বাকৃবি’তে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী প্রফেসর ড. শামসুল আলম‘র সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত
ক্যাম্পাস
কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু, বাকৃবিঃ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে নানা আন্দোলন সংগ্রামে ড. শামসুল আলম সবসময় অসীম সাহস নিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে গেছেন। ড. শামসুল আলম তার মেধাকে কাজে লাগিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের মন্ত্রিপরিষদকে আরও শক্তিশালী করে জাতীয় প্রত্যাশা পূরণ করবেন ।
প্রফেসর ড. শামসুল আলম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হওয়ায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অথিতি ড. আব্দুর রাজ্জাক তাকে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানিয়ে এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি ব্যবসা ও বিপণন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও সিন্ডিকেটের সম্মানিত সদস্য প্রফেসর ড. শামসুল আলম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হওয়ায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এর আয়োজনে শুক্রবার (৩০ জুলাই ২০২১ )সন্ধ্যায় জুম ভিডিও কনফারেন্স সিস্টেমের মাধ্যমে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর, প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মাননীয় মন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক এমপি। এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেড এর পরিচালনা পর্ষদের মাননীয় চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব জনাব সাজ্জাদুল হাসান।
আজকের দিনটিকে একটি আনন্দের দিন হিসেবে অভিহিত করে বিশেষ অতিথি সাজ্জাদুল হাসান বলেন প্রধানমন্ত্রীর আস্থাভাজন ব্যক্তি হিসেবে গত বারো বছর প্ল্যানিং কমিশনে বিশাল অবদান রেখেছেন ড. শামসুল আলম । তিনি আরোও বলেন বাংলাদেশ কৃষিবিদ অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে তার অবদান অসামান্য। দেশের দারিদ্রতা দূরীকরণে ড. শামসুল আলম আগামীতে আরও সুদৃঢ় ভাবে কাজ করবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন।
মুক্ত আলোচনার পর সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. শামসুল আলম বলেন প্রধানমন্ত্রীর আস্থার প্রতিদান তিনি জীবন দিয়ে হলেও দিবেন।তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতি অবিচল থেকে সবসময় কাজ করে যাবেন।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ছাইফুল ইসলাম এর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ডঃ একেএম জাকির হোসেন মাননীয় প্রতিমন্ত্রী প্রফেসর ড. শামসুল আলমের কর্মজীবন সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন।
অনুষ্ঠানের মানপত্র পাঠ করেন ফিশারিজ বায়োলজির ও জেনেটিক্স বিভাগের সহকারী প্রফেসর ইসমত জাহান টুম্পা। মুক্ত আলোচনায় আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস-চ্যান্সেলর, সম্মানিত সিন্ডিকেট সদস্য, এমিরিটাস প্রফেসর ড. এম এ সাত্তার মন্ডল, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত সিন্ডিকেট সদস্য, ড. এফ এইচ আনসারি, বারির ডিজি ড. নজরুল ইসলাম, কৃষিবিদ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ বদিউজ্জামান বাদশা, শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ আসলাম আলী, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. সুবাস চন্দ্র দাস।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন কৃষি ব্যবসা ও বিপণন বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, অফিসার্স পরিষদের সভাপতি খাইরুল আলম নান্নু, তৃতীয় শ্রেণী কর্মচারী সমিতির সভাপতি নজরুল ইসলাম এবং আরোও অনেক শিক্ষক-শিক্ষিকা, প্রেস-মিডিয়াসহ সাধারন ব্যাক্তিবর্গ।
মাননীয় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী প্রফেসর ড. শামসুল আলমকে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানিয়ে অনুষ্ঠানের সভাপতি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান বলেন, দীর্ঘ ১২ বছর ধরে পরিকল্পনা কমিশনে সুনাম ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করে প্রফেসর ড. শামসুল আলম মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আস্থা ও বিশ্বাস লাভ করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে ও তাঁর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ভাইস-চ্যান্সেলর উল্লেখ করেন, ড. আলম বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা ও শিক্ষকতায় ১৯৭৪ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত নিয়োজিত ছিলেন। ড. আলম বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী কমিটি সিন্ডিকেটে সম্মানিত সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বিভিন্ন বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে আমি তাঁর নিকট থেকে পেয়েছি অকুণ্ঠ সহযোগিতা ও সমর্থন ।
ছাত্র জীবনে ড. আলম একজন নর্ম, ভদ্র, স্বল্পভাষী এবং অত্যন্ত মেধাবী ও বিচক্ষণ ব্যাক্তিত্ব হিসেবে সকলের মাঝে সমাদৃত ছিলেন। তার কর্মজীবনে তিনি দারিদ্র্যবিমোচন কৌশলপত্র সংশোধন ও পূর্ণ বিন্যাস, ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, সপ্তম, পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, জাতীয় টেকসই উন্নয়ন কৌশলপত্র, শতবর্ষের ডেল্টা প্ল্যানসহ নানা পরিকল্পনা প্রণয়ন করার মধ্য দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষাথী, অফিসার, কর্মচারী, কৃষিবিদ, আমন্ত্রিত অতিথিগণ অংশ গ্রহণ করেন।