ফরিদপুরে আগাম কুল চাষে সফলতা
কৃষি বিভাগ
আগাম জাতের কুল চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন ফরিদপুরের এক তরুণ উদ্যোক্তা। ভারত সুন্দরী ও কাশমিরি জাতের আপেল কুল আছে তার বাগানে। নতুন জাতের এই কুল চাষ করে সাড়া ফেলেছেন এলাকায়। তার বাগানে কর্মসংস্থান হয়েছে অনেকের।
ফরিদপুর সদর উপজেলার হাট গবিন্দপুরের তরুণ উদ্যোক্তা মফিজুর রহমান মাফি। চার বছর আগে নিজের ৮ বিঘা জমিতে গড়ে তোলেন মিশ্র ফলের বাগান। প্রথম বছরেই আসে সাফল্য। এরপর বাড়িয়েছেন বাগানের পরিধি। বর্তমানে আগাম জাতের কুল চাষ করে সফল হয়েছেন এই উদ্যোক্তা। বল সুন্দরী ও কাশমিরি আপেল কুল রয়েছে তার বাগানে। ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে বাজারে আসবে এসব কুল। চলতি বছর অধিক ফলনশীল ও আগাম জাতের ভারত সুন্দরী ও টক-মিষ্টি কুলও চাষ করেছেন তিনি।
চারা লাগানোর পর ৭ মাসেই এসেছে ফলন। নতুন জাতের এই কুল দেখতে বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা ভিড় করছেন মাফির বাগানে। কর্মসংস্থান হয়েছে অনেকের।
মফিজুর রহমান মাফি জানান, একবিঘা জমিতে কুল চাষে খরচ হয়েছে ৪৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা। যা থেকে আয় হচ্ছে দেড় থেকে দু’লাখ টাকা। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কুল চাষে বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলে জানালেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা।
কৃষি কর্মকর্তা মোঃআবুল হোসেন মিয়া বলেন, মাফির মত অন্যরাও পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ নিয়ে বাগান করলে লাভবান হতে পারবেন বলে জানান তিনি।