প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুত প্রকল্পে লাখো কৃষকের মুখে সোনার হাসিঃ
কৃষি বিভাগ
আঠারো বাকি নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে এনে কালিয়া , তেরখাদা,মোল্লাহাট ,রূপসা , দিঘলিয়া,লোহাগড়া উপজেলা গুলোর মানুষের জীবন জীবিকার দারুন প্রভাব রাখতে সক্ষম হয়েছে । আঠারো বাকি নদী ভৈরব ও মধুমতীর সংযোগ করেছে,কিন্তু পলি জমে দীর্ঘ ২০ বছরের ও বেশি সময় নদীটা বন্ধ হয়ে রয়েছে,যার ফলে প্রায় ২০০০০ হেক্টর কৃষি জমিতে বর্ষাকালে জলাবদ্ধতা ও গ্রীষ্মকালে তীব্র পানির সঙ্কট দেখা যায় । কিন্তু নদীটি খননের ফলে নাব্যতা ফিরে এসেছে । প্রায় ১০০০ কোটি টাকার প্রকল্পটি বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ,সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করেছে। প্রকল্পটির তত্ত্বাবধানে ছিল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী । এখন প্রকল্পটির সুবিধা ভোগ করছে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কয়েক লাখ মানুষ ।
এবং এই আঠারো বাকি নদী এলাকার মানুষের বিপুল পরিমাণ মাছ এর চাহিদা মেটাচ্ছে । যার ফলে মানুষদের পুষ্টির চাহিদা ও একইসাথে মেটানো সম্ভব হচ্ছে দেশীয় প্রজাতির মাছ দ্বারা ।
তবে নিয়মিত খনন কাজ ঠিক রাখলে এসব সুবিধা বহাল থাকবে , নয়তবা থাকবেনা । কৃষি এবং কৃষকের উন্নয়নে প্রকল্পটি দারুন আশা জাগানিয়া বলে বিবেচিত হচ্ছে, আগে যেসব জমিতে ফসল চাষ করতে জমির জলাবদ্ধতা দূর করে রোপণ করতে হতো, এখন সেখানে আর সেরকম কোন পরিস্থিতি নেই, তবে সরকারের কৃষি ভর্তুকিটা আবার চালু হলে কৃষকরা লাভবান হবে।
এর ই ধারাবাহিকতায় এবার ধান উৎপাদন দিগুণ হয়েছে,অন্যান্য ফসল যেমন পান,গম,সরিষা,কলাই,মসুরির এর উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে।
তবে করোনা সঙ্কট মোকাবেলায় সরকারের ঘোষিত লকডাউনে কৃষকরা অনেক ক্ষেত্রে চরম ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে ,এ বিষয়ে যথাযথ দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন যথেষ্ট আন্তরিকতার সাথে। এবং সরকারের মহামারী চলাকালীন সহায়তা মাঠ পর্যায়ে পৌছায় না। সেদিকে ও মনিটরিং জোরদার করতে হবে।
কিছু সুবিধা ভোগী মানুষের জন্য সরকারের এত সব সহযোগিতা যাতে বিফলে না যায় সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে।
মোঃ আমিনুল খান