ফেসবুকে ভিডিও দেখে তরমুজ চাষ করে সফল হাবিবুর
কৃষি বিভাগ
ফেইবুকে তরমুজ চাষের ভিডিও দেখে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে শীতকালীন তরমুজ চাষ করে এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন উচ্চ শিক্ষিত যুবক হাবিবুর রহমান। খেতে মিষ্টি ও সু-স্বাদদু হওয়ায় ক্ষেত থেকেই তরমুজ বিক্রি হয়ে যায়। এদিকে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায় কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে তরমুজ চাষিদের কারিগরি সহায়তা দেয়া হয়।
সিলেটের এমসি কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে লেখাপড়া শেষে দীর্ঘ দুই বছর বেকার ছিলেন হাবিব। পরে ফেইবুকে যশোর এলাকার এক তরমুজ চাষির দেয়া ভিডিও দেখে রূপরাম হাওরের পতিত জমিতে তরমুজ চাষে আগ্রহী হয়ে ওঠেন তিনি। গেলবার ৫০ শত জমিতে সুইটব্যাক থাই ও ইয়েলো ডায়না জাতের তরমুজ চাষ করে লাভবান হন। এবার ১০০ শত জমিতে দুই জাতের তরমুজ চাষ করেছেন এতে ১১ টন তরমুজ উৎপাদন হয়েছে যার বাজার দর ৫ লাখ টাকা। ১০০ শতক জমিতে ম্যালাচিং পদ্বদিতে তরমুজের চারা তৈরি থেকে পরিপক্ক হওয়া পর্যন্ত তার ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।
এলাকাবাসী ও চাষিরা জানান, দেখতে সুন্দর ও খেতে মিষ্টি তরমুজের বাজারে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তরমুজ চাষি হাবিবুর রহমান বলেন, ফেইসবুকে তরমুজ চাষের ভিডিও দেখে তিনি তরমুজ চাষে আগ্রহী হয়ে ওঠেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. ফরিদুল হাসান বলেন, কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে তরমুজ চাষিদের কারিগরি সহযোগিতা করা হয়। এ বছর জেলায় ৫৬০ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষের লক্ষমাত্রা র্নিধারণ করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। প্রতিকেজি তরমুজের পাইকারি বাজার দর ৫০ টাকা।