পদ্মার পাড়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে জাপানি মিষ্টি আলুর চাষ
কৃষি বিভাগ
বৈচিত্র্যময় ফসলের ভান্ডার খ্যাত শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় চাষ হচ্ছে রপ্তানিযোগ্য নতুন জাতের জাপানি মিষ্টি আলুর। নতুন এই জাতের মিষ্টি আলুর ফলন অনেক বেশি, এছাড়া আকারে বড়, খেতেও সুস্বাদু।
জাজিরার পদ্মা নদীর তীরবর্তী পালেরচর, কুন্ডেরচর, পূর্বনাওডোবা ও নাওডোবা ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠে বর্তমানে দেখা মিলছে ওকিয়ানা, কোকেই১৪ এবং মুরাসাকি নামের মিষ্টি আলুর প্রদর্শনী। কিছুদিন পরেই খেত থেকে তোলা হবে এসব আলু।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তত্ত্বাবধানে নতুন জাতের আলুর চাষ শুরু হয়েছে। এগুলো জাপানে রফতানির উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।
পুষ্টি মানে সমৃদ্ধ মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণ বিটা ক্যারটিন, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি ৬, ফাইবার রয়েছে। মিষ্টি আলু সাধারণত সাদা ও লাল চামড়ার হয়ে থাকে।
এর মধ্যে রঙিন আবরণের মিষ্টি আলুর পুষ্টি মানে অপেক্ষাকৃত বেশি। একটি মাঝারি মানের আলুতে আছে ১০০ ক্যালরি শক্তি , ২ গ্রাম প্রোটিন, ২২ গ্রাম শ্বেতসার, ৩ গ্রাম আঁশ।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তত্ত্বাবধানে জাজিরাতে পরীক্ষামূলক ভাবে ৩০০ শতাংশ জমিতে নতুন জাতের আলুর চাষ শুরু হয়েছে। প্রথম চাষাবাদেই সফলতা পাওয়া গেছে। এগুলো জাপানে রফতানির উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।
পালের চর ইউনিয়নের কৃষক মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমাগো দ্যাশে তো আগে এই কালারের মিষ্টি আলু দে নাই। তয় কৃষি অফিস থেকে এই মিষ্টি আলু দিছি। আশাবাদী ভালো ফল পামু। আমাগো দেইখা এলাকায় অনেক কৃষক ভিনদেশি এই আলু চাষ করতে চাইতাছে।’
জাজিরা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জামাল হোসেন বলেন, ‘মিষ্টি আলু অত্যন্ত পুষ্টি মান সমৃদ্ধ একটি কন্দাল ফসল। কিন্তু আমাদের দেশে এটি খাওয়ার খুব বেশি প্রচলন নেই। কৃষকদের উপকরণ, প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা দেওয়ার পাশাপাশি মাঠ প্রদর্শনী এবং কৃষকদের সচেতন করতে মাঠ দিবস করা হচ্ছে।’
তিনি আরও জানান, পদ্মা সেতু কেন্দ্রিক যে অর্থনৈতিক কর্ম চাঞ্চল্য শুরু হবে এতে নতুন সংযোজন হতে পারে আমাদের এই মুরাসাকি, ওকিয়ানা এবং কোকেই ১৪ জাতের মিষ্টি আলু। ফলে একদিকে কৃষক লাভবান হবেন, অন্য দিকে খাদ্যতালিকায় এর অন্তর্ভুক্ত আমাদের পুষ্টি মান বাড়াতে সহায়তা করবে।