানো হয়েছে। কুয়াশা থেকে বীজতলা রক্ষায় পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।
মাগুরায় এবছর ৪০ হাজার হেক্টর জমিতে রোবো চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা করা হয়েছে।