পাহাড়ে বেড়েছে আগাম জাতের আনারস চাষ
কৃষি বিভাগ
পাহাড়ের টিলা ভূমিতে জুম চাষের পরিবর্তে এখন চাষ হচ্ছে আগাম জাতের রসালো ফল আনারস। ফল চাষে অধিক লাভের সম্ভাবনার মুখ দেখছেন চাষিরা। টিলা ভূমিতে চাষ করা আনারস রসালো ও সুমিষ্ট হওয়ায় চাহিদা বেড়েছে সমতলের বিভিন্ন হাট-বাজারে।
জানা যায়, পাহাড়ি জেলাগুলোতে আনারসের মৌসুম ছাড়াই বিগত কয়েক বছর ধরে আগাম ফলন আসায় আনারস চাষ হচ্ছে ব্যাপক হারে। এতে মৌসুমে উৎপাদিত আনারসের থেকে আগাম আনারসে বাড়তি লাভ করতে পারেন চাষিরা।
মৌসুমের আগেই বাজারে আসতে শুরু করেছে ‘হানিকুইন’ জাতের আনারস। এতে বাড়তি লাভের মুখ দেখছেন পাহাড়ি কৃষক পরিবারগুলো। খাগড়াছড়ির মহালছড়িতে বাহির থেকে আসা ব্যবসায়ীরা আনারস কিনে নিয়ে যাচ্ছে ঢাকা, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে। এতে করে লাভবান হচ্ছে কৃষক এবং ব্যবসায়ী দুজনেই।
এদিকে-নানিয়ারচর বিভিন্ন এলাকা থেকে আনারস চাষিরা ইঞ্জিনচালিত নৌকায় করে আনারস নিয়ে আসছেন মহালছড়ি ভাসমান পাইকারি বাজারে। সেখান থেকে স্থানীয় ও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত পাইকাররা পাইকারি দরে আনারস কিনছেন।
মহালছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল জব্বার জানান, আগাম আনারস চাষ হওয়ায় কৃষকরা ভালো লাভবান হচ্ছেন। পাইকারদের কাছে তারা এখন ১৪-২০ টাকা দরে আনারস বিক্রয় করছেন। পাইকাররা বাহিরে নিয়ে সেই আনারস ৩০-৪০ টাকা দরে বিক্রয় করছেন খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে। এখানকার আনারস এখন স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাচ্ছে। এতে চাষিরা আনারস চাষের দিকে ঝুঁকছে বলেও তিনি জানান।