জমি না থাকলেও সেচ প্রকল্পে নাম!
কৃষি বিভাগ
কুড়িগ্রামের সরকারি সেচ প্রকল্পে বিএডিসি (বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন) কর্মকর্তাদের অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কৃষকরা জানান, নিয়ম অনুযায়ী কৃষকদের দলগঠন করে সেচ দেয়ার কথা, কিন্তু দেয়া হচ্ছে ব্যক্তিকে। যাদের জমিও নেই এমন লোকরা পাচ্ছেন সেচ নেয়ার অনুমতি।
সেখানকার উলিপুরের বাসিন্দারা আরো অভিযোগ করেন, নানা কারণে সেচ নেয়ার যোগ্যতা হারিয়েছেন, এমন কৃষকদেরও সেচ নেয়ার তালিকাভুক্ত করছে বিএডিসি।
২০১৮ সালে সেচ লাইসেন্স নেন কুড়িগ্রামের উলিপুরের কিশোরপুর গ্রামের কৃষক সাইফুল ইসলাম। আর ২০১৯ সালে লাইসেন্স নম্বর দিয়ে সেচ লাইসেন্স নেন আঠারো পাইকা গ্রামের সাব মিয়া, নিয়ম অনুযায়ী যা হওয়ার কথা নয়।
কৃষকদের অভিযোগ, সেচ নেয়ার তালিকায় এমন কৃষকও আছেন যার জমিই নেই। অনেকে আবেদন করেও সেচ নেয়ার অনুমতি পাচ্ছেন না।
আবার কেউ কেউ দুই গ্রুপের অনুমতি সংগ্রহ করেছেন। অভিযোগ উঠেছে, এসব অনিয়ম করে অবৈধভাবে সেচের অনুমতি দিয়ে বহু টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বিএডিসির একটি চক্র। যারা অবৈধভাবে এই অনুমতি নেন তাদের অনেকেই এসব তথ্য স্বীকারও করেছেন। আর এনিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন খোদ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জানান, এই ধরনের অনিয়মের ফলে বহু কৃষক সরকারি সেচ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আর কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, অভিযোগগুলোর বিষয়ে তদন্ত চলছে।
বিএডিসির তথ্য অনুযায়ী, উপজেলায় চলতি বছর সেচ লাইসেন্সের জন্য আবেদন পড়েছে প্রায় তিনশ’র বেশি। এরমধ্যে ৭৬টিকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়।