ভাসমান পদ্ধতিতে খাঁচায় মাছ চাষে স্বাবলম্বী ভোলার যুবকরা
মৎস্য
ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষে স্বাবলম্বী ভোলার বেকার যুবকরা। স্বল্প পুঁজিতে খাঁচায় মাছ চাষ অধিক লাভবান হওয়ায় দিন দিন এ পদ্ধতিতে মাছ চাষে আগ্রহ বাড়ছে যুবকদের। এ পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে এরই মধ্যে অনেকেই আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন। ফলে দিন দিন খাঁচায় মাছ চাষ বেড়েই চলছে।
জানা যায়, ২০১৬ সালে একটি বেসরকারী সংস্থা থেকে বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ শেষে ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষ করে লাভবান হন স্থানীয় কয়েকজন। সেখান থেকে উৎসাহিত হয়ে বেকার যুবকরা এ পদ্ধতিতে মাছ চাষে ঝুঁকে পড়েন। এ পদ্ধতিতে স্বল্প পুঁজিতে অধিক লাভ হওয়ায় এ পদ্ধতিতে মাছ চাষিদের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ পদ্ধতিতে মাছ চাষ করতে জিআই পাইপ ও ড্রাম দিয়ে প্রতিটি ভাসমান খাঁচা তৈরিতে খরচ হয় ১০-১২ হাজার টাকা। যেখানে চাষ হয় মনোসেক্স তেলাপিয়া, পাঙ্গাশ, সরপুটি ও কাপ জাতীয় মাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ।
খাঁচায় মাছ চাষি কবির হোসেন বলেন, ৪ বছর আগে প্রশিক্ষণ নিয়ে ভাসমান পদ্ধতিতে মাছ চাষ শুরু করেছিলাম। এখন প্রতিটি খাঁচায় ২৫-৩০ হাজার টাকা করে লাভ হচ্ছে আমার। আমাদের এখানকার অনেক বেকার যুবক এখন খাঁচায় মাছ চাষ করছেন। এতে বেকারত্ব দূর হওয়ার পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন তারা।