ভেড়ার শরীরে বহিঃপরজীবীর আক্রমণ রোধে যা করবেন
প্রাণিসম্পদ
ভেড়া লাভজনক হওয়ায় আমাদের দেশের গ্রামাঞ্চলগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ভেড়া পালন করা হয়ে থাকে। ভেড়া পালনে অনেক সময় বহিঃ পরজীবীর আক্রমন লক্ষ্য করা যায়।
বহিঃপরজীবীর আক্রমন রোধে যা করতে হবে:
ভেড়াকে বহিঃপরজীবীর আক্রমন থেকে রক্ষার জন্য খোলামেলা ও মুক্ত পরিবেশে বেড়ে উঠার সুযোগ করে দিতে হবে। ভেড়ার থাকার স্থানে যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ আলো ও বাতাস চলাচল করতে পারে সেদিকে বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে। এতে ভেড়ার শরীরে বহিঃপরজীবীর আক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যাবে ও ভেড়া সুস্থ থাকবে। ভেড়ার শরীরে যাতে কোন বহিঃপরজীবীর আক্রমণ না ঘটে সেজন্য পানিতে জীবাণুনাশক মিশিয়ে নিয়মিত ভেড়াকে গোসল করিয়ে দিতে হবে। এভাবে নিয়মিত গোসল করাতে পারলে বহিঃপরজীবীর আক্রমণের সম্ভাবনা অনেকাংশেই কমে যাবে।
ভেড়ার থাকার স্থানকে নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। সম্ভব হলে পানির সাথে জীবাণুনাশক মিশিয়ে ভেড়ার থাকার ভালোভাবে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে কোনভাবেই ভেড়ার থাকার স্থানে পানি জমা হয়ে না থাকে।ভেড়ার বহিঃপরজীবী আক্রমণ ঠেকাতে মাঝে মাঝে জীবাণুনাশক ওষুধ দিয়ে স্প্রে করে দিতে হবে। আর এতে করে বহিঃপরজীবীর আক্রমণ অনেকগুনে কমে আসবে এবং খামারে রোগের প্রাদুর্ভাব কমে যাবে।
ভেড়াকে গোসল করানোর পর মাঝে মাঝে চিরুনি নিয়ে শরীরের লোম আচড়িয়ে দিতে হবে। এতে করে শরীরের কোন অংশে পরজীবী থাকলে তা সহজেই বের হয়ে আসবে এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে। ভেড়ার থাকার স্থানে যাবে অন্য কোন প্রাণী প্রবেশ করতে না পারে সেদিকেও বিশেষভাবে নজর দিতে হবে। বাইরের পশু-পাখি প্রবেশ করলে অনেক সময় তাদের মাধ্যমে ভেড়ার শরীরে বহিঃপরজীবীর আক্রমণ ঘটতে পারে।