ডিমের সংকটে মুরগি পালনে ছুটছে নিউজিল্যান্ডের জনগন
পোলট্রি
ডিম একটি সুপারফুড । পুষ্টিগুনে যে কোন খাবারের চেয়ে ডিমের গুনাগুন বেশি । উন্নত বিশ্বের দেশগুলিতে মানুষের খাদ্য তালিকায় ডিমের ব্যবহার বেশি । ডিম গ্রহণে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দেশ হচ্ছে জাপান, বছরে জনপ্রতি ৩২০ টি ডিম খায় জাপানের মানুষ । মজার ব্যাপার হচ্ছে, সুস্বাস্থ্যের অধিকারী জাপানের মানুষের গড় আয়ু (৮৪.৬২ বছর) পৃথিবীর মাঝে সবচেয়ে বেশি । বার্ষিক ডিম গ্রহণে পিছিয়ে নেই নিউজিল্যান্ডের জনগনও, বছরে জনপ্রতি ২৩৭ টি করে ডিম খায় দেশটিতে, গড় আয়ুও কিন্তু ঈর্ষণীয় (৮২.৮ বছর)।
গত বছরে বিশ্বজুড়ে বেড়েছে ডিমের দাম, কোনো কোনো দেশে দাম রেকর্ড ছাড়িয়েছে। এর কারণ খুঁজতে বের করেছে সিএনএন । দেখেছে, বিভিন্ন সময়ে বার্ড ফ্লুতে প্রচুর মুরগি মারা যাওয়া এবং রাশিয়া-ইউক্রেইন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে নানা নিষেধাজ্ঞায় পশুখাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়াতে প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়েছে মুরগির ডিমের দামে ।
সিএনএন এর তথ্যমতে, নিউজিল্যান্ডে মুরগি পালনের নিয়মে কিছু পরিবর্তন আনায় ডিমের সরবরাহ কমেছে এবং ডিমের দামও বেড়েছে। সম্প্রতি নিউজিল্যান্ডে ডিমের সংকট এতটাই প্রকট হয়েছে যে ডিম না পেয়ে সাধারন মানুষ এখন ছুটছে মুরগি পালনে । আর এ জন্য দ্বিগুণ দাম দিয়ে হলেও অনলাইনে মুরগি কিনছেন তারা। দেশটির নিলাম ওয়েবসাইট ট্রেড মিতে গত মঙ্গলবার মুরগির বাচ্চা এবং পালনের সামগ্রীর চাহিদা আগের মাসের চেয়ে ১৯০ শতাংশ বেশি দেখা যায়। কোম্পানির মুখপাত্র মিলি সিলভাস্টর বলেন, “জানুয়ারির শুরু থেকে আমরা ৬৫ হাজারের বেশি মানুষ মুরগির বাচ্চা, আর মুরগির খাবারসহ এই সংক্রান্ত পণ্য চাইছেন।”
দেশটিতে পাইকারি ডিমের দাম গত চার মাসের তুলনায় ৫০ শতাংশ বেড়েছে, ডিম কেনার সামর্থ্য হারিয়েছেন অনেকেই যা সাধারণ মানুষকে ভাবাচ্ছে মুরগি পালনে ।
কাঁচামালের মূল্য বৃদ্ধির কারণে পোল্ট্রি ফিডের দাম বৃদ্ধি এবং ডিমের নায্যমূল্য না পাওয়ায় বাংলাদেশের পোল্ট্রি খামার দিনকে দিন কমে যাচ্ছে । যেভাবে খামার কমছে তাতে ডিমের চাহিদা মেটাতে অদূর ভবিষ্যতে নিউজল্যান্ডের মত আমাদের দেশের লোকজনকেও হয়ত ঘরে ঘরে মুরগি পালতে দেখা যেতে পারে…