সাগর ছেড়ে এবার নদীতে সেইলফিশ
মৎস্য
সূচালো মুখ আর পাখির ডানার মতো পাখা, সবমিলে ৮/১০ ফুট লম্বা শরীরটাকে নিয়ে ছুটে চলে সেইলফিশ। এদের বাস মূলত সাগরে। কেউ আবার পাখিমাছ নামেও চেনেন। সাগরের এই গতিদানবের দেখা মিলছে বড় নদীতেও, মোহনায়ও পেয়েছেন কোন কোন জেলে।
সেইলফিশের খাদ্য-শৃঙ্খলে দেখা যায়, জু প্লাঙ্কটন, ফাইটো প্লাঙ্কটনকে খায় ইলিশ ও সার্ডিনের মতো মাঝারি সাইজের মাছ। তারা আবার সেইলফিশের প্রিয় খাবার। সে নিজে আবার হাঙ্গরের প্রিয়।
ওয়ার্ল্ডফিশ বাংলাদেশের ইকোফিশ প্রজেক্টের টিম লিডার ড. মো. আব্দুল ওয়াহাব বলেন, মহামারী ঠেকাতে দেয়া লকডাউন প্রকৃতির জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছে। তাই জলজ প্রাণীদের খাবারও সাগর-নদী সবখানেই বেড়েছে। এ কারণেও সেইলফিশের চলাচল বাড়তে পারে নদীতে।
এদিকে ঢাবি আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সের ভারপ্রাপ্ত ডিন ড. মো. কাউসার আহাম্মদ জানান, সাগরে জলজ পরিবেশ হুকমির মুখে থাকায় এমনটা হচ্ছে কিনা, তা এখনই হলফ করে বলা যাবে না।
এই দুই গবেষকের মতে, সব পরিবর্তনই আতঙ্কের নয়, কিছু পরিবর্তন আশীর্বাদেরও হতে পারে। কিন্তু আদতে কোনটা, তা জানতে আরও সময় গড়াতে হবে।