বাগদা চিংড়িতে ভাইরাস, লোকসানে বাগেরহাটের চাষিরা
মৎস্য
সাদা সোনা খ্যাত বাগেরহাটে বাগদা চিংড়ি মৌসুমের শুরুতেই প্রচণ্ড তাপদাহ ও ভাইরাসে আশঙ্কাজনক হারে মরে যাচ্ছে ঘেরের চিংড়ি। উৎপাদন মৌসুমের শুরুতে চিংড়ি চাষে এমন বিপর্যয়ে বাগেরহাটের অধিকাংশ চাষি লোকসানে মুখে পড়েছেন।
মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা যায, ভাইরাসের পাশাপাশি ঘেরে পানি স্বল্পতা, অস্বাভাবিক তাপমাত্রা ও হঠাৎ বৃষ্টির কারণে চিংড়ি মারা যাচ্ছে। এছাড়া চাষিরা মৎস্য বিভাগের পরামর্শ গ্রহণ না করায় পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়েছে বলে দাবি করেছে দপ্তরটি। তবে এ জেলায় ঠিক কি পরিমাণ চিংড়ি চাষি বা ঘের মালিক এবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন তা জানাতে পারেনি মৎস্য বিভাগ।
চাষীরা জানালেন, কোনভাবেই বাগদা চিংড়ির মৃত্যু ঠেকানো যাচ্ছেনা। ফলে পুঁজি হারানোর শঙ্কায় দিশেহারা তারা।
জেলা মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এবার জেলার ৯টি উপজেলায় ৬৬ হাজার ৭‘শ ১৩ হেক্টর জমিতে ৭৮ হাজার ৬‘শ ৮৫টি বাগদা ও গলদা চিংড়ির ঘের রয়েছে। জেলায় চিংড়ি চাষি রয়েছেন প্রায় ৭৩ হাজার।
সদর উপজেলার কাড়াপাড়া এলাকার চিংড়িচাষি বাদল মিয়া বলেন, ঋণ করে সাত বিঘা জমি লিজ নিয়ে বাগদা চিংড়ি চাষ করেছিলাম। কিন্তু চিংড়ি যখন বিক্রি যোগ্য হয়েছে, তখনই ভাইরাস লেগে সব মরে গেল।
এ বিষয়ে বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এ এস এম রাসেল বলেন, ভাইরাসের পাশাপাশি ঘেরে পানির স্বল্পতা, অস্বাভাবিক তাপমাত্রা ও হঠাৎ বৃষ্টির কারণে চিংড়ি মরছে। ঘের প্রস্তুত ও ভাইরাসমুক্ত পোনা ছাড়তে চাষিদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, মারা যাওয়া চিংড়ির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষানিরীক্ষার মাধ্যমে মৃত্যুর কারণ জানার চেষ্টা করছি আমরা।