নওগাঁয় মাছের দাম কমাতে বিপাকে চাষিরা
মৎস্য
ঈদের ছুটির পর বাড়ছে নওগাঁর পাইকারি বাজাদের মাছের সরবরাহ। সপ্তাহের ব্যবধানে ২০ থেকে ৩০ টাকা কমেছে কেজি প্রতি। বিদেশে মাছ রপ্তানি বন্ধ থাকায় দফায় দফায় কমছে মাছের দর।
নওগাঁর সান্তাহার মাছের আড়ত। স্থানীয় মাছ চাষিরা সকালে এ আড়তে তোলেন বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। পাইকারদের হাঁকডাকে সরব হয়ে ওঠে বেচাকেনা। বিল, জলাশয় ও পুকুরের পানি শুকিয়ে যাওয়ায় বেড়েছে মাছের সরবরাহ। তবে নেই দূরের পাইকার। তাই স্থানীয় বেপারীরা কেজি প্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা কম দরে কিনছেন মাছ। আর দফায় দফায় দর পড়ে যাওয়ায় লোকসানের কথা বলছেন মাছ চাষিরা।
মাছ চাষিরা জানান, বাজারের মাছের চাহিদা বেড়ে যাওয়া দাম একবারেই কমে গেছে। এখন মাছ চাষিদের বিপদ চলছে। কেননা দূরের পাইকাররা আসছে না। অন্যদিকে চাষ করা মাছের খাবারের তুলনায় কাঙ্ক্ষিত দর না পাওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়ছেন বলে অভিযোগ মাছ চাষিদের।
দূরের পাইকার না থাকা করোনার কারণে বিদেশে মাছ রপ্তানি বন্ধ থাকায় এবার দর কমেছে বলে মনে দাবি ব্যবসায়ীদের।
সান্তাহার পৌর আড়ৎ সমিতির সহ-সভাপতি জিয়াউল হক জিয়া জানান, লকডাউন কারণে দেশের বিভিন্নস্থানে পাইকাররা আসতে পারছেন না। এছাড়া বিদেশে মাছ রপ্তানি না হওয়ায় মাছের দাম কমছে।
স্থানীয় মৎসস্য অফিস জানায়, জেলায় ৩৩ হাজার ২৭৬ জন নিবন্ধিত চাষি, ৪৮ হাজার পুকুর ও জলাশয়ে মাছ চাষ করেন।