রঙিন মাছ চাষে চমক দেখাচ্ছেণ মর্তুজা
মৎস্য
ইউটিউব দেখে রঙিন মাছ চাষ শুরু তিন বছর আগে। বাড়ির ছাদে কয়েকটি প্লাস্টিকের ক্রেটে ছোট্ট পরিসরে এই মাছ চাষ শুরু করলেও ধীরে ধীরে পরিধি বাড়িয়ে বাণিজ্যিক রূপে পরিণত করেছেন। এখন বেশ কয়েকটি হাউজ তৈরি করা হয়েছে। প্রজননের মাধ্যমে উৎপাদিত রঙ বে-রঙয়ের মাছ বিক্রি করে প্রতি মাসে গড়ে বাড়তি আয় করছেন ১৫ হাজার টাকা। রঙিন মাছ চাষে এখন বর্ণিল ঠাকুরগাঁওয়ের গোলাম মর্তুজার জীবন।
অক্সিজেন মটর ব্যবহারের মাধ্যমে বিদ্যুতের সাহায্যে মাছের প্রজনন ঘটাচ্ছেন হাউজগুলোতে। গাপ্পি, মলি, গোল্ড ফিস, গোরামি, জেব্রা ফিসসহ একুরিয়ামের সৌন্দর্য বর্ধনে আঠারো থেকে বিশটি জাতের রঙিন মাছ উৎপাদন করছেন তিনি।
উৎপাদিত প্রতি পিস মাছ ১০ টাকা থেকে শুরু করে ৩০০ টাকা পর্যন্ত দরে বিক্রি করছেন অনলাইন ও বাড়ি থেকে। সখের এ মাছ ক্রয়ে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা। অনেকে আবার তার মতো মাছ চাষে আগ্রহ প্রকাশ করে পরামর্শও নিচ্ছেন।
রঙিন এ মাছের খামার দেখতে ও মাছ ক্রয় করতে আসা মানুষেরা জানান, উদ্যোক্তার ছাদে নানা প্রকার মাছ রয়েছে। আগে এসব মাছ ক্রয়ে অন্য জেলায় যেতে হলে এখন হাতে কাছে পাওয়া যাচ্ছে। যারা সৌন্দর্য বর্ধনে সখ করে একুরিয়ামে মাছ রাখে তাদের জন্য অনেক সুবিধা হয়েছে। এছাড়া তাকে দেখে অনেকেই এ ধরনের মাছ চাষে আগ্রহ প্রকাশ করে পরামর্শও নিচ্ছেন বলে জানান তারা।
এ বিষয়ে উদ্যোক্তা গোলাম মর্তুজা জানান, ইউটিউব দেখে মাছ চাষ শুরুটা ছোট্ট পরিসরে হলেও এখন তা বাড়ানো হয়েছে। মাত্র তিন বছরে বিশ প্রকারের বেশি মাছ বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রত্যেকটি মাছ থেকে প্রজনন ঘটানো হচ্ছে। বর্তমানে মাছ বিক্রি করে কমপক্ষে পনের হাজার টাকা পর্যন্ত বাড়তি আয় হচ্ছে। তেমন কোন পরিশ্রম নেই। কোন শ্রমিকেরও প্রয়োজন হয় না। মানুষ অনলাইনে ও বাড়ি থেকে মাছ ক্রয় করছে। ঠাকুরগাঁও জেলা শহরের সরকারপাড়ায় নিজ বাড়িতে ২০২০ সালে এ রঙিন মাছ চাষ শুরু করেন মর্তুজা।