বৃষ্টিতে জয়পুরহাট ও ঠাকুরগাঁওয়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশংকা
কৃষি বিভাগ
মাঘের হঠাৎ বৃষ্টিতে জয়পুরহাট ও ঠাকুরগাঁওয়ে কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। শুক্রবার ভোর রাত থেকে অঝোর ধারায় বৃষ্টিতে জয়পুরহাট জেলার অধিকাংশ আলুক্ষেত ডুবে গেছে।
উৎপাদিত আলু হিমাগারে রাখার জন্য ক্ষেত পরিচর্যা করলেও অসময়ের বৃষ্টিতে ডুবে যাওয়া আলু নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
অন্যদিকে, ঠাকুরগাঁও জেলায় আলু, সরিষা, গম, বোরোর বীজতলা ও ভুট্টা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চাষিরা।
জয়পুরহাটে এবার আলু চাষ হয়েছে মোট ৪০ হাজার ২৮০ হেক্টর জমিতে। এরই মধ্যে হিমাগারে সংরক্ষণ করার উদ্দেশ্যে জেলার প্রায় ২৫ হাজার হেক্টর জমির আলুক্ষেত পরিচর্যা করছেন কৃষকরা। আর ১৫ থেকে ২০ দিন পর এই আলু কৃষকদের ঘরে তোলার কথা।
কিন্তু হঠাৎ ভারী বৃষ্টিতে ডুবে গেছে আলুর ক্ষেত। অধিকাংশ কৃষক এখন ডুবে যাওয়া আলুক্ষেতের পানি নিষ্কাশনের জন্য ব্যস্ত সময় পার করছেন। আবার অনেকে আলু নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় কাদা-পানি উপেক্ষা করে আলু সংগ্রহ করছেন ক্ষেত থেকে।
জেলায় গত দু’দিনে ১৭ দশমিক ৬০ মিলিমিটার বৃষ্টি হলেও আলুর তেমন ক্ষতি হবে না বলছেন কৃষি কর্মকর্তারা।
জয়পুরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো.শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এখন পর্যন্ত তেমন লক্ষণীয় ক্ষতি হয় নাই। তবে আর যদি বৃষ্টি না হয় তখন আলু বা ফসলের তেমন ক্ষতি হবে না।’
এদিকে, ঠাকুরগাঁওয়ে বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ায় ক্ষেতে পানি জমে হেলে পড়েছে গম ও সরিষা। কিছু কিছু জমিতে পানি জমে হেলে পড়া সরিষা ক্ষেত ডুবে গেছে। এতে ফলন কম হওয়ার আশঙ্কা করছেন চাষিরা। এছাড়া, বৃষ্টিতে ক্ষতি হয়েছে আলুরও। কৃষকরা কিছু কিছু জমি থেকে আগাম জাতের আলু তুললেও বেশির ভাগই এখনও উঠানো সম্ভব হয়নি। জমিতে পানি জমার কারণে আলু নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন তারাও।
ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আবু হোসেন বলেন, কৃষকদের ক্ষেতে জমা পানি বের করে দেয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। জরিপ করে ফসলের মোট ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হবে।