দিনাজপুরে পরিচর্যার পর অবমুক্ত বিরল প্রজাতির ১৯ টি শকুন
প্রাণ ও প্রকৃতি
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে শকুন পরিচর্যা ও পূর্ণবাসন কেন্দ্র থেকে প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও এপ্রিল মাসে অসুস্থ ও উদ্ধারকৃত বিরল প্রজাতির ১৯ টি শকুন পরিচর্যার পর প্রকৃতিতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে শকুনগুলো ছেড়ে দেয় বনবিভাগ। বিলুপ্ত প্রায় পাখিগুলো ছেড়ে দেওয়ার খবর শুনে তা দেখতে ছুটে আসেন উৎসাহীরা। মহৎ এ কাজের জন্য বন বিভাগকে সাধুবাদ জানান তারা।
৮ বছর আগে বন বিভাগ ও আইইউসিএন বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে দিনাজপুরের বীরগঞ্জে গড়ে তুলে ‘শকুন উদ্ধার ও পরিচর্যা কেন্দ্র’। আশপাশের জেলা থেকে অসুস্থ ও মৃতপ্রায় শকুন উদ্ধার করে বীরগঞ্জের সিংড়ায় জাতীয় উদ্যানে নিয়ে আসা হয়। পরে এই কেন্দ্রে নিবিড় পরিচর্যার পর শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯টি শকুনকে অবমুক্ত করলো বন বিভাগ। এসময় তা দেখতে ভিড় করেন অনেকেই। বন বিভাগের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান তারা।
বিরল প্রজাতির এসব শকুন সুস্থ করে তোলার পর প্রতিবছর এপ্রিলের শুরুতে আবার প্রকৃতিতে ছেড়ে দেয়া হয় বলে জানালেন, আইইউসিএন এর মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সারোয়ার আলম দীপু।
শীতকালে হিমালয়ের পাদদেশ থেকে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে এসে অসুস্থ হয়ে পড়ে অনেক শকুন। তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার পর ছেড়ে দেয়া হয় বলে জানালেন, পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ্ হারুন।
উল্লেখ্য,এ অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় আহত অবস্থায় শকুন উদ্ধার করে বীরগঞ্জ সিংড়া জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করা হয়। গত বছরের এপ্রিলে ২০টি শকুন সুস্থ অবস্থায় প্রকৃতিতে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে।
২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত বীরগঞ্জের এই কেন্দ্রে চিকিৎসা ও পরিচর্যা শেষে প্রায় ১৪৯টি শকুন অবমুক্ত করা হয়েছে।