শেরপুরে সমতল জমিতে মাল্টা চাষে সাফল্য
এগ্রিবিজনেস
শেরপুরে সমতল জমিতে মাল্টা, আঙুরসহ দেশি-বিদেশি নানা প্রজাতির ফল চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন কৃষক হযরত আলী। প্রথমে একশ’ বিঘা জমিতে একটি বাগান দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে প্রায় আটশ’ বিঘা জমি নিয়ে তার রয়েছে ১২টি বাগান। এসব বাগানে উৎপাদিত ফল ফরমালিন ও কীটনাশকমুক্ত থাকায় বেশ চাহিদাও রয়েছে। হযরত আলীর সাফল্য দেখে মিশ্র ফল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন স্থানীয় অনেকে।
শেরপুর জেলা সদরের যুবক হযরত আলী। ঢাকায় ব্যবসার ফাঁকে ২০১৯ সালে নিজ এলাকায় ফলের বাগান শুরু করেন। কৃষি বিভাগের পরামর্শ নিয়ে উপজেলার রৌহা গ্রামে একশ’ বিঘা জমিতে মাল্টা, কমলা, আঙ্গুর, ড্রাগন ফল, পেঁপে, পেয়ারা ও লেবুসহ ১২টি প্রজাতির ফল বাণিজ্যিকভাবে চাষ শুরু করেন।
একসময় পার্শ্বব্যবসা হলেও এখন হযরত আলীর জীবিকার প্রধান উৎস এই বাগান। নিজের জমির পাশাপাশি আরও ৭শ’ বিঘা জমি লিজ নিয়ে ১২টি বাগান গড়ে তুলেছেন তিনি। যেখানে বিদেশি উন্নত জাতের এভোকাডো, থাই ছফেদা, মালবেরি, ত্বীন ফল, আলুবোখারাসহ ২৭১টি জাতের ফলের চাষ করেছেন। এছাড়া বিভিন্ন প্রজাতির ফলের চারাও উৎপাদন করছেন।
ফরমালিন মুক্ত ও কীটনাশক ব্যবহার না করায় তার বাগানের ফলের বেশ চাহিদা রয়েছে। ফলে লাভও হচ্ছে ভালো। এছাড়া এসব বাগানে ২ শতাধিক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।
হযরত আলীর সফলতা দেখে এখন মিশ্র ফল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরাও। এছাড়া জেলায় মিশ্র ফল চাষ ছড়িয়ে দিতে কাজ করছে কৃষি বিভাগ।
শুধু ফল চাষই নয় চাষী হযরত আলী তার বাগানের ফাঁকা জায়গায় মাছ, মুরগি, কবুতর ও গরু পালনও শুরু করেছেন। যা জোগাচ্ছে বাড়তি অর্থ।