দিনাজপুরের লিচু বাগানে দেড় হাজার মেট্রিক টন মধু সংগ্রহের সম্ভাবনা
কৃষি বিভাগ
দিনাজপুরে লিচুগাছগুলো এবার মুকুলে ভরে গেছে। তাই,মুকুলের সমারোহে লিচু বাগানগুলোতে অন্যবারের চেয়ে বেড়ে গেছে মৌমাছিদের আনাগোনা লিচু বাগানগুলোতে। এ বছর লিচু বাগানগুলোতে বসানো হয়েছে সারি সারি মৌ বাক্স। স্থানীয় উদ্যোক্তা সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মৌ খামারিরা ভিড় জমিয়েছেন এখানে। এক হাজার পাঁচশত মেট্রিক টন মধু আহরণের পাশাপাশি ৩০ ভাগ বেশি উৎপাদনের কথা বলছেন খামারিরা।
কৃষি বিভাগ বলছে, এ বছর জেলায় সাড়ে ৫হাজার বাগানের ৭ হাজার ৫’শ ৫২ হেক্টর জমিতে লিচু চাষ হচ্ছে। এবার লিচুর ফলনের লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৪০ হাজার ৭’শ ১২ মেট্রিক টন। মাদ্রাজি, বেদেনা-বোম্বাই-চায়না থ্রি, কাঠালিসহ বিভিন্ন জাতের লিচু উৎপাদন হয় এ জেলায়।
দেশের সর্ববৃহৎ লিচু উৎপাদন এলাকা বিরল উপজেলাতে মধু আহরণ করছেন শতাধিক মৌ খামারি। সিরাজগঞ্জ থেকে দিনাজপুরের লিচু বাগানে মৌ বাক্স বসিয়েছেন মৌখামারি চাঁন মিয়া ও তার দুই ছেলে আরমান সরকার এবং ইমাম সরকারসহ তাদের দল। দেশের সবচেয়ে বড় মৌখামারি চাঁন মিয়া জানালেন, তারা এবার ৪টি স্থানে ৮ শতাধিক মৌবাক্স বসিয়েছেন, মধু সংগ্রহের জন্যে। ইতিমধ্যে একশত পঞ্চাশ মেট্রিক টন মধু সংগ্রহ করেছেন। আরো আড়াই থেকে তিনশত মেট্রিক টন মধু আহরণের সম্ভাবনা রয়েছে তাদের। জেলার ১৩টি উপজেলার লিচু বাগানগুলোতে এবার প্রায় ৭ শতাধিক মৌখামারি মধু আহরণে কাজ করছেন। মাদ্রাজি, বেদানা, বোম্বাই, চায়না-৩, কাঁঠালিসহ বিভিন্ন জাতের লিচুর বাগান রয়েছে এ অঞ্চলে।
পুষ্টি নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিও জন্য মধু এবং মৌচাষে অভিঞ্জতা অর্জনে দিনাজপুরের লিচু বাগানগুলোতে লিচুবাগান গুলোতে বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউটের নতুন উদ্যোক্তারাও কাজ করছেন।
দিনাজপুরের বিরল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোস্তফা হাসান ইমাম জানান, বাগানে মধু আহরণে মৌমাছির পরাগায়নের ফলে লিচুর উৎপাদন ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ফলের উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। লিচু বাগানে মধু উৎপাদনে মৌখামারি ও লিচু বাগান মালিকদের নিয়মিত পরামর্শ ও সহায়তা করা হচ্ছে।
এবার জেলায় প্রায় ৩০ কোটি টাকা মূল্যের দেড় হাজার মেট্রিক টন মধু উৎপাদনের আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।