সিভাসুতে উদ্ভোধন হলো এপি-লাইব্রেরি
ক্যাম্পাস
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ওএনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) এর হাসপাতাল ভবনের দ্বিতীয় তলায় এপিডেমিওলজি ব্যবহারিক শ্রেণীকক্ষে এপি-লাইব্রেরি উদ্ভোধন করা হয়।
সিভাসুতে চলমান সিভাসু এপি-এলামনাই গঠন প্রক্রিয়ার প্রথম সভায় প্রস্তাবিত একটি কার্যক্রম ছিলো এপি-লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করা। তারই ধারাবাহিকতায় গত ১২ই অক্টোবর ২০২৩ তারিখে এপি-লাইব্রেরি উদ্ভোধন করা হয়।অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক মোহাম্মদ লুত্ফুর রহমান, ডিন, ভেটেরিনারি অনুষদ, সিভাসু। অনুষ্ঠানটিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. এ.কে.এম. হুমায়ুন কবির (পরিচালক, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বিভাগ)। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ডা. ফরহাদ হোসেইন (সাবেক পরিচালক, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ); অধ্যাপক ড. শারমিন চৌধুরী (পরিচালক, ওয়ান হেলথ্ ইন্সটিটিউট, সিভাসু); অধ্যাপক ড. পঙ্কজ চক্রবর্তী (বিভাগীয় প্রধান, মেডিসিন ও সার্জারি, সিভাসু); অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান ( মেডিসিন ও সার্জারি বিভাগ, সিভাসু); অধ্যাপক ড. ভজন চন্দ্র দাশ (মেডিসিন ও সার্জারি বিভাগ, সিভাসু); মোঃ হাবিবুর রহমান (লাইব্রেরিয়ান, সিভাসু); ডাঃ সুপন নন্দী (উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল, বাঁশখালি); ডাঃ সেতুভূষণ দাশ (উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল, বোয়ালখালি); সহকারী অধ্যাপক সাজেদা আক্তার (মেডিসিন ও সার্জারি বিভাগ, সিভাসু); ডাঃ সাদ্দাম হোসেইন (প্রতিষ্ঠাতা, বার্ডস্ এন্ড পেট হসপিটাল, চট্টগ্রাম); রাশেদ মাহমুদ (রিসার্চ ম্যানেজার, ওয়ান হেলথ্ পোল্ট্রি হাব, বাংলাদেশ), অধ্যাপক মোঃ আহসানুল হক (সিভাসু, জাতীয় সমন্বয়ক, ওয়ান হেলথ্ পোল্ট্রি হাব, বাংলাদেশ) এবং এপি-মাস্টার্সরত শিক্ষার্থীবৃন্দ।
অনুষ্ঠানের বক্তব্যে পরিচালক, লাইব্রেরিয়ান মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, “জ্ঞান অর্জনের জন্যে বইয়ের কোনো বিকল্প হতে পারেনা।”
মেডিসিন ও সার্জারি বিভাগীয় প্রধান, অধ্যাপক পঙ্কজ চক্রবর্তী বলেন, “সবসময় সেন্ট্রাল লাইব্রেরিতে যাওয়া হয় না, সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা সহজেই এই লাইব্রেরিটি থেকে এপিডেমিওলজি সংক্রান্ত বই পড়তে পারবে।”
পরিচালক, ওয়ান হেলথ্ ইন্সটিটিউট অধ্যাপক শারমিন চৌধুরি বলেন, “এপিডেমিওলজির বিভিন্ন পাঠ্যপুস্তক অনলাইনে সহজে পাওয়া যায় না, এমতাবস্থায় এমন লাইব্রেরির পরিকল্পনা প্রশংসনীয়।”
পরিচালক,প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, ড. এ.কে.এম. হুমায়ুন কবির বলেন, “এপিডেমিওলজি সকল গবেষণার কেন্দ্রবিন্দু। আমাদের অনেক তথ্য-উপাত্ত (রোগ-তথ্যাদি)থাকা সত্ত্বেও, আমরা সেগুলো কাজে লাগাতে পারিনা, কেবলমাত্র উপযুক্ত এপিডেমিওলজিক জ্ঞান প্রয়োগের অভাবে।”
ডিন, ভেটেরিনারি অনুষদ, অধ্যাপক মোহাম্মদ লুত্ফুর রহমান লাইব্রেরিটির প্রসারে আশা ব্যক্ত করে বলেন, “এই ধরনের উদ্যোগ সিভাসুতে প্রথম এবং বেশ প্রশংসনীয়। অধ্যাপক মোঃ আহসানুল হক বরাবরই এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এধরনের নতুন জিনিষ সংযোজন করাতে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন।”
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে চলমান সিভাসু এপি-এলামনাই গঠনপ্রক্রিয়ার দ্বিতীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।রাশেদ মাহমুদ (আহ্বায়ক, সিভাসু এপি এলামনাই) সিভাসু এপি-এলামনাইয়ের প্রস্তাবিত সংবিধানটি উত্থাপন করেন যেখানে ৯-সদস্যের একটি কার্যনির্বাহী দলের প্রস্তাব করা হয়। সেই সাথে সংবিধানের বিভিন্ন বিষয় যেমন, কার্যনিবার্হী দলের মেয়াদ, সদস্য-ফি, কার্যক্রমসহ বিবিধ বিষয় আলোচনা করা হয় এবং এলামনাই গঠনের পরবর্তী ধাপ হিসেবে সংবিধানটি অনুমোদনের বিষয়ে গুরুত্ব প্রদান করা হবে। উক্ত সভায় ১৫জন এলামনাই সদস্য এবং জুম প্লাটফরম যোগে ৫জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।