পটুয়াখালীতে চিনা বাদামের বাম্পার ফলন, খুশি কৃষকেরা
কৃষি বিভাগ
সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি ব্যবহারে পটুয়াখালীতে চিনা বাদামের বাম্পার ফলন হয়েছে। এই পদ্ধতিতে চাষাবাদে কিটনাশকের ব্যবহার ছাড়াই পোকার আক্রমণ প্রতিরোধ করা যায়। ফলে নিশ্চিত হচ্ছে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন।
সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের পাশাপাশি কম বখরচে অধিক ফসল ফলানো সম্ভব হয়েছে। এই পদ্ধতি কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে কাজ করছে কৃষি বিভাগসহ বিভিন্ন বেসরকাররি উন্নয়ন সংস্থা।
পটুয়াখালীসহ দক্ষিণাঞ্চলের উর্বর বেলে মাটিতে বাদামের ভালো ফলন হচ্ছে। তবে বাদাম চাষে পোকামাকড়ের আক্রমণ হওয়ায় কৃষক বিভিন্ন সময় ক্ষতির মুখে পড়ছেন। পরিস্থিতি মোকাবেলায় চাষাবাদে সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির প্রয়োগ সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে কৃষকদের।
ইউএসএআইডি’র অর্থায়নে একটি প্রকল্পের আওতায় চীনা বাদাম ক্ষেতে আঠাঁলো ফাঁদ, ফেরোমন ফাঁদ, পাচিং এসওপি এবং বায়োপেস্টিসাইড ব্যবহার করা হচ্ছে।
পটুয়াখালী সরেজমিন গবেষণা বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির মাধ্যমে কিভাবে পোঁকা দমন করা যায় সেই পদ্ধতিটি আমরা কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দিয়েছি।
পটুয়াখালী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এ কে এম মহিউদ্দিন বলেন, আধুনিক ও কীটনাশকমুক্ত এসব পদ্ধতিতে চাষাবাদ ছড়িয়ে দিতে পারলে কৃষকরা যেমন অধিক ফসল ঘরে তুলতে পারবেন তেমনি বাদাম চাষে তাদের আগ্রহ বাড়বে। এতে করে বাদাম থেকে তেল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রাও অর্জন করা সম্ভব হবে।