বাঙ্গির দাম পেয়ে খুশি নাটোরের চাষীরা
কৃষি বিভাগ
নাটোরের রমজান মাস লক্ষ্য করে বাঙ্গি চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন নাটোরের চাষীরা। পানির ঘাটতি পূরণে ইফতারের উপাদান হিসেবে বেশী চাহিদা বাঙ্গীর। ফলে ভালো দামও পাচ্ছেন কৃষকরা।
কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, ভালো মানের বাঙ্গি উৎপাদন করতে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
খরা ও গরম আবহাওয়ায় রসালো ফল বাঙ্গীর বাড়তি চাহিদা থাকে বাজারে। আর রোজা এলে এর চাহিদা বেড়ে যায়। ইফতারে রোজাদারের পানির ঘাটতি পূরণ করে বাঙ্গী। গেলো কয়েক বছর ধরে ফলটি চাষ করে লাভবান হচ্ছেন নাটোরের কৃষকরা। এবছরও সদর উপজেলার দিঘাপতিয়া ও বড়াইগ্রামের ভবানীপুর সহ জেলার বিভিন্ন জায়গায় বাঙ্গীর ব্যাপক ফলন হয়েছে। রোজার শুরু থেকেই বাঙ্গী বাজারে বিক্রি করছেন কৃষকরা। ভাল দাম পাওয়ায় খুশি তারা।
কৃষকেরা বলেন, রমজান মাসে রোজাদারদের কাছে বাঙ্গি একটি জনপ্রিয় খাবার। এ মাসে বাঙ্গির চাহিদা বেড়ে যায়। দামও ভালো পাওয়া যায়। আগামী সাতদিনের মধ্যে পুরোপুরি বাঙ্গি বাজারে উঠবে। তখন দাম কিছুটা কম হবে। এক বিঘা জমিতে উৎপাদিত বাঙ্গি ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে বলে জানান তাঁরা।
গতবছর নাটোরে ৮৬৮ হেক্টর জমিতে বাঙ্গী চাষ করে ২২ হাজার ১৩৫ মেট্রিক টন উৎপাদন হয়। এবার ১১শ’ ৩০ হেক্টর জমিতে রসালো এই ফলের চাষ করেছেন কৃষকরা।
নাটোর সদর উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আনিছুর রহমান জানান, ন্যায্য দাম পাওয়ায় বাঙ্গী চাষে আগ্রহী হচ্ছেন কৃষকরা। আর সাথী ফসল হিসেবে আবাদের সুযোগ থাকায়, অনেকের বাড়তি আয় হচ্ছে। এতে সব ধরণের সহায়তা দেয়া হচ্ছে বলেও জানান কৃষি কর্মকর্তা।