মুন্সীগঞ্জের সবজি এখন বিদেশের মাটিতেও
কৃষি বিভাগ
মুন্সিগঞ্জ জেলাকে বলা হয় শাকসবজি উৎপাদনের বিখ্যাত জেলা। এ জেলার বজ্রযোগিনী বাজার ও রামশিং বাঁশপট্টিতে প্রতিদিন পাইকারি দামে শাকসবজি বেচাকেনার উৎসব চলে। এই বাজার থেকেই করলা রপ্তানি হচ্ছে বিদেশেও। কৃষি অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে উৎপাদিত এ সকল সবজি উৎপাদন করা হচ্ছে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ছাড়াই। সমন্বিত বালাই দমন ব্যবস্থা ও জৈব সার প্রয়োগ করে উৎপাদন করা হচ্ছে এই সবজি।
জানা যায়, মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার রামপাল, মহাকালী ও বজ্রযোগিনী ইউনিয়ন এবং টঙ্গিবাড়ী উপজেলার ধামারণ, আলদী, কাঠাদিয়া, সোনারং, ধীপুরসহ বিভিন্ন গ্রামের কৃষকরা প্রতিদিন ভোরে জমি থেকে করলা, লাউসহ বিভিন্ন সবজি বজ্রযোগিনী বাজার ও রামপাল ইউনিয়নের বাঁশপট্টি পাইকারি বাজারে নিয়ে বিক্রি করছেন।
এ দুটি বাজারে প্রতিদিন ভোর ৫টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত সবজি বেচাকেনা হয়। বাজার কাছাকাছি হওয়ায় কৃষকেরও তেমন পরিবহন খরচ গুনতে হয় না। করলা ছাড়াও লাউ, জালিকুমড়া, জিঙ্গা, কহি, ধুন্দল, শসাসহ গ্রীষ্ফ্মকালীন সব ধরনের সবজি পাওয়া যায়। বারো মাসই পাইকারি বাজার দুটিতে নানা ধরনের সবজি বেচাকেনা হয়ে থাকে।
মুন্সীগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আল মামুন জানান, বজ্রযোগিনী ও রামশিং বাজারে গ্রীষ্ফ্মকালীন শাকসবজির উৎসব চলে। নিজ চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। এই দুটি পাইকারি বাজার থেকে করলা বিদেশেও রপ্তানি হয়ে থাকে এবং কয়েকশ ট্রাক শাক-সবজি দেশের বিভিন্ন জেলায়ও চলে যায়।
মুন্সীগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. খোরশিদ আলম জানান, কৃষি অফিসের তত্ত্বাবধানে একটি প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের বিষমুক্ত সবজি উৎপাদনে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। এখন কৃষকরাও সচেতন হয়ে উঠেছেন। তাই রাসায়নিক সারের পরিবর্তে জৈব সার এবং জমিতে কীটনাশক ব্যবহার না করে বিভিন্ন ফাঁদের মাধ্যমে পোকামাকড় দমনের মাধ্যমে সবজি উৎপাদন পদ্ধতির দিকে ঝুঁকেছেন কৃষকরা।