রংপুরের চরাঞ্চলে মরিচের বাম্পার ফলন
এগ্রিবিজনেস
রংপুর বিভাগের পাঁচ জেলাসহ তিস্তা, ধরলা, দুধকুমোর, ব্রহ্মপুত্র, ডাকাতিয়া নদীসহ আশেপাশের অনেক নদ-নদীর মাঝে জেগে ওঠা নতুন ও পুরোনো চরে বৃহৎ পরিসরে মরিচের চাষ করা হয়েছে। গত মৌসুমের বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে এবার মরিচ চাষে লেগে পড়েছেন রংপুরের চরাঞ্চলের কৃষকরা।
কৃষকেরা বলেন, মরিচের বাম্পার ফলন হওয়ায় ও বাজারে মরিচের আশানুরূপ দাম পাওয়ায় খুশি কৃষকেরা। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়েও দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকাররা এসে মরিচ কিনে নিয়ে যাচ্ছে বলে জানান তাঁরা।
রংপুর কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, রংপুর অঞ্চলের নদী বেষ্টিত পাঁচ জেলার ৬৯২টি চর এখন মরিচখেতে ছেয়ে গেছে। চারদিকে জমিগুলোতে শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন জাতের কাঁচা পাকা মরিচ। এবার মরিচ চাষ করে কৃষকরা ভালো দামে বিক্রি করছেন বাজারে। স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে মরিচ যাচ্ছে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন আরতসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের হাটবাজারে পাঠানো হচ্ছে।
রংপুর আঞ্চলিক কৃষি বিভাগ জানায়, চলতি বছর এক হাজার ৫১ হেক্টর বেশি জমিতে বিভিন্ন জাতের মরিচের চাষ হয়েছে। চলতি মৌসুমে এ অঞ্চলে মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল প্রায় ৮০০ হেক্টর। এর মধ্যে রংপুর জেলায় ২০০ হেক্টর, কুড়িগ্রামে ৩৫০ হেক্টর, লালমনিরহাটে ৩২০ হেক্টর, নীলফামারীতে ১৮১ হেক্টর এবং গাইবান্ধা জেলায় ১০০ হেক্টর চরাঞ্চলের জমিতে বিভিন্ন জাতের মরিচের চাষ হয়েছে।
রংপুরের কৃষি বিভাগের উপপরিচালক মো. ওবাইদুর রহমান মণ্ডল জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং কৃষকদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ দেওয়ায় চলতি মৌসুমে মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে।