দিনাজপুরে লিচুর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা!
পোলট্রি
প্রতিবারের মতো এইবারও দিনাজপুর জেলায় ব্যাপক পরিমাণে লিচু চাষ হয়েছে। এই জেলায় প্রায় ৪ হাজার ৪৮০ হেক্টর জমিতে লিচু চাষ করছেন চাষিরা। জেলার সব উপজেলা গুলোতে লিচু বাগানের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে। প্রতিটি লিচু গাছে ফুটেছে মুকুল। কৃষকরা এই বার বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন।
সদর উপজেলার মাসিমপুর গ্রামের লিচু বাগানের মালিক গোলাম মোস্তফা জানান, দিনাজপুরের লিচু দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় অনেক জনপ্রিয়। এইখানকার উৎপাদিত লিচু দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ হয়ে থাকে। আমি নিজের দেড় একর জমির উপর লিচু বাগান করেছি। আমার বাগানে প্রায় ১৩৭টি লিচুর গাছ রয়েছে। তার মধ্যে ৫২টি হচ্ছে বেদনা লিচুর গাছ। আর বাকি ৮৫টি হচ্ছে মাদ্রাজী, বোম্বাই ও স্থানীয় জাতের কাঠালী লিচুর গাছ। কোন প্রকৃতিক দুর্যোগ না হলে এই বার লিচুর বাম্পার ফলন পাবো বলে আশা করছি। লিচুর ফলন বৃদ্ধির জন্য আমি ভিটামিন জাতীয় স্প্রে করছি।
দিনাজপুর উপজেলার লিচু চাষি মতিউর রহমান জানান, লিচুর ফুল আশার সঙ্গে সঙ্গে গাছের পরিচর্যা শুরু করে দিতে হয়। লিচুর মুকুল যাতে ঝরে না পরে এইজন্য নিয়মিত স্প্রে ও সেচ দিতে হয়। এছাড়া আমরা লিচুর বাগান ও বিক্রি করে থাকি। রাজশাহী, রংপুর, চট্রগ্রাম, ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকার লিচু ব্যবসায়ীরা আমাদের লিচুর বাগান ক্রয় করে থাকেন।
দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে নিয়োজিত কৃষিবিদ সহকারী পরিচালক আশরাফুল ইসলাম বলেন, আবহাওয়া খারাপ থাকায় গত বছর চায়না-৩ লিচু তেমন ফলন হয় নি তাই এই বছর চায়না-৩ লিচু চাষের জন্য আমরা আগ্রিম পরামর্শ দিচ্ছি। লিচু গাছের ফলন বৃদ্ধির জন্য গাছের গোড়ায় গোবর সার ও পানি সেচ দিয়ে পর্যাপ্ত খাবার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সাধারনত বসন্তের ফাল্গুন মাসে চায়না-৩ মুকুল ফুটে থাকে।
দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. নুরুজ্জামান মিয়া বলেন, এবছর দিনাজপুর জেলায় ৪ হাজার ৪৮০ হেক্টর জমিতে লিচু চাষ হয়েছে। আমরা পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলোতে লিচু রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আবহাওয়া আনুকুলে থাকলে দিনাজপুরে রেকর্ড পরিমাণ লিচুর ফলন হবে বলে আশা করছি।