তিল চাষে এগিয়ে সাতক্ষীরা
কৃষি বিভাগ
কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের উদ্ভাবিত বিনা তিল-২ চাষ করে সফল হচ্ছেন সাতক্ষীরার চাষিরা। চাষের মাধ্যমে বিঘা প্রতি ৭মণ তিল উৎপাদিত হচ্ছে। স্থানীয় বাজার সহ সারা দেশে তিলের ব্যাপক চাহিদা ও দাম ভালো থাকায় লাভবান হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন চাষিরা। এতে ভোজ্য তেলের ঘাটতি ও চাহিদা মেটানো সম্ভব বলে মনে করছেন কৃষি বিভাগ।
জানা যায়, সাতক্ষীরা অঞ্চল একটি খরা প্রবণ এলাকা। খরার কারণে কিছু চাষ করতে না পারায় চাষীরা তাদের জমি ফেলে রাখতেন। কৃষি বিভাগের পরামর্শে এখন সেই ফেলে রাখা জমিতে তিল চাষ করে প্রত্যাশার চাইতে বেশি অর্থ আয় করতে পারছেন তারা। এই তিল কালো এবং গাছে ৩-৪ টি প্রধান শাখা হয়। অনেকগুলো উপশাখা হয় বলে ফলনও বেশি হয়।
খুলনা কৃষি বিদ্যালয়ের প্রফেসর রাকিবুল হাসান জানান, তিলের তেলে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড। এই তেল ত্বক ও স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারি। তিল চাষে খরচ অনেক কম, আগাছা পরিষ্কার করা ও পানির তেমন প্রয়োজন হয় না। তাই দিন দিন তিল চাষের দিকে ঝুঁকছেন চাষিরা।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. বাবুল আকতার জানা, চাষীদের দেওয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ এবং বিনামূল্যে আড়াই কেজি তিল বীজ বিতরণ করা হয়েছে। এই মৌসুমে পতিত জমিতে তিল চাষ করে সাতক্ষীরার কৃষকরা লাভবান হয়েছেন। আশা করছি আগামীতে তিল চাষ আরো বৃদ্ধি পাবে বলে জানান তিনি।