জৈব বালাই নাশক ব্যবহারে অধিক পান উৎপাদন করছেন চাষিরা
কৃষি বিভাগ![](https://agriview24.com/wp-content/uploads/2021/06/Untitled-1.jpg)
কুষ্টিয়ার পান চাষিরা জৈব বালাই নাশক ব্যবহার করে ব্যাপক সাফল্য লাভ করছেন। আর এই পদ্ধতিতে পান চাষ করে অধিক পান উৎপাদন করাও সম্ভব। আর এতে করে দেশের চাহিদা পূরণ করে বিদেশেও রপ্তানি করা যাচ্ছে এই পান।
জানা যায়, কুষ্টিয়া জেলা বরাবরই পান চাষের জন্য প্রসিদ্ধ। বিশেষ করে জেলার সদর, দৌলতপুর ও ভেড়ামারা উপজেলায় ব্যাপক জমিতে এ অর্থকরী ফসলের আবাদ হয় বহু বছর ধরে। এ ফসলের রোগ বালাইও কম নয়। এতদিন চাষিরা প্রচলিত কীটনাশক ব্যবহার করে বালাই দমন করে আসছিল। এ পান অনেক সময় মানবদেহের জন্য ক্ষতির কারণ হযে দাঁড়াত। এর থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট (বারি) কুষ্টিয়া অফিস সরেজমিন গবেষণা বিভাগ জৈব বালাইনাশক পদ্ধতি উদ্ভাবন করে। এ পদ্ধতি ব্যবহার করে ভালো ফলন পাচ্ছেন পান চাষিরা। দেশের বাজারের পাশাপাশি বিদেশেও বিষমুক্ত এ পানের চাহিদা বেড়েছে।
বারি কুষ্টিয়া অফিসের সরেজমিন গবেষণা বিভাগের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. জাহান আল মাহমুদ জানান, পান বৃহত্তর কুষ্টিয়া তথা মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার অন্যতম একটি অর্থকারি ফসল। পান চাষের প্রধান সমস্যা কয়েকটি রোগ যেমন, কান্ড পচা, পাতায় কালো দাগ, লিফ ব্লাইট ইত্যাদি।
এছাড়া কিছু পোকা মাকড়েরও আক্রমণ হয়ে থাকে। কৃষক এসব দমনের জন্য বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক ও ছত্রাকনাশক ব্যাবহার করে থাকে। পান যেহেতু মানুষ সরাসরি খায় সেহেতু এ অবস্থায় খাওয়া শরীরের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। তারা ৩ বছর আগে নিরাপদ উপায়ে পান চাষের উপর গবেষণা কার্যক্রম হাতে নেন বলে জানান তিনি।
প্রকল্প পরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার জানান, দেশের চাহিদা মিটিয়ে এ অঞ্চলের পান দেশের বাইরেও যায়। তবে বালাই দমনে কীটনাশক ব্যবহারের কারণে অনেক সময় বিদেশিরা এখানকার পান নিতে অনীহা দেখাত। তবে বর্তমানে কীটনাশকের পরিবর্তে জৈব বালাই নাশক ব্যবহারের ফলে সেই জটিলতা কেটে গেছে। এখন বিদেশে এখানকার পানের চাহিদা বেড়েছে।