পাখিদের অভয়ারণ্য
প্রাণ ও প্রকৃতি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী গ্রামগুলো এখন দু’ দেশের পাখিদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। পাখিদের নিরাপদে থাকা ও তাদের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শিকারীদের হাত থেকে রক্ষায় সচেতনতা গড়ে তোলার কাজও চলছে। আর ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগ নিয়েছেন আখাউড়ায় এক কলেজ ছাত্র। যার সঙ্গী হয়েছেন আরো ১৩ জন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার ভারতীয় সীমান্ত সংলগ্ন গ্রামগুলোতে পাখিদের নিরাপদ অবস্থান ও চলাচল নিশ্চিত করতে কাজ করে চলেছে একদল তরুণ। বিভিন্ন গাছে হাঁড়ি বেধে দেয়া হয়েছে। দেয়া হচ্ছে খাবারের যোগানও। এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নজর কেড়েছে সকলের। আর এই কাজটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন আখাউড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী তোফায়েল চৌধুরী। পাখিদের রক্ষায় যিনি গড়ে তুলেছেন একটি সংগঠন।
স্থানীয়রা জানান, ভারত থেকেও অনেক পাখি উড়ে আসে এসব গ্রামে। বাংলাদেশের পাখিরা তো রয়েছেই। তারা যেন শিকারিদের ফাঁদে ধরা না পড়ে সেজন্য তোফায়েল চৌধুরী ও তার সহযোগীদের পক্ষ থেকে সচেতনতামূলক কর্মসূচি চালানো হয়। লাগানো হয়েছে সাইনবোর্ড। বিতরণ করা হয় লিফলেট। এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
পাখি প্রেমিক তরুণ তোফায়েল জানালেন, প্রথমে একাই আখাউড়া সীমান্তের গ্রামগুলোতে পাখি রক্ষায় কাজ শুরু করেন। পরে গড়ে তুলেছেন ‘সীমান্ত পাখী রক্ষা’ নামে একটি সংগঠন। যার সদস্য ১৩জন। তারা সীমান্তবর্তী আবদুল্লাহপুর, সাহেবনগর, বঙ্গেরচর, হীরাপুর, কালিকাপুর, আনন্দপুর ও রাজেন্দ্রপুরসহ আশপাশের গ্রামে পাখি রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছেন।
স্থানীয় পরিবেশবিদরাও প্রশংসা করছেন এমন উদ্যোগের। তারা বলছেন, পাখি রক্ষা পেলে পরিবেশ উপকৃত হয়। যা দেশের জন্যও উপকারী।
সম্পূর্ণ নিজেদের অর্থে পাখী রক্ষায় কাজ করে চলেছেন তোফায়েল চৌধুরী ও তার সহযোগীরা। এটাও সবার প্রশংসা কুড়িয়েছে।