ফলন ভালো, দাম নিয়ে উদ্বেগ
এগ্রিবিজনেস
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মার তীরবর্তী এলাকায় শীতকালীন সবজি টমেটোর ভালো ফলন হয়েছে। তবে অসময়ের বৃষ্টিতে টমেটোতে কালচে দাগ ও পচন দেখা দিয়েছে। খেতে পুনরায় কীটনাশক ছিটানোর কারণে চাষিদের খরচ বেড়ে গেছে। মান খারাপ হওয়ায় বাজারে টমেটোর দাম কমে গেছে।
কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এবার শীত মৌসুমে বৃষ্টিতে টমেটোর গায়ে ছোট কালচে দাগ ও পচন দেখা দিয়েছে। এ কারণে টমেটোর দাম কম পাওয়া যাচ্ছে। বর্তমানে পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি টমেটো ১০-১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক বিঘা জমিতে টমেটো চাষে ২৫-৩০ হাজার টাকা খরচ হয়। ইজারা নিয়ে জমি চাষ করলে খরচ বেড়ে দ্বিগুণ হয়। প্রতি বিঘায় ভালো ফলন হলে ১৫০-২০০ মণ টমেটো পাওয়া যায়।
গোয়ালন্দের দেবগ্রামের অন্তার মোড়, উজানচরের চর কর্নেশনায় গিয়ে দেখা যায়, বিস্তীর্ণ এলাকার মাঠজুড়ে টমেটোর খেত। গাছে গাছে ঝুলছে কাঁচা-পাকা টমেটো। নারী-পুরুষ টমেটো তোলার কাজে ব্যস্ত।
অন্তার মোড় এলাকার চাষি ইউনুস শেখ ও শুকুর আলী বলেন, চরে টমেটো চাষ বেশ লাভজনক। বৃষ্টির কারণে এবার টমেটোতে কালচে দাগ পড়েছে। অনেক টমেটোয় পচন ধরছে। মৌসুমের শুরুতে টমেটোর মূল্য বেশি ছিল। এখন বাজার পড়ে গেছে। যে লাভের আশা তাঁরা করেছিলেন, এবার তা হবে না।
উজানচর ইউনিয়নের মজলিশপুর চরের কয়েকজন চাষি বলেন, ‘টমেটোর দাম এত কম হলে আমাদের এবার লাভ হবে না। তারপর আবার বৃষ্টিতে টমেটোতে পচন ধরাতে কীটনাশক দিতে হয়েছে। ফলে খরচও বেড়ে গেছে।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এ বছর রাজবাড়ীতে ৭২২ হেক্টর জমিতে টমেটোর আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে গোয়ালন্দে ৩৫৭ হেক্টর জমিতে।
গোয়ালন্দের কৃষি কর্মকর্তা খোকন উজ্জামান বলেন, উপজেলায় উচ্চ ফলনশীল জাতের টমেটোর আবাদ হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে আবাদ কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে পরে কৃষি বিভাগের পরামর্শে কৃষকেরা খেতে কীটনাশক দেওয়ায় ফলন ভালো হয়েছে।