নওগাঁয় মধু বিক্রি করে স্বাবলম্বী
এগ্রিবিজনেস
নওগাঁয় সরিষার ক্ষেতে বাক্স স্থাপন করে কৃত্রিম পদ্ধতিতে মৌ-চাষ ও মধু সংগ্রহ করে লাভবান হচ্ছেন মৌচাষীরা। মধু থেকে যেমন আয় হচ্ছে, মৌমাছির মাধ্যমে পরাগায়নের ফলে সরিষার উৎপাদনও বাড়ছে। লাভবান হওয়ায় অনেক শিক্ষিত বেকার যুবকও মৌচাষে নেমেছেন।
নওগাঁয় মাঠজুড়ে সরিষার আবাদ। যত দূর চোখ যায় হলুদ বরণ ফুল। মাঠের মাঝে ফাঁকা স্থানে ও জমির আইলে রাখা হয়েছে বাক্স। মান্দা উপজেলার কৈইকুড়ি গ্রামে ১৩০টি বাক্স থেকে মধু সংগ্রহ করছে মৌচাষীরা। অন্যান্য মাঠেও মধু সংগ্রহের জন্য বাক্স বসানো হয়েছে। এক সপ্তাহ পরপর মধু সংগ্রহ করেন খামারীরা। মধু সংগ্রহ ও বিক্রির সাথে যুক্ত হয়ে সাবলম্বী হয়েছেন অনেক শিক্ষিত বেকার যুবক।
নভেম্বর থেকে ফেব্রয়ারি মাস পর্যন্ত সরিষার আবাদ হয়। মৌমাছিরা ফুল থেকে মধু আহরণ করায় ঘটে পরাগায়ন। এছাড়া পোকার আক্রমণ কম হওয়ায় ফলন ভাল হয় বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।
খামারি জানান, বাজারে খুচরা তিন’শ থেকে চার’শ টাকা কেজি এবং পাইকারী ৮ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা মণ দরে মধু বিক্রি হয়।
কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক শামছুল ওয়াদুদ বলেন, মৌচাষীদের দেখে অনুপ্রাণিত হচ্ছেন অনেক শিক্ষিত বেকার যুবক। এবার মৌবক্সের সংখ্যা এবং মধুর উৎপাদন বাড়বে বলে তিনি আশা করেন।
চলতি মৌসুমে জেলায় সরিষার আবাদও বেড়েছে।